বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি,তাই পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর। কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার এই লাইনকে উপেক্ষা করতে পারেনা কোনো প্রকৃতিপ্রেমী বাঙালী।বাংলার আনাচে-কানাচে লুকিয়ে আছে এমন সব সৌন্দর্য যা আজও অগোচরে,লোকচক্ষুর আড়ালেই রয়ে গেছে। এসব সৌন্দর্য আবিষ্কার করেছে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ আর সাথেসাথে অন্যদের সুযোগ করে দিয়েছে তা উপভোগ করার জন্য। এতো সবকিছুর ভীড়ে তেমনি একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হচ্ছে খুলনা বিভাগে অবস্থিত শেখ রাসেল ইকো পার্কটি।পরিবেশবান্ধব এই পার্কটি জনবহুল ও প্রাণবন্ত শহর থেকে কিছুটা নির্জনে যেখানে কেউ মন চাইলেই প্রিয়জন বা পরিজন নিয়ে ঘুরে আসতে পারে।কর্মব্যস্ততা আর প্রাত্যহিক জীবনের একঘেয়েমিতা দূর করার জন্য এরকম একটি নতুন পরিবেশের আর কোনো বিকল্প নেই। তারপর যদি সেই জায়গাটি হয় সবার জন্য উন্মুক্ত তাহলে হয়তো খুশিটা দ্বিগুন হয়ে ওঠে। পার্কের এক-তৃতীয়াংশ কাজই এখনো অসম্পূর্ণ কিন্তু তন্মধ্যেই এটি দর্শনার্থীদের দৃর্ষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছে।
এই ইকো পার্কটি শহর থেকে কিছুটা দূরে হলেও যাতায়াত ব্যাবস্হার ভালো সেবা থাকার জন্য তা আরও অনেক আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে। রূপসা ব্রিজের বামের রাস্তা থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার এর রাস্তা কেউ ইচ্ছা করলে মোটর বাইক, অটো রিক্সা মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। নদীতীরবর্তী এলাকা হওয়ায় রাস্তার দুইপাশের অপরূপ সব দৃশ্য বড়ই অভাবনীয় ভাবে মন কেড়ে নিতে বাধ্য। এই বিস্তৃত ও বৃহৎ পরিসরের শেখ রাসেল ইকো পার্কটিতে দর্শনার্থীদের উপস্হাপনের জন্য রয়েছে কাশফুলের অগাধ সমাহার যা জানান দেয় বাংলার চিরচেনা রূপ যা কবি আর শিল্পীদের অসংখ্য গান,কবিতা আর ছড়ার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। রূপসী রূপসা নদীর মনমাতানো ঢেউ যেন পার্কের মূল চিত্রই পাল্টে দেয়। পাখিদের কিচিরমিচির আর বাতাসের গন্ধে মন এমন উতলা হয়ে উঠে তখন বেসুরা হয়েও গাইতে ইচ্ছা করে” কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা”। নদীর তীরে পার্কটিতে বসার এমন সুন্দর জায়গা তৈরী করা হয়েছে যেখান থেকে প্রকৃতির রূপসুধা পান করতে করতে লক্ষ্য করা যায় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের প্রায় ২০ প্রজাতির গাছ যা নদীর তীরে পরম মমতায় রোপণ করা হয়েছে। এই অঞ্চলের এমন সবকিছু উপভোগ করতে করতে শরীর যখন জানান দেয় সে ক্লান্ত। তখন তার শান্তির জন্য রেস্টুরেন্ট আর রিফ্রেশমেন্টের ব্যাবস্হা ও রয়েছে। নদীর কিনারায় পার্কটি হওয়ায় এখানে যেমন রয়েছে প্রচুর আলো বাতাস তেমন রয়েছে হৃদয়কে প্রফুল্ল করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যাবস্থা। স্বাভাবিক জীবনের বাইরে মানুষের মনে উদ্দীপনা আর বৈচিত্র্যতা আনতে নতুন এক পরিবেশের সাথে পরিচিত হওয়া যেন অন্যরকম অভিজ্ঞতা। