প্রতিটা মেয়েই তার শ্বশুর বাড়িতে নিজের মনের রং-তুলিতে আঁকা সপ্নের সেই মানুষটার কাছে যায়।
নিজের সমস্ত শিকর উপরে ফেলে। শুধুমাত্র তার স্বামীকে বিশ্বাসের চাদরে জরিয়ে আপন করে নিতে,
ভালোবাসা দিয়ে তাকে ও তার আপন মানুষদের এক করে রাখতে, তার শেষ মুহূর্তে সঙ্গী হতে।
রিয়া ও হিয়া দু’বোন সকালে ঘুমাচ্ছিল বেলা ৯.৩০ কল বাজছে । রিয়া কল রিসিব করল তার বড় ভাই শিহাব
বলল মা ট্রাকের সাথে ধাক্কা খেয়েছে আমি মাকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছি । তারা দু বোন হাসপাতালে যায়। ডাক্তার বলল তাদের মাকে আর বাচানো যাবে না। তাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে । এই কথা শুনে অজরে কান্না করছে রিয়া হিয়া ।তার ভাই তাদের সান্তনা দিয়ে বলছে মায়ের কিছু হবে না।মা আমাদের ছেড়ে কোথাও যাবে না।
অবশেষে বাড়ি ফিরে আসল। তাদের বাবা ছেলে বেলায় তাদের ছেড়ে আর একটি বিয়ে করে।নিজে তরকারি বিক্রি করে তাদের মা সন্তানদের অনেক কষ্ট করে বড় করেছে । বাড়িতে আনার কিছুক্ষণপর রিয়ার মা মারা যায়। মা মারা যাওয়ার পর শিহাব একটি ছোট-খাট কাজে লেগে কোন রকম সংসার চালায়। ওরা তিন ভাই বোন খালার সাথে থাকে। মা ছাড়া সন্তান যেমন অবহেলা আর অনাদরে থাকে তে তাদের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়েছে। যদি এইভাবেও সময়গুলো চলে যেত, তাহলে হয়ত রিয়ার জীবনটা মাত্র ষোল বছর বয়সে আধারে ঢেকে যেত না।
রিয়ার মা চলে গেল এক বছর হল।এখন রিয়া হিয়া তার ফুফুর বাড়ি এসেছে কিছুদিন পর রিয়ার ফুফু রিয়ার জন্য বিয়ে দেখা শুরু করল । রিয়া তার ভাইকে সব কিছু জানিয়ে বলে ।রিয়া এখন বিয়ে করতে চায় না।কিন্তু তার ফুফু ও ঘটক ছেলে সর্ম্পকে এত প্রশংসা করে যে, শেষপূর্যন্ত শিহাব আর রিয়া হিয়া বিয়ের জন্য রাজি হয়।বিয়ের আগে ছেলে কালিব এর সাথে রিয়া মোবাইলে কথা বলেছে । আর ছবি দেখেছে।ছেলের বাড়িতে কেউ খবর নেই নি আসলে কালিব কেমন ছেলে।
নির্ধারিত সময়ে বিয়ে হল রিয়ার । বুক ভরা সপ্ন নিয়ে রিয়া স্বামীর বাড়ি যায়। যেতে না যেতে কাবিলের বাড়িতে অনেক মানুষের আসা যাওয়া শুরু হয় । তার মাঝে একজন মহিলার একটি কথা রিয়ার জীবনের হাসি কান্না পরিবর্তীত হল।
কাবিল এর আগে আরও তিনটি বিয়ে করেছে।কাবিলে দু’ছেলে এক মেয়ে আছে ।
তখন রিয়ার পাশে আপন বলতে শুধু হিয়া ছিল। রিয়া অজস্র চোখের পানি যেন চিৎকার দিয়ে বলছে ।আজ যদি মা থাকত কখন কি আমার এই অবস্থার সম্মুক্ষিন হতে হত। কি দোষ ছিল আমার? এক একটা প্রহর যেন এক যুগ এর মত কাটছে।যখন রাত্রি হল নিজেকে জীবন্ত লাশের মত নিরবে সব সহ্য করতে হল।
প্রিয়, পাঠক-পাঠিকা অনেক ধন্যবাদ গল্প পড়ার জন্য।
আপনাদের কাছে ভাল লাগলে (২)পর্ব লিখব ইনশাল্লাহ।