রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে বাংলাদেশে বর্তমানে একটি তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে এই দাবিটি সরবভাবে উঠে আসছে, এবং এই ইস্যুটি ঘিরে সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কঠোর বক্তব্য প্রদান করেছেন। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীতে ১২ দলীয় জোটের সাথে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনকে অবশ্যই তার পদ থেকে যেতে হবে।”
গত কয়েকদিনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি একাধিক রাজনৈতিক দলের সাথে ধারাবাহিক বৈঠক করে চলেছে, যার মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ এবং ১২ দলীয় জোট উল্লেখযোগ্য। এসব বৈঠকে রাষ্ট্রপতির অপসারণ, সংবিধান সংস্কার এবং বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে একটি জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তবে, তাদের মতে, এই অপসারণ কোন পদ্ধতিতে এবং কিভাবে কার্যকর হবে, তা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে জাতীয় অস্বস্তির জায়গা তৈরি হয়েছে, তাই তাকে তার পদ ছেড়ে যেতেই হবে।”
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুল ইসলাম আদীবও বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান যে, বৈঠকে রাষ্ট্রপতি ইস্যু ছাড়াও সংবিধান সংস্কার এবং বিগত জাতীয় নির্বাচন বাতিলের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে ঐক্যমত তৈরি করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, “আমরা আশা করছি, আলোচনার ভিত্তিতে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের মতে, দ্রুতই সব দলের সাথে আলোচনা শেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বৃহৎ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।