হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন । আমিও বেশ ভালো আছি । আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই ব্যক্ত করি সব সময়। প্রতিবারের মতো আজকেও আমি নতুন একটি লাইফস্টাইল সংক্রান্ত আর্টিকেল নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আশা করছি grathor.com এর সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ যারা নিয়মিত আমার আর্টিকেল গুলো নিয়মিত পড়ে থাকে তাদের কিছুটা হলেও এই আর্টিকেলটি পড়ে নিজেদের উপকারে আসবে।
কল্পনা কি
কল্পনা এক ধরনের প্রতিভা। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই কোনো কিছু কল্পনা করা মানুষের এক চিরন্তন স্বভাব। কেননা কল্পনা মানুষকে আনন্দ দেয়। তাই এটি মানুষের চিত্তবিনোদনের এক অন্যতম মাধ্যম।
যদিও কল্পনা করা সহজ ব্যাপার নয়, তবে খুব কষ্টসাধ্যও নয়। কেননা কল্পনা করতে মানুষের তেমন ব্যাপক অনুশীলনের দরকার পড়ে না। এটি সম্পূ্র্ণ স্বয়ংক্রীয় ও তাৎক্ষণিক।
মানুষ কল্পনা করে কেন
প্রত্যেক মানুষেরই কিছু না কিছু কল্পনা আছে। আর পৃথিবীতে এমন কেউ নেই যে তার কল্পনাগুলোকে সত্যি দেখতে চায় না। তবে আমরা কল্পনা করি কেন, এটা সঠিকভাবে এখনো কোনো বিজ্ঞানী উত্তর দিতে পারে নি, তবে ধারণা করা হয় যখন যেই জিনিসটার প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি, সেই জিনিসটাই মানুষ সবচেয়ে বেশি কল্পনা করে। তবে সব মানুষ যেমন দেখতে এক রকম নয়, তেমনি প্রত্যেকের কল্পনা করার ধরণও একেক রকম। কেউ হয়তো কল্পনা করে আকাশ নিয়ে, আবার কেউ পাতাল নিয়ে। কিন্তু কল্পনা থেকে মানুষর যে ৩ টি গুণাবলির বিকাশ ঘটে সেগুলো যেমন—
১. কল্পনা করে মানুষের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
২. কল্পনা করে মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায়।
৩. কল্পনা করে মানুষের আত্মিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়।
এখন নিচে আমি এ ৩ টি বিষয় নিয়ে একটু বিস্তারিত বলব—
১ কল্পনা করে মানুষের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাওয়া
একটি শিশুর জন্ম থেকে শিশুর বেড়ে ওঠা পর্যন্ত সে যা দেখে তাই দেখে কিন্তু একটি শিশুর বিকাশ ঘটে তার সৃজনশীলতার কারণে। কারণ আমরা প্রতিনিয়ত যা দেখি তাই কিন্তু আমদের মনে নিয়ে কল্পনা করি৷ আর এভাবেই আমাদের কোনো কিছু নিয়ে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। তবে মানুষ যে বিষয়টি নিয়ো সবচেয়ে বেশি কল্পনা করে সেটিতে সে সবচেয়ে বেশি এক্সপার্ট।
২. কল্পনা করে মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়া
কল্পনা করে মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পায় কারণ এতে সবচেয়ে বেশি ব্রেন চর্চা হয়। আর আমরা যদি বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞানীদের দেখি তাহলে তারা কিন্তু নিজদের ব্রেনকে কাজে লাগায় বলেই আজকে তারা বিজ্ঞানী হয়েছে। আর এর জন্য তারা সবকিছু নিয়ে কল্পনা করেছে বেশি।
৩. কল্পনা করে মানুষের আত্মিক সম্পর্ক সৃষ্টি হওয়া
কল্পনা করে মানুষের আত্মিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয় কারণ যে ব্যক্তি যত বেশি নিজেকে নিয়ে কল্পনা করে সে তত বেশি নিজেকে চিনতে পারে। নিজের দোশ গুন সব বুঝতে পারে। আর নিজের সাথে যার আত্মিক সম্পর্ক বেশি, সে জীবনে অনেক দূর যায়।
আজকে এ পর্যন্তই। সামনে নতুন একটি আর্টিকেলে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব। ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।