বাংলা নাটকের জগতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প এবং কাহিনি দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করার প্রচেষ্টা থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় নির্মাতা রাকেশ বসু এবার নিয়ে এসেছেন ভিন্নধর্মী এক নাটক—‘শর্ত দিয়ে বিয়ে’। এটি শুধু একটি প্রেমের গল্প নয়, বরং জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এবং সম্পর্কের বাঁধন নিয়ে এক নাটকীয় উপস্থাপনা।
গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সাফায়েত এবং জিমি—দুই কলেজ পড়ুয়া বন্ধু। তাদের বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে রূপ নেয় প্রেমে। তবে প্রেমের পথচলা মসৃণ ছিল না। সাফায়েত একজন উচ্চাভিলাষী তরুণ, যার স্বপ্ন বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়ার। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে সে বিদেশে পাড়ি জমায়, ফেলে রেখে যায় জিমির সঙ্গে তার অসমাপ্ত প্রেমের গল্প।
বিদেশ থেকে ফিরে সাফায়েত দেখে, তার পরিবার তাকে বিয়ে করানোর পরিকল্পনা করছে। কাকতালীয়ভাবে বিয়ের পাত্রী হিসেবে সামনে আসে তার পুরোনো প্রেম জিমি। তবে জিমি এবার সহজেই প্রেমে ফিরতে প্রস্তুত নয়। সম্পর্ক এগিয়ে নিতে সে সাফায়েতের কাছে পাঁচটি শর্ত রাখে। এই শর্তগুলো কেবল তাদের প্রেমের গল্পকেই নতুন মোড় দেয় না, বরং জীবনের বিভিন্ন টানাপোড়েনকেও তুলে ধরে।
নাটকটির চিত্রায়ণ হয়েছে উত্তরা দিয়াবাড়ী এবং একটি শুটিং হাউসে। এফ এস নাঈম এবং তানিয়া বৃষ্টির প্রাণবন্ত অভিনয়ে সাফায়েত ও জিমি চরিত্রগুলো হয়ে উঠেছে জীবন্ত। সাফায়েতের চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে এফ এস নাঈম বলেছেন, “গল্পটি খুবই গতিশীল এবং এতে রোমান্স ও হাস্যরসের চমৎকার সংমিশ্রণ রয়েছে। আমার চরিত্রটি একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী মানুষের, যার জীবনের বড় লক্ষ্য এবং প্রেমের মধ্যে ভারসাম্য খুঁজে পেতে সংগ্রাম করতে হয়।”
অন্যদিকে, জিমি চরিত্রে তানিয়া বৃষ্টি বলেন, “জিমি এমন একজন মেয়ে, যে জীবনের কঠিন সময়ে নিজের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে পিছু হটে না। পুরোনো প্রেমিক ফিরে আসার পরও সে তার শর্তগুলো নিয়ে দৃঢ় থাকে। এটি শুধু প্রেমের গল্প নয়, এটি একজন নারীর আত্মবিশ্বাস এবং জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিরও প্রতীক।”
নির্মাতা রাকেশ বসুর মতে, “গল্পটি একটি পারিবারিক কমেডি ড্রামা। এটি শুধু প্রেম নয়, বরং সম্পর্ক এবং জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো কেমনভাবে একজন মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে, তা সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিটি শর্ত প্রেমের নতুন বাঁক তৈরি করে, যা দর্শকদের ধরে রাখবে।”
নাটকের কাহিনি যতই এগোতে থাকে, ততই সাফায়েত এবং জিমির সম্পর্ক জটিল এবং রোমাঞ্চকর মোড় নেয়। শেষ পর্যন্ত তাদের সম্পর্ক টিকে থাকবে নাকি ভাগ্য তাদের ভিন্ন পথে চালিত করবে, সেটি জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে নাটকটির প্রচার পর্যন্ত।
শিগগিরই প্রচারে আসা এই নাটকটি প্রেম, বিচ্ছেদ এবং নতুন শুরুর গল্প দিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেবে বলে আশা করছেন নির্মাতা।