আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই, আশা করি ভাল আছেন।আজকের আলোচনার মূল ভিত্তি হচ্ছে কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রকারভেদ সম্পর্কে শ্রেণীবিভাগ সম্পর্কে। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি।
প্রয়োগ ক্ষেত্রের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ তৈরি হয়েছে । যেমন- সাধারণ কম্পিউটার, বিশেষ কম্পিউটার, অ্যানালগ কম্পিউটার, ডিজিটাল কম্পিউটার, হাইব্রিড কম্পিউটার, সুপার কম্পিউটার, মেইনফ্রেম কম্পিউটার, মিনি কম্পিউটার, মাইক্রো কম্পিউটার।
প্রজন্ম, প্রয়োগ ক্ষেত্র, ডাটা গ্রহণ ও প্রক্রিয়াকরণ, আকার-আকৃতি ও সামর্থ্য এবং ক্ষমতা অনুযায়ী আধুনিক কম্পিউটারের বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যেমন –
স্বাধীনতা প্রজন্ম গত দিক থেকে কম্পিউটার ৫ শ্রেণীতে ভাগ করা হয়।
প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার, দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার, তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার, চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার, পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার।
আবার ক্ষেত্রের উপর ভিত্তি করে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- সাধারণ উদ্দেশ্যের কম্পিউটার ও বিশেষ উদ্দেশ্যের কম্পিউটার।
সাধারণ উদ্দেশ্যের কম্পিউটার: প্রায় সব ধরনের কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার কে সাধারণ উদ্দেশ্যের কম্পিউটার বলা হয়।সাধারণত দেশের কম্পিউটারের ব্যবহারকারীগণ ইচ্ছামত প্রোগ্রাম পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করতে পারে এবং বিভিন্ন ব্যবহারিক সফটওয়্যার (Application Software) চালনা করতে পারে।
বিশেষ উদ্দেশ্যের কম্পিউটার: যে সকল কম্পিউটার কোন বিশেষ উদ্দেশ্যের জন্য নির্মাণ করা হয় তাদেরকে বিশেষ উদ্দেশ্যে কম্পিউটার বলা হয়। যেমন- কোন যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ, আলট্রাসনোগ্রাফি, ভিডিও গেম, রকেটের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ, চক্ষু পরীক্ষা, মল-মূত্র ও রক্ত পরীক্ষা ইত্যাদি বিশেষ কাজের জন্য বিশেষ উদ্দেশ্যে কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। এসকল কম্পিউটারে সাধারণত হাই লেভেল প্রোগ্রামিং ভাষায় প্রোগ্রাম করা যায় না। নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম পূর্ব থেকেই স্থাপন করে দেয়া থাকে।
সেক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি ডাটা গ্রহণ ও প্রক্রিয়াকরণ অর্থাৎ পরিচালনা নীতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা-
অ্যানালগ কম্পিউটার (Analogue computer)
ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital computer) ও
হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid computer)।
এনালগ কম্পিউটার (Analogue computer): এনালগ কম্পিউটার পরিবর্তনশীল বৈদ্যুতিক তরঙ্গ দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি মূলত পদার্থবিজ্ঞানের নীতির ভিত্তিতে গঠিত একটি পরিমাপক যন্ত্র। চাপ, তাপ, তরলের প্রবাহ ইত্যাদি পরিবর্তনশীল ডাটার জন্য স্পষ্ট বৈদ্যুতিক তরঙ্গ এনালগ কম্পিউটারের ইনপুট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ধরনের কম্পিউটার পরিবর্তনশীল ভোল্টেজ থেকে ডাটা মুছে নিয়ে প্রক্রিয়াকরণ করতে সক্ষম। প্রক্রিয়াজাত ফলাফলকে সাধারণ প্রদর্শনের কাটার মাধ্যমের সাহায্যে প্রকাশ করে।
ডিজিটাল কম্পিউটার (digital computer) : ডিজিটাল কম্পিউটার ডাটা হিসাবে বর্ণ, সংখ্যাও কিছু বিশেষ প্রতীক গ্রহণ করে। মূলত এটি গণিতের নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত একটি গণনাযন্ত্র বা (Counting device) । এ কম্পিউটারে প্রক্রিয়াকরণের ফলাফল সরাসরি লিখিতভাবে পাওয়া যায়। ডিজিটাল কম্পিউটার খুবই সূক্ষ্ম ও নির্ভুল ফলাফল দিতে পারে।সাধারনত কম্পিউটার বলতে ডিজিটাল কম্পিউটার কে বোঝায়।
হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid computer) : হাইব্রিড কম্পিউটার এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের কাঙ্খিত বৈশিষ্ট্যের সমন্বয় ঘটিয়ে হাইব্রিড কম্পিউটার তৈরি করা হয়। হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা (ICU) তে ব্যবহৃত কম্পিউটার এর উদাহরণ এখানে দেওয়া যায়। তথ্য সংখ্যায় রূপান্তর করে ডিজিটাল প্রাপ্ত ডাটা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে রোগীর অবস্থা পর্যালোচনা করে। কোন অস্বাভাবিক অবস্থা নির্ণীত হওয়া মাত্রই ডিজিটাল প্রতারনার ডাক্তারকে জানিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে এনালগ অংশ রোগের হার্টের কার্যাবলী তাপমাত্রা এবং অন্যান্য জরুরি অবস্থা পরিমাপ করে। তারপর ওই পরিমাপক তথ্য সংখ্যায় রূপান্তর করে ডিজিটাল অংশে প্রাপ্ত টাটা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে রোগীর অবস্থা পর্যালোচনা করে কোন স্বাভাবিক অবস্থা নির্ণয়ে তাপমাত্রার ডিজিটাল অংশত নার্স ডাক্তার কে জানিয়ে দেয়। হাইব্রিড কম্পিউটার মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে জটিল সমস্যার দ্রুত সমাধান করা সম্ভব।
আজকের এই পোষ্ট এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন খোদা হাফেজ।
http://grathor.com/earning-program/?mref=ADMIN