101 বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আত্মহত্যা করেছে

গত এক বছরে 101 জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে যা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান আত্মহত্যার প্রবণতা দেখাচ্ছে। প্রায় নয়টি আত্মহত্যার…
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। আজকের পোস্টে কর্ণফুলী টানেলের বর্তমান অবস্থা  নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি। তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক। কর্ণফুলী টানেলের বর্তমান অবস্থা কর্ণফুলী টানেল, যা চট্টগ্রাম এ অবস্থিত বন্দর ও আনোয়ারা উপজেলাকে সংযুক্ত করবে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে দেবে, চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলকে একটি ব্যবসায়িক কেন্দ্রে পরিণত করার মাধ্যমে উন্নয়নের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় প্রদান করবে। দেশের প্রথম আন্ডারওয়াটার এক্সপ্রেসওয়ে টানেলটি এই ডিসেম্বরে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার আশা করায় কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে বেশ কয়েকটি বড় শিল্প কারখানা সারিবদ্ধ হতে শুরু করেছে – এর ৮৭% কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে৷ নতুন বিনিয়োগ আসছে এবং নতুন শিল্প স্থাপন করা হচ্ছে, আবার অনেক পুরানো কারখানা সম্প্রসারিত হচ্ছে। এছাড়া কারখানা স্থাপনের জন্য বেশ কিছু বৃহৎ শিল্প গ্রুপ আগাম জমি কিনেছে। চট্টগ্রাম এ স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে, জানতে পারা গেছে যে ব্যবসায়গুলি বিভিন্ন সেক্টরে অন্তত ৮০টি বড় শিল্প ইউনিট গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে - পোশাক, জাহাজ নির্মাণ, ভোজ্য তেল, কর্ণফুলীর দক্ষিণ তীরে মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ, ইস্পাত, সিমেন্টসহ অন্যান্য। এরই মধ্যে কয়েকটি কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। মোস্তফা-হাকিম গ্রুপ, দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়িক সংগঠন, ১,৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে একটি স্টিল প্ল্যান্ট এবং একটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। দুটি কারখানা - এইচএম স্টিল প্ল্যান্ট এবং এইচএম অক্সিজেন প্ল্যান্ট - বর্তমানে প্রায় ২০০০ শ্রমিক নিয়োগ করে।এছাড়া আরো অনেক বৃহৎ আকিজ গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠান গুলো কারখানা স্থাপনের জন্য কর্ণফুলী ও আনোয়ারা উপজেলায় জমি কিনেছে। কর্ণফুলী উপজেলার জুলধায় যেসব শিল্প ইউনিট ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে তার মধ্যে রয়েছে সুপার ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড, পারটেক্স পেট্রো লিমিটেড, অ্যাকর্ন ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিসেস লিমিটেড এবং বিএন লুব্রিকেন্টস।কর্ণফুলীর খোয়াজনগর ও ইচ্ছানগর এলাকায় বেলামি টেক্সটাইল, এটিপি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, জিএসএল এক্সপোর্ট, বেঞ্চমার্ক অ্যাপারেল, ইউয়াসা ব্যাটারি ফ্যাক্টরি উৎপাদন শুরু করেছে। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু টানেলের অ্যাপ্রোচ রোডের পাশে প্রায় এক একর জমির ওপর এইচএস কম্পোজিট টেক্সটাইল নামে একটি বড় পোশাক কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে। কারখানাটি ৩,০০০-৫,০০০ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।সাদ মুসা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কটি মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একটি পাঁচ একর জমিতে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে কটন মিল, টেক্সটাইল মিল, স্পিনিং মিল এবং কম্পোজিট টেক্সটাইল মিল সহ বেশ কয়েকটি রপ্তানিমুখী কারখানা রয়েছে। এভাবে কর্ণফুলী টানেল থেকে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়ার কথা বিবেচনা করে কর্ণফুলীর দক্ষিণ তীরে ব্যাপক শিল্পায়ন চলছে। ফলে কর্ণফুলী ও আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনে দেখা গেছে, পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো আধা-শহর এলাকায় পরিণত হচ্ছে।ব্যবসায়ীরা বলছেন, কর্ণফুলী টানেল দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পর্যটন ও অর্থনীতির জন্য সুযোগের একটি জানালা খুলে দেবে। এই টানেলটি মাতারবাড়ী ও চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্রবন্দর এবং দেশের বাকি অংশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ সহজতর করবে বলে তারা মনে করেন। শুধু আনোয়ারা ও কর্ণফুলী নয়, কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত পুরো এলাকায় টানেলটি উদ্বোধনের পর ব্যাপক বিনিয়োগ হবে বলেও তারা আশা করছেন। