চাকরির ইন্টারভিউতে আপনাকে যে প্রশ্ন গুলোর মাধ্যমে মূল্যয়ন করা হবে।

আসসালামুআলাইকুম, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমাদের দেশে হাজার হাজার মানুষ রয়েছে যারা পড়ালেখা করেও বেকার দিন যাপন করছে।অনেকে আছে পড়ালেখা অনেক করেও ইন্টারভিউ হলে গিয়ে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছে না যার কারণে তার হাত থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে অসাধারন চাকরির সুযোগ।

আপনি যে টপিকের চাকরির উপর ইন্টারভিউ দিতে যাবেন। সেখানে শুধু আপনার ভালো লেখাপড়ার সার্টিফিকেট কাজে আসবে না।তার সাথে আপনার কাছ থেকে সেই কোম্পানি অন্য কিছু বিষয় নিয়ে জানতে চাইবে।

যেমন,আপনি কতটা মিচিয়ুর,আপনার কথা বলার ধরন, আপনার মধ্যে কতটা কনফিডেন্স আছে,আপনার মধ্যে কিসের দুর্বলতা ইত্যাদি। তো আজকের এপিসোডে আপনাদের বলবো যে যারা বিশেষ ভাবে আপনাকে কি কি প্রশ্ন গুলো করবে আর তারা আপনার কাছ থেকে সে প্রশ্নের কেমন উত্তর এইবা চাই।

আপনি যে টপিকে চাকরি করতে যাবেন সে টপিক ছাড়াও আপনাকে তারা এই প্রশ্ন গুলো করার মাধ্যমে মূল্যয়ন করবে।

আপনার সম্পর্কে কিছু বলুন?

সব ইন্টারভিউ তে এমন কিছু জিজ্ঞেস করে থাকে কোম্পানির লোকেরা।কিন্তু বেশিরভাগ লোকেরা উত্তর দেই তাদের পরিবার অথবা বেক্তিগত কোনো টপিক নিয়ে।কিন্তু এইটি আপনার বড় ভুল।

এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি বলতে পারেন যে: আপনার নাম,আপনি কোথায় থাকেন,আপনি কোন কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়েছেন, আপনার চরিত্র, দক্ষতা ইত্যাদি আপনার সম্পর্কে। একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন বলার সময় একটুও ভেবে চিন্তে কিছু বলবেন না। আত্মবিশ্বাসের সাথে তাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিবেন।

যে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে এসেছেন সেটি সম্পর্কে আপনার দক্ষতা কি?

অবশ্যই এই প্রশ্ন টি আপনি যে কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিতে যাবেন তারা আপনাকে করবে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা নার্ভাস হয়ে যায়।যার কারণে আমাদের উত্তর অনেক বাজে হয়।যার কারণে আপনার উপর সেই কোম্পানির লোকেদের খারাপ ছাপ পরে।

এইক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই ইন্টারভিউ দেওয়ার আগে জেনে নিবেন যে এই কোম্পানির কাজে আপনি কতটা দক্ষ। আর এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি বলতে পারেন যে:

১আপনার কোম্পানিতে যেকোনো কাজকে আমি নিজের কাজের মতোই শেষ করতে পারবো।কারণ,আমি প্রত্যেকটা কাজ কে অনেক মন দিয়ে সম্পূর্ণ করি।

২.সব কাজের উপরে আমার যথেষ্ট ধৈর্য রয়েছে।যার কারণে আমি প্রত্যেকটি কাজকে অত্যন্ত ধৈর্যের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করে থাকি।

৩.আমি সবসময় নিজেকে তৈরি রাখি।যার কারণে নতুন নতুন কাজে সহজেই নিজেকে মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়।

৪.আমি সব রকম পরিস্থিতি তে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সাথে সে কাজ এর সমাধান করি।

আপনি কেনো চাকরি টি করতে চান?

এই প্রশ্নটি তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করতে পারে।কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে যারা জানতে চাই আপনার কাজের প্রতি কতটা আগ্রহ আর কেনোই বা আপনি কাজটি করতে চান।

এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি উত্তর দিতে পারেন: এই চাকরিটি করার মাধ্যমে আমি আমার ক্যারিয়ার কে grow করতে পারবো বলে আমি মনে করি।আর আমার কাজের যে দক্ষতা রয়েছে,সেটি নিয়ে আমি মনে করি যে এই কোম্পানিতে আমি আমার দক্ষতার ভালো প্রয়োগ করতে সক্ষম হবো।এইভাবে উত্তর দিবেন বুদ্ধির সহিত।

আমাদের কোম্পানি সম্পর্কে কি জানেন?

এই প্রশ্নটি অবশ্যই করতে করে আপনাকে তারা।কারণ তারা জানতে চাই আপনি কাজের জন্য কতটা প্রস্তুত।কতটা জানেন ইত্যাদি।

আপনি অবশ্যই ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে বিস্তারিত জেনে নিবেন।আর উত্তর টিও অনেক সুন্দর ভাবে দিবেন।

বিশেষ কিছু টিপস :

১. আপনাকে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি খেয়াল করতে হবে সেটি হলো আত্মবিশ্বাস রাখা।

২. কোম্পানিকে বুঝাতে হবে আপনার কোনো দুর্বলতা নেই।

৩. প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় বেশিক্ষণ না ভাবা। চেষ্টা করবেন তাড়াতাড়ি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার।

৪.যে বিষয়ে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাবেন সে বিষয় সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন দেখে যাবেন।

৫.মনে রাখবেন সব কোম্পানি চাইবে তাদের কোম্পানিতে একজন দক্ষ মানুষ নিতে। সুতরাং কনফিডেন্স রাখার অত্যন্ত জরুরি।

আসা করি আর্টিকেল টি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।উপকারে আসলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি।ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ

Related Posts