সমালােচনার ভয়ের লক্ষণ
এ ভয়টি দারিদ্র্যের ভয়ের মতােই সার্বজনীন এবং এর প্রভাব ব্যক্তিগত অর্জনের মতােই ভয়াবহ কারণ এই ভয় ধ্বংস করে দেয় উদ্যম, কল্পনা শক্তির ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করে তােলে।
এ ভয়ের মূল লক্ষণগুলাে হলাে
সচেতনতা: অচেনা লােকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সমালােচনার ভয়ে ভীত মানুষজন নার্ভাস হয়ে থাকে, অদ্ভুত ভঙ্গিতে হাত পা নাড়ে, চোখ নাড়াচড়া করে। ভারসাম্যতার অভাব : কথা বলার সময় গলা কাঁপে, এদের স্মৃতি শক্তি দুর্বল থাকে। সমালোচনার ভয়ে ভীত লোক সুদৃঢ়ভাবে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ গ্রহণ করতে পারে না, তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত কোনাে চার্ম বা কোনাে বিষয় মুখােমুখি হওয়ার চেয়ে ওগুলাে পাশ মতামত ভালাে করে না শুনেই তাদের সঙ্গে একমত পাষণ করে । থাকে না, যে যেতে চায়। অন্যদের হীনমন্যতা তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত কোনাে চার্ম বা আকর্ষন থাকেনা যে কোন বিষয়ে পাশ কাটিয়ে যেতে চায়। অন্যের মতামত ভালো করে না শুনে তাদের সাথে একমত পোষণ করে।
হীনমন্যতা: এ ধরনের মানুষ হীনমন্যতায় ভোগে এবং বড় বড় বুলি কপচিয়ে অন্যদের মুগ্ধ করার ব্যর্থ চেষ্টা করে। অনেক সময় এরা জানেনা যে এরা কি চায়।অন্যদের পোশাক, কথা বলার ঢং আচার আচারন এসব নকল করে। কাল্পনিক অর্জন নিয়ে গর্ব করে। এভাবে তারা মাঝেমধ্যে উপরে উপরে একটু সুপিরিয়রিটি ভাব দেখায়।
অপচয়:সমালােচনার ভয়ে ভীত মানুষ অসংযমী এবং অপচয়কারী হয়ে থাকে। | উদ্যমের অভাব এরা সুযােগ পেলেও তা হারায়, নিজেদের মতামত ব্যক্ত করতে কুণ্ঠাবােধ করে, নিজের আইডিয়ার বিষয়ে কোনাে আত্মবিশ্বাসই থাকে না, সুপিরিয়র কোনাে প্রশ্ন করলে তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকে, তাদের আচার আচরণ এবং কথা বলায় সর্বদাই আড়ষ্ট ভাব লক্ষ্যণীয়, কাজে-কর্মে কোনাে মিল
নেই এবং শঠতা ও প্রবঞ্চনার আশ্রয় নেয়।
উচ্চাকাঙ্ক্ষার অভাব সমালােচনার ভয়ে ভীতদের থাকে মানসিক এবং শারীরিক আলস্য, থাকে স্বাধিকারের অভাব, সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধীরগতিসম্পন্ন, সহজেই অপরের দ্বারা প্রভাবিত, অন্যদের পেছনে সমালােচনা করে কিন্তু সামনাসামনি হলে তােষামােদ করে, কোনােরকম প্রতিবাদ বা আপত্তি ছাড়াই মেনে নেয় পরাজয়, কেউ বিরােধিতা করলে উদযােগ থেকে সরে যায়, কোনাে কারণ ছাড়াই অন্যদেরকে সন্দেহের চোখে দেখে, কৌশলীভাবে কথা বলতে জানে না। সেভাবে চলাফেরাও করতে পারে না এবং ভুল হলে তার দোষ স্বীকারও করেনা।