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, টানেলটি ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে ৫০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার কমিয়ে দেবে। এটি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাথে কর্ণফুলীর দক্ষিণ তীরে বসবাসকারী মানুষের যোগাযোগ সহজ করবে।। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রভাষক মইনুল ইসলাম বলেন, 'বঙ্গবন্ধু টানেলটি চালু হলে আনোয়ারাসহ দক্ষিণ চট্টগ্রাম শিল্পোন্নত হবে।' টানেলের মাধ্যমে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, চট্টগ্রাম বন্দর, বে টার্মিনাল এবং মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযুক্ত হবে। প্রভাব পড়বে ব্যাপক। এটি মিরসরাইকে কক্সবাজারের সাথে সংযুক্ত করবে এবং এশিয়ান হাইওয়ের অংশ হবে।' বর্তমানে শাহ আমানত সেতু, তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু থেকে কালুরঘাট সেতু হয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে। টানেলটি চালু হলে কর্ণফুলী সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারী অনেক যানবাহন সেতুর পরিবর্তে টানেল ব্যবহার করবে। দক্ষিণ চট্টগ্রামে স্থাপিত কল-কারখানার শিল্প পণ্যবাহী যানও এটি ব্যবহার করবে। ৮৭% কাজ সম্পন্ন হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ হতে জানা যায় যে জুন পর্যন্ত ১০,৩৭৪ কোটি টাকার প্রকল্পের প্রায় ৮৭% কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া টানেলের দুই পাশে অ্যাপ্রোচ রোড ও ফ্লাইওভারের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে বলেও জানান তিনি। "আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে টানেলটি চালু করার লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে কাজ করছি। তবে আমরা এখনই বলতে পারছি না যে এই সময়ের মধ্যে সব কাজ করা যাবে কি না কারণ টানেলের ভিতরে যোগাযোগ ব্যবস্থা আনতে দেরি হচ্ছে, যার মধ্যে বাতাস চলাচল এবং অন্যান্য সরঞ্জাম, চীনের সাংহাইতে লকডাউনের কারণে। যদিও কিছু সরঞ্জাম এখন আসছে, তবে এটি ধীর গতিতে সরবরাহ করা হচ্ছে," প্রকল্প পরিচালক বলেছেন। এদিকে টানেল প্রকল্প কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। আবেদন গৃহীত হলে, প্রকল্পের বাস্তবায়নের সময় হবে জুন ২০২৩ পর্যন্ত। এদিকে জমির দাম বাড়ছে, জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে । টানেলের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে আনোয়ারা-কর্ণফুলী অঞ্চলের প্রায় সমগ্র অর্থনীতি কৃষির উপর নির্ভরশীল কারণ মাত্র ২% জমি শিল্পের জন্য ব্যবহৃত হত, যেখানে ৪৭% কৃষি জমি। কিন্তু, কর্ণফুলী টানেল চালু হওয়ার পর প্রায় ২৭% এলাকা শিল্পের জন্য ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, প্রতিবেদনে যোগ করা হয়েছে। সম্ভাব্যতা সমীক্ষার সাত বছরের মধ্যে, কর্ণফুলীর দক্ষিণ তীরে জমি দশ গুণেরও বেশি বেড়েছে কারণ দেশের শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলি সহ কয়েকশ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গত তিন থেকে চার বছরে সেখানে হাজার হাজার একর জমি কিনেছে।প্রবাসী মিজানুর রহমান তার কৃষি জমি একটি শিল্প গ্রুপের কাছে বিক্রি করে যে অর্থ উপার্জন করেছেন তা দিয়ে টানেলের অ্যাপ্রোচ রোডের পাশে একটি চারতলা বাড়ি তৈরি করেছেন। মিজান বলেন, আমি যে হারে জমি বিক্রি করেছি তা আমার ধারণার চেয়ে বেশি। এদিকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সরকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পটি কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, চকরিয়া, টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় ৩২,৪৬২ মিলিয়ন জাপানি ইয়েন ব্যয়ে বাস্তবায়িত হবে।আনোয়ারা-পেকুয়া সড়কের উন্নয়ন প্রয়োজন। স্থানীয় লোকজন বলছেন, টানেলের সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে আনোয়ারা-বাঁশখালী-কক্সবাজার থেকে পেকুয়া পর্যন্ত সড়কটির উন্নয়ন করা প্রয়োজন।বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে এ প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। সবুজ আলো পাওয়ার দুই বছর পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে খরচ সংশোধিত হয় ১০,৩৭৪ কোটি টাকা পর্যন্ত। এই টানেলটি ৩.৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ, যেখানে দুটি টিউবের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২.৪৫ কিলোমিটার যার ব্যাস ১০.৬০ মিটার। প্রতিটি টিউব দুটি লেন নিয়ে গঠিত হবে। মূল টানেলের পশ্চিম এবং পূর্ব প্রান্তে একটি ৫.৩৫ কিমি সংযোগ সড়ক এবং ৭২৭ মিটার দীর্ঘ ওভারব্রিজ থাকবে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ১৪ অক্টোবর ২০১৬ এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

কর্ণফুলী টানেলের বর্তমান অবস্থা

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। আজকের পোস্টে …
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। এই পোস্টে মিন্নির বর্তমান অবস্থা  নিয়ে আপনাদের কাছে হাজির হলাম । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক। মিন্নির বর্তমান অবস্থা আমরা রিফাত হত্যার ঘটনা কমবেশি সকলে জানি। রাস্তার মধ্যে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আর এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল রিফাতের স্ত্রী মিন্নি। মিন্নি তার প্রেমিক নয়ন কে সাথে করে নিয়ে তার হাজব্যান্ড রিফাতকে হত্যা করে। এই ধরনের ঘটনা শুধু সিনেমাতেই ঘটতে দেখা যায়। ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করে, নয়ন ও তার সহযোগীরা। হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নয়ন পুলিশের সাথে বন্দুক গোলাগুলিতে নিহত হন। আর মিন্নি এখনো জীবিত অবস্থায় জেলে আছে। আর আজকে আমরা জানবো মিন্নির এখনকার বর্তমান অবস্থান। মিন্নির বর্তমান অবস্থা:-কারাগারে করে কেমন আছেন সেই মিন্নি। কি জানিয়েছেন তার পরিবার। কি জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। নিজের ভুলগুলো বুঝতে পেরে অনুশোচনা কারাগারে বসে বসে কি করছে। তার বিস্তারিত এখন জানতে পারবেন। আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। দর্শক বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুর দণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দীক মিন্নি। গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় মহিলা কারাগারে বন্দী আছে। হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘদিন নজরদারি রেখেছিল মিন্নির উপর পুলিশ। ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই পুলিশ থানায় নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেন। এরপর মাঝে জামিনেও ছিলেন তিনি। পরে সে জামিন বাতিল করা হয়। সে সময় বরগুনা জেলা কারাগারে ছিলেন মিন্নি। তারপর তাকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়। রায়ের পর তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে কারাগারে কেমন আছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি কারাগারে তিনি ভালই আছেন। কিন্তু তার পরিবারের দাবি কারাগারে মিন্নি ভালো নেই। পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে পারছেন না তিনি। মিন্নির বাবা জানান তার মেয়ের শরীরে নানা ধরনের অসুখ বাসা বেঁধেছে। মৃত্যুর দন্ডের বিরুদ্ধে আপিল করলেও, করনার কারনে উচ্চ আদালতের কার্যক্রম দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকায়, মামলাটির কার্যক্রম বন্ধ হয়েছিল। হত্যাকাণ্ড মামলায় প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন মিন্নি। পরবর্তীতে তিনি হয়ে যান হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি। কারণ তার পরিকল্পনাতেই প্রেমিক নয়ন হত্যা করেছিলেন রিফাত কে করা মামলায় 2020 সালে ৩০ শে সেপ্টেম্বর বরগুনা জেলা ও দাইরা জর্জ মিনি সহ ৬ জন কে ফাঁসির রায় দেয়। আদালতের রায়ের পর বরগুনা জেলা কারাগার থেকে নেয়া হয় কাশিমপুর মহিলা কারাগারে। সেখানে আছেন তিনি। মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন তার পরিবার। কারাগারের আইনজীবী জানান মিন্নি সেখানে সুস্থ আছেন। প্রতি সপ্তাহে পরিবারের সাথে কথা বলার সুযোগ রয়েছে মিন্নির। প্রতি সপ্তাহে মিন্নি পরিবারের সাথে টেলিফোনে কথা বলেন। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

মিন্নির বর্তমান অবস্থা

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। এই পোস্টে…
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। আজকের পোস্টে রিং আইডির বর্তমান অবস্থা  নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি। তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক। রিং আইডির বর্তমান অবস্থা তার আগে আমরা জেনে নিই রিং আইডি কবে কখন এবং কোন সময় চালু করা হয়। কানাডার মন্ট্রিয়েল সিটিতে অবস্থিত ‘‌রিং ইনকর্পোরেশন’ দ্বারা পরিচালিত। কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত আইরিন ইসলাম ও শরিফ ইসলামের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয় রিং আইডি। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে রিং আইডি প্রথম প্রকাশ হয়। এবং এটির মাধ্যমে ফ্রিতে কল এবং স্টিকার এবং কথাবার্তা বলা যেত। এবং রিং আইডিতে এমন একটি ফিউচার ছিল যেটার জন্য রিং আইডি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। সেটা হলো রিং আইডিতে একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে মেসেজ পাঠানো যেত এবং সেই সময়টি পার হয়ে গেলে মেসেজটি অটোমেটিক রিমুভ হয়ে যেত। এবং রিং আইডি থেকে ইনভেস্ট করে ইনকাম করার ব্যবস্থা ছিল। এই সকল কারণে রিং আইডি খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। রিং আইডির বর্তমান অবস্থা :-রিং আইডির একটি ছোট্ট একটি আপডেট নিয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। আপডেটটি খুবই দুঃখজনক। সেই আপডেটটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নরমালি ভাবে আমরা সবাই জানি যে টাকাগুলো আমরা রিং আইডি তে ইনভেস্ট করেছি সে টাকা গুলো বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে আটকে আছে। ফ্রিজ অবস্থায় আছে এটা আমরা এতদিন জেনে আসছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে 212 কোটি টাকা আটক আছে এটা cid ব্রিফিংয়ে বলেছিল। এবং বিভিন্ন যে নিউ চ্যানেল গুলো আছে সেগুলোতে বলেছিল। এবং যে ধরনের সব বড় বড় পত্রিকা আছে সব পত্রিকাতে এটা বলা হয়েছিল ২১২ কোটি টাকা ফ্রিজ করে রেখেছি, এবং তারা যদি সঠিক নিয়মে ফিরে আসে তাহলে এই টাকার তাদের ফিরিয়ে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে মাত্র ৭৭ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে আছে। তাহলে বাকি টাকা কই গেল। আরেকটা নিউজ পত্রিকায় বলা হয়েছিল ৩৭৭ কোটি টাকা রিং আইডি বিদেশে পাচার করেছে। রিং আইডির বর্তমান অবস্থান খুবই খারাপ। অনেক গরিব মানুষ এখানে দুই টাকা ইনকামের আশায় অনেকের কাছ থেকে ধার দেনা করে এখানে ইনভেস্ট করেছে। এবং রিং আইডির মালিক গরিব মানুষের এই টাকাগুলা নিয়ে পালিয়ে গেছে। বর্তমানে রিং আইডির মালিক এক এক সময় একাত রকমের আপডেট নিয়ে আসছে।আমরা মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আমাদের কোন জীবনের গ্যারান্টি নেই। এজন্য আমি বলতে পারি এই ধরনের ইনভেসমেন্ট সাইটের কোন গ্যারান্টি নেই। এই ধরনের সাইটগুলো যখন অনেক টাকা জমা হয়ে যায় তখন তারা সকল টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এজন্য আমি বলব আপনারা ইনভেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন এবং হালাল পথে ইনকাম করার চেষ্টা করুন। মহান আল্লাহতালা যেন আমাদের সেটুকু বোঝার তৌফিক দান করে। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

রিং আইডির বর্তমান অবস্থা

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। আজকের পোস্টে…
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। আজকের পোস্টে  সিলেটের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি। তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক। সিলেটের বর্তমান অবস্থা চা শ্রমিকদের বিক্ষোভ:- আমাদের দেশে শ্রমিক রা ন্যায্য মূল্য বা পারিশ্রমিক পাই না সব ধরণের কর্মক্ষেত্র থেকে। সিলেটে চা শ্রমিকদের ও একই অবস্থা, বর্তমান বাজারে তাদের পারিশ্রমিক ১২০ টাকা ছিল। যেখানে দ্রব্য মূল্য থেকে শুরু করে সব ধরণের জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোয়া, সেখানে চা শ্রমিকদের পারিশ্রমিক অতি নগন্য। আমাদের দেশে শ্রমিক রা যুগ যুগ ধরে অবহেলিত, যা অন্য কোনো রাষ্ট্যে বা দেশে এ রকম অবহেলিত না। চা মালিকেরা চা শ্রমিকদের সাথে এ বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন। চা শ্রমিক রা কাজ ছেড়ে দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন, তাদের পারিশ্রমিক বা বেতন বাড়ানোর জন্য। প্রথম ধাপের আন্দোলনে ১২০ টাকা থেকে আরো ২৫ টাকা বাড়িয়ে মোট ১৪৫ টাকা করে। এতে তারা আবার কাজে যোগ দান করেন। কিন্তু গত ২১ আগস্ট থেকে তারা আবার পুনরায় আন্দোলন শুরু করেন। দৈনিক পারিশ্রমিক বা বেতন ১৪৫ টাকা প্রত্যাখ্যান করে তারা ৩০০ টাকা মজুরি করার দাবি করেন। চা শ্রমিকদের দাবি হচ্ছে দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা দিতে হবে এবং এটা যাতে বাস্তবায়ন হয়। বন্যার পরিস্থিতি:- বাংলাদেশের উচু জেলা গুলোর ভিতর একটি হলো সিলেট। এই বছরের মে - জুন এর দিকে সিলেটি প্রবল ভাবে বন্যা দেখা দেয়, যা কখনো এর আগে সিলেট বাসী দেখে নাই। বন্যায় সিলেটে অনেক ক্ষয়-ক্ষতি হয়, সেখানে অনেক মানুষের প্রাণহানি হয় এবং অনেকে আশ্রয়হীন হয়ে পরে। খাদ্য, বিশুদ্দ পানি, বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়জনীয় সকল কিছুর সংকটে পরে সিলেট বাসী। অনেকেই অনেক কষ্টে দিন পার করেছেন, তারা বন্যার শুরুর দিকে কোনো ধরণের ত্রাণ সহায়তা পান-নি বলে দাবি করেছিলেন। তারা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন, পরের দিকে আমাদের দেশের রাজনৈতিক, বিভিন্ন ধরণের সংগঠন, বিভিন্ন ধরণের ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিল্পপতি, প্রবাসী এবং কিছু ব্যক্তিক বা লোকজন সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন এবং সবাই একত্ব হয়ে বন্যার সমস্যা কাটিয়ে উঠেছেন। এখন সিলেটের অবস্থা স্বাভাবিক আছে, মানুষ জন তাদের বন্যা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক জীবনে পীরে এসেছে। সিলেটে বর্তমান জনসংখ্যা ও রাজনীতি:- সিলেটে জনসংখ্যা সিটি কর্পোরেশন এর হিসেবে অনুযায়ী ৪,৭৯,৮৩৭ জন। তাদের তথ্য অনুযায়ী শিক্ষার হার মোট জনসংখ্যার ৬৭.৬%। সিলেট জেলা বা সিটি কর্পোরেশন এ রয়েছে ২৭ টি ওয়ার্ড এবং ২৩৬ টি গ্রাম বা মহল্লা। সিলেটে রয়েছেন অনেক গুণী সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, ইসলামী চিন্তাবিদ। কথা সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম এই সিলেট জেলায়। সাবেক স্পিকার হুমায়ন রশিদ চোধরী, মাওলানা আতহার আলী, সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সহ অনেক গুণী রাজনীতিবিদ দের জন্ম সিলেট জেলায়। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

সিলেটের বর্তমান অবস্থা

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। আজকের পোস্টে …
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। এই পোস্টে পদ্মা সেতুর বর্তমান অবস্থা  নিয়ে আপনাদের কাছে হাজির হলাম । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক। পদ্মা সেতুর বর্তমান অবস্থা ঢাকা ও দক্ষিণবঙ্গের মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী বাঙালির স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেলসেতু। চলতি বছরের ২৫ জুন তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেলা পৌনে বারোটার দিকে সেতুটি উদ্বোধন করেন। সেতুটির পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল আরো দুই যুগ আগে। এরপর এবছরের ২৫ জুন তারিখে, বাংলাদেশের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি এই সেতুটির উদ্বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ টি জেলা, রাজধানী ঢাকা ও দেশের বাকি অংশের সাথে যুক্ত হয়েছে। এতে করে মানুষের ফেরিতে পারাপারের ভোগান্তি কমেছে। সেই সাথে খুলে গেছে সম্ভাবনার নতুন নতুন দ্বার। নৌপথে পাড়ি দিতে যেখানে আগে ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে যেত, এখন সেতুর মাধ্যমে সড়কপথে পাড়ি দিতে মাত্র সাত মিনিট লাগে। সেতুটি মাওয়া ও জাজিরা পয়েন্ট দিয়ে নির্দিষ্ট পথের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটিয়েছে। সেতু উদ্বোধনের দিন যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু ২৬ জুন ভোর ৬টা থেকে সেতুটি উন্মুক্ত করা হয় যানবাহন চলাচলের জন্য। ১ম দিনে সেতুর উপর দিয়ে ৫১ হাজার ৩১৬ টি যানবাহন চলাচল করে। সেতু খুলে দেয়ার ১ম ৪১ দিনের দৈনিক হিসেব থেকে জানা যায়, সেতুর উপর দিয়ে ৪১ দিনের প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ হাজার যানবাহন চলাচল করে এবং মোট হিসাব থেকে জানা যায়, এই ১ম ৪১ দিনে মাওয়া ও জাজিরা দুই প্রান্তের টোল প্লাজা দিয়ে মোট ৮ লাখ যানবাহন চলাচল করেছে। মোট টোল আদায় হয়েছে ১০০ কোটিরও বেশি। সেতু চালুর প্রথম দুই মাসে অর্থাৎ ৬০ তম দিন পর্যন্ত মোট টোল আদায় হয়েছে ১৩৮ কোটি ৮৪ লাখ ৩ হাজার ৮৫০ টাকা। এই সময়ে মোট ১০ লাখ ৪৯ হাজার ৩৩৫ টি যানবাহন সেতুটি অতিক্রম করেছে। গত ১ সেপ্টেম্বর, সেতু উদ্বোধনের ৬৮ তম দিনে, সেনাবাহিনীর সদস্যরা পদ্মা সেতু রক্ষার দায়িত্ব হস্তান্তর করেন আনসার বাহিনীর হাতে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে সেতু নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন আনসার বাহিনীর সদস্যরা। ৩১ আগস্ট, বুধবার, সেতু কতৃপক্ষের সাথে সেনাবাহিনীর চুক্তি শেষ হওয়ায় এই দায়িত্ব হস্তান্তরিত হয়। ২০১২ সাল থেকে পদ্মা সেতু নিরাপত্তা রক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিলেন প্রায় ৩ হাজার সেনাবাহিনীর সদস্য। সেতুর নির্মাণাধীন কাজ শুরু হওয়ার পর বিভিন্নভাবে ফোর্স গঠন করে সেতুকে ঘিরে রাখে। নির্মাণ কাজ চলাকালীন ও কাজ শেষে উদ্বোধনের পর সব মিলিয়ে টানা ১০ বছর ধরে সেতুটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন সেনাবাহীনার সদস্যরা। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী জানান যে, সেতুর নিরাপত্তা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং টোল আদায়ের জন্য বিদেশি ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। তারাই সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তাই এখন বিদেশি কোম্পানীর অধীনে আনসার বাহিনী সেতুর নিরাপত্তার কাজে থাকবে। তিনি আরো জানানা, সেতুর দুই প্রান্তে সেনানিবাস করা হয়ছে। নামকরণ করা হয়েছে শেখ রাসেল সেনানিবাস। বর্তমানে দায়িত্ব হস্তান্তরের পর সেনাবাহীনির সদস্যরা এই সেনানিবাসে অবস্থান করবেন। তবে প্রয়োজন মোতাবেক সরকার আবার সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেতুতে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন। বর্তমান সময়ে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের ভাঙ্গা জনফশনে রেললাইন স্থাপনের কাজ চলছে। গত ২০ আগস্ট, শনিবার, দুপুর ১২ টায় রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এই কাজের শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন কালে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে তার বক্তব্যে বলেন, ২০২৩ সাল থেকে পদ্মা সেতুর উপর ভাঙ্গায় রেল চলবে। এই প্রকল্পটির আওতায়, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হবে। সেতুতে রেল সংযোগের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। পরিকল্পনা ছিল যে, সেতুতে যানবাহন চলাচলের সাথে সাথেই রেল চলাচলও শুরু হবে। কিন্তু রেললাইন বসানো সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো নির্মাণের কাজ পিছিয়ে থাকায় প্রকল্পটি এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হতে পারেনি। প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২৪ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত। ২৬ জুন থেকে আজ ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্যসূত্রের তথ্য হতে জানা যায়, বাঙালির স্বপ্নের সারথী পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণের ২১ জেলা ও রাজধানী ঢাকার সরাসরি সংযোগে অনেক কিছুই বদলে যাচ্ছে, অগ্রসর হচ্ছে উন্নয়নের পথে। সেতুর উপর দিয়ে দিনরাত স্বাচ্ছ্যন্দে যানবাহন চলাচল করছে। চারদিকে বইছে দিন বদলের হাওয়া। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

পদ্মা সেতুর বর্তমান অবস্থা

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। এই পোস্টে…
ফেরিঘাটের আজকের অবস্থা বর্তমান সময়ে ঢাকা ও দক্ষিণবঙ্গের মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে বাঙালির স্বপ্নের পদ্মা সেতু। গত ২৫ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষের বহু প্রতীক্ষিত স্বপ্ন সারথি পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে দুই অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াতের সাধারন দৃশ্য দেখা যেত মাওয়া ফেরিতে। দুই মাস আগেও মাওয়া ছিল দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম ফেরিঘাট।শিমুলিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে উপচে পড়া ভিড় ছিল রোজকারের খবরের হেডলাইন। এখন মাওয়া ফেরিঘাটের সেই ব্যস্ততা প্রায় নেই বললেই চলে। যেখানে ফেরির অপেক্ষায় থাকত অসংখ্য মানুষ, আজ সেখানে অপেক্ষমান কাউকেই তেমন দেখা যায় না। যেই ঘাটে আগে দাঁড়ানোর জায়গা থাকত না, ফেরি এলেই পারাপারের তাগিদে মানুষের ভিড় জমত, সেই ঘাটের পাটাতনই আজ তুলে রাখা হয়েছে। আগে যানবাহন নিয়ে মানুষ অপেক্ষা করত ফেরির জন্য, এখন ফেরি অপেক্ষা করে আছে। সারি সারি ফেরি দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু ফেরিতে ওঠার মতো কেউ নেই। তাই মাওয়া ফেরিঘাট আজ প্রায় জনশূন্য। মাঝেমাঝে দুই একটি বাস, মাইক্রোবাস, বাইক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তবে এই যানবাহনগুলো ফেরি পারাপারের জন্য দাঁড়িয়ে থাকেনা বরং যারা দূর থেকে সেতু দেখতে আসে কিংবা শখের বশে ইলিশ খেতে আসে তাদের জন্য দাঁড়িয়ে থাকে। হাঁক-ডাক আর যানবাহনের ব্যস্ততায় ঘেরা মাওয়া ঘাট এখন শুধুই স্মৃতি। ঘাট সংলগ্ন রাস্তাও ফাঁকা পড়ে আছে। সেতু উদ্বোধনের আগে পর্যন্ত এই রাস্তায় যানবাহনের চাপ ছিল প্রচুর। এখন সেখানে শুনসান নীরবতা। যাত্রীদের আনাগোনা না থাকায় মাওয়া ঘাটের ভিক্ষুকরা ভিক্ষা পায়না। আগে ভিক্ষা হিসেবে কতোই বা পেত! ৫ টাকা, ১০ টাকা খুব বেশি হলে ৫০ টাকা। এভাবে দেখলে দিনশেষে সব মিলিয়ে কতোই বা হতো! কিন্তু তাও একটা ভরসা ছিল। কিছু না কিছু তো জুটবে। যা পাবে তাই দিয়েই কোনভাবে হয় আধপেটা নাহয় না খেয়েই চালিয়ে নিবে। এই দৃশ্য ভিক্ষাজীবীদের কাছে খুবই সাধারণ। কিন্তু এখন তাদের সেই সামান্য উপার্জনও নেই। ঘাট সংলগ্ন রাস্তার আশেপাশে রয়েছে সারি সারি ইলিশ মাছের হোটেল। দূর দূরান্ত থেকে আসা মানুষের ভিড় জমত এই হোটেলগুলোতে। এখন সেই হোটেলগুলোও ফাঁকা পরে থাকে। আগের মতো ইলিশ মাছ খাওয়ার আর ভিড় জমে না। হয়তো মাঝেমাঝে শখের বশে আসা মানুষের আনাগোনা দেখা যায়। সেতু ওঠার আগে এরকম দৃশ্য দেখা যেত না। ফেরিঘাটে বি আই ডব্লিউ টি সি এর যে কক্ষগুলো রয়েছে, যে টিকেট কাউন্টার রয়েছে সবই এখন বন্ধ। সেখানকার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ এখন কর্মহীন জীবনযাপন করছে। বোঝাই যাচ্ছে যে, ফেরিঘাটের কোনকিছুই আর আগের মত নেই। আপাতদৃষ্টিতে এখানকার ভিক্ষাজীবীদের জীবন জীবিকার টান পড়ার দৃশ্য, ফেরি, রাস্তাঘাট, হোটেলের নিস্তব্ধতা সবই আমাদের মনঃক্ষুন্ন করে। হঠাৎ করে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখানকার সামগ্রিক অবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো এই যে, এই প্রভাব সাময়িক সময়ের জন্য। কেননা একইসাথে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কারণে গড়ে উঠেছে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান। উন্মোচিত হয়েছে সম্ভাবনার নতুন নতুন দ্বার। আজ এই পদ্মা সেতুর কারণে বেঁচে যাচ্ছে অসংখ্য রোগীর প্রাণ। ফেরিতে আটকে থাকতে হচ্ছে না মৃতপ্রায় রোগীদের। আটকে থাকছে না কারো স্বজনের মৃতদেহ। এই পদ্মা সেতুর কারণেই গতি এসেছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষ ছুটছে তার স্বপ্নের পথে। সময়ের সাথে সাথে মানুষ সবকিছুর সাথে অভ্যস্ত হয়ে যায়। হয় সে নিজেকে পরিবর্তন করে, নাহয় তার স্থান পরিবর্তন করে। সেরকমভাবেই মাওয়া ফেরিঘাটের ভিক্ষাজীবী মানুষগুলোও হয়তো জীবিকার টানেই একদিন অন্য কোথাও চলে যাবে। নতুনভাবে শুরু করবে জীবন। আর এই ফেরিঘাটের নিস্তব্ধতার সাথেও সেখানকার মানুষ একদিন অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।

ফেরিঘাটের আজকের অবস্থা

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। আজকের পোস্টে…
শ্যামনগর উপজেলার বাদঘাটা গ্রামে প্রকেীশলী শেখ আফজালুর রহমানের ছাদ বাগান।

পুষ্টি ও শখের চাহিদা পূরণে প্রকেীশলী আফজালের ছাদ বাগান

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর,সাতক্ষীরা: বিশ্বব্যাপী নগরায়ন বেড়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে গ্রাম গঞ্জও পিছিয়ে নেই। প্রত্যন্ত এলাকা গুলিতেও নগরায়ানের ছাপ পড়েছে। এর সাথে…

পদ্মা সেতুর কি কি কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে জেনে নিন

মূল সেতুকর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরুর তারিখ: নভেম্বর ২০১৪কাজের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজের শেষ তারিখ: জুন ২০২২অবস্থা: সমস্ত স্টিল এবং বোর…

মহামারি কোভিড-১৯ চলাকালীন সময়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের আইকিউ সাধারণ শিশুদের তুলনায় কম

মহামারি কোভিড-১৯ চলাকালীন সময়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের আইকিউ সাধারণ শিশুদের তুলনায় কম -এমনটাই মার্কিন এক গবেষণায় দেখা গেছে! এই সংবাদটি…