Wordlinx: এবার আয় হবে ইচ্ছেমতো। আয় করুন নানা উপায়ে, ডেইলি জিতে নেয়ার সম্ভাবনা ৫ ডলার ক্যাশ!

এটি একটি নতুন পিটিসি সাইট, যে সাইটে আপনারা ভিডিও দেখে, এড প্রদর্শন করে, বিভিন্ন অ্যাপ ইন্সটল করে, এবং জরিপ পূরণ করে, রেফার করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। আর এখানে প্রথমবার সাইন আপ করলে ডেইলি প্রাইস হিসেবে এক ডলার পেয়ে যাবেন। তাহলে চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক।প্রথমেই বলে রাখছি সাইটের নাম। সাইটের নাম হল ওয়ার্ডলিনক্স (Wordlinx)।  

রেজিস্ট্রেশনঃ সর্বপ্রথম আপনাকে করতে হবে রেজিস্ট্রেশন। তো রেজিস্ট্রেশন করতে আপনারা এখানে ক্লিক করুন। রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করার পর আপনারা সরাসরি রেজিঃ করা শুরু করতে পারেন। শুধুমাত্র একটি জিমেইল এড্রেস হলেই চলবে। তারপর সরাসরি রেজিঃ করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন করার পর আপনাদের কাছে কতগুলো অপশন চলে আসবে। যেমনঃ

১)মাইক্রো টাস্ক: এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট ভিজিট করে, বিভিন্ন ধরনের গেমস খেলে, ভিডিও দেখে এবং বিভিন্ন অফার কমপ্লিট করে টাকা আয় করতে পারবেন। এছাড়া এখানে আছে third-party অফার। যেগুলোতে যেকোনো ধরনের অ্যাপ ইন্সটল করলে আপনাকে সর্বনিম্ন একসেন্ট থেকে শুরু করে 200 থেকে 500 সেন্ট পর্যন্ত দিবে। তবে তাদের শর্তানুযায়ী কাজ করতে হবে। আর এ ছাড়া আছে এখানে জরিপ পূরণ করে আয়। জরিপ  পূরণ করতে নিজস্ব প্রোফাইল তৈরি করতে হয়। আর জরিপ পূরণ করে এখানে সর্বনিম্ন 10 সেন্ট থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 1 ডলার পর্যন্ত দেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন অফার পূরণ কর এখানে পাঁচ থেকে ছয় সেন্ট এ সাইটে পাবেন। আবার ভিডিও দেখে এখানে সর্বোচ্চ 1 সেন্ট পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। 

২)ডেইলি প্রাইজ

ডেইলি প্রাইস অফার অনেক মূল্যবান। প্রতিদিন কোন না কোন প্রাইস এখানে ঢুকে নিতে পারবেন। আপনার এই অপশনে ক্লিক করলে চার থেকে পাঁচটি প্রাইজ বাটন চলে আসবে। এগুলোর মধ্যে যেকোন একটিতে ক্লিক করবেন, আপনার ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। যদি আপনার ভাগ্য ভালো থাকে তাহলে আপনি 5 ডলার পর্যন্ত আয় করে নিতে পারেন। আর যদি আপনার ভাগ্য ভালো না থাকলে আপনি বিভিন্ন পয়েন্ট অথবা এখানে $0.01 ডলার অথবা ভালো ভাগ্য হলে 1 ডলারও আয় করতে পারবেন। 

প্রথমবার সাইন আপ করে এখানে আপনি প্রবেশ করবেন, সাইন আপ করার পর প্রবেশ করলে আপনি যেকোনো একটি প্রাইস বাটনে ক্লিক করলে সাথে সাথে 1 ডলার সাইন আপ বোনাস হিসেবে পেয়ে যাবেন।

৩)লিংক প্রমোশন

 এখানে আছে বিভিন্ন ধরনের লিঙ্ক, যে লিংক গুলো ব্যবহার করে এগুলোকে আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রমোট করতে হবে। সেগুলো প্রমোট করলে এবং এই লিংক ব্যবহারে কোনো ভিজিটর আসলে সাথে সাথে আপনি টাকা পেয়ে যাবেন। প্রতিটি ভিজিটর এর জন্য আপনাকে টাকা এমাউন্ট দেয়া হবে। আর কেউ যদি লিংকে এসে অনেকক্ষণ ভিজিট করে কোন পণ্য বা প্রোডাক্ট কিনে তাহলে এর অর্ধেকাংশ আপনি টাকা হিসেবে আপনার একাউন্টে পেয়ে যাবেন। 

৪)পেইড ইমেইল অফার

 আপনি যে জিমেইল একাউন্ট টি ব্যবহার করেছেন এখানে সাইন আপ করার জন্য, সে জিমেইল একাউন্টে অনেক পেইজের মেইল আসবে। সেই পেইজ লিংক গুলোতে ক্লিক করলে সেগুলোর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। আবার যদি এমন হয় যে আপনি কোনো একটি প্রমোশন মেসেজ 100 জনের মধ্যে ছড়িয়ে দিবেন, তাহলে সেখানে আপনার যত মানুষের কাছে কি মেসেজ ছড়িয়ে দিবেন আর ঠিক তত আয় পাবেন। যেমনঃ 1000 টি মেসেজ যদি আপনি সকলের মাঝে ইমেইল করতে পারেন তাহলে আপনাকে 20 ডলার দেয়া হবে। 

৫)ট্রাফিক বা ভিজিট 

এখানে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিউ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটের ভিও এর মাধ্যমে আপনি এখানে পয়েন্ট আয় করতে পারবেন। কোন ক্ষেত্রে আপনাকে সরাসরি টাকা দেয়া হবে। এখানে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবার 100 থেকে 200 পয়েন্ট পাবেন। বলে রাখি এখানে ক্যাশ ও পয়েন্ট উভয়ই দেয়া হয়। অনেকক্ষণ পর্যন্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করলে ভালো আয় পাবেন। 

৬)রেফার করে আয় 

এখানে রেফার করে প্রচুর আয় করতে পারবেন। যাকে রেফার করবেন তার মোট আয়ের 20 ভাগ আপনি পেয়ে যাবেন। যদি আপনার আর রেফার করার হার ও এক্টিভিটি বেশি বৃদ্ধি পায় তাহলে সর্বোচ্চ 50 ভাগ পর্যন্ত আপনার একাউন্টে টাকা যোগ হতে শুরু করবে। এভাবে রেফার করে আয় করতে পারবেন। 

 

ক্যাশ আউট 

এখানে ক্যাশ আউট করতে আপনাকে মিনিমাম 5 ডলার থাকা চাই। যদি এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে 5 ডলার আয় করেন তাহলে তা পেপালের মাধ্যমে নিয়ে নিতে পারবেন। আর যদি নরমাল এড দেখে আপনি উইথড্র নিতে চান তাহলে সর্বনিম্ন 10 ডলার থাকা চাই। তাহলে আপনি সেটাকে ক্যাশআউট হিসেবে নিতে পারবেন। এছাড়া যদি 10 হাজার পয়েন্টে করতে পারেন, তাহলে তা 10 ডলার হিসেবে ক্যাশআঊট করতে পারবেন। 

কারেন্সি: এখানে ক্যাশ এর পাশাপাশি আরেকটি কারেন্সি আছে। সেটা হল পয়েন্ট। 10 হাজার পয়েন্টের মূল্য 10 ডলার। কাজে 10000 পয়েন্ট ও আপনি যদি কালেক্ট করতে পারেন তাহলে সেটা পেপালের মাধ্যমে নিতে পারবেন। এখানে পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করা যায় পেপাল। যদি পেপাল একাউন্ট না থাকে তাহলে নিচে ক্লিক করেন। তাহলে বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণ বাংলাদেশি নম্বর ব্যবহার করে একটি ভেরীফাইড পেপ্যাল অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

রিলেটেডঃ বাংলাদেশ থেকে ভেরিফাইড পে পাল একাউন্ট তৈরি করুন। 

 

Related Posts

7 Comments

মন্তব্য করুন