আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু,
প্রিয় পাঠকগণ আশা করি সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন।
মহান আল্লাহ তাআলার রহমতে আমিও ভাল আছি সুস্থ আছি।
আজকে আমি আপনাদেরকে আপনাদেরকে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার সেরা 10 টি উপায় শেয়ার করব।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।
বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের জন্য।
পোস্টটি সম্পুর্ণ পড়ার অনুরোধ রইল –
বর্তমানে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সমস্যা হচ্ছে পড়ালেখায় মনোযোগী হতে পারে না অথবা পড়া বেশি সময় মনে থাকেনা।
এই নিয়ে অভিভাবক গন চিন্তিত থাকেন আশা করি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা আজকে থেকে পড়ালেখায় মনোযোগী হতে পারবেন।
তো আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক –
এক –
টেবিলে বসে পড়ার অভ্যাস করা –
পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার জন্য টেবিলে বসে পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় অনেকে শুয়ে-বসে এবং খাটে শুয়ে পড়ি যার ফলে বেশ কিছুক্ষণ পর ঘুম ঘুম ভাব আসে । যার কারনে পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটে।
দুই-
একটানা না পড়া-
পড়ালেখার মাঝে কিছু সময় রেস্ট নেওয়া উচিত। কারণ একটানা পড়লে মাথার ব্রেনের উপরে চাপ পড়ে। আর পড়ার মাঝ কিছু সময় বিশ্রাম নিলে পড়াশোনায় আরো মনোযোগী হওয়া যায়।
তিন-
পড়ালেখা সময় টিভি মোবাইলে সব দূরে সরিয়ে রাখা –
পড়ালেখার সময় যথা সম্ভব এসব ডিভাইস থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ এগুলোর পড়ালেখায় মনোযোগী ব্যাঘাত ঘটায় এবং যথাসম্ভব পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটে। এমন জিনিস যেমন -খেলনা, খাবার এসব থেকে দূরে থাকা।
চার-
কোলাহলমুক্ত স্থানে পড়াশোনা করা –
গবেষণায় দেখা গেছে কোলাহল যুক্ত স্থান থেকে কোলাহল মুক্ত স্থানে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়া যায়। তাই যথাসম্ভব কোলাহল যুক্ত কিংবা নির্জন জায়গায় পড়াশোনা জন্য বেছে নিতে হবে। পড়ালেখার জন্য সকাল টাইম উত্তম।
পাচ-
পর্যাপ্ত ঘুম –
পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে পর্যাপ্ত ঘুমানো।দৈনিক ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। পর্যাপ্ত না ঘুমালে মস্তিষ্কের উপরে চাপ পড়ে। তাই প্রতিদিন অন্তত পক্ষে 8 ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
ছয়-
প্রচুর পরিমাণে
শাকসবজি খাওয়া-
আমাদের অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খাওয়া উচিত। এর ফলে আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। যেমনঃ গাজর টমেটো, শাক ইত্যাদি খাওয়া।
grathor.com এর সাথেই থাকবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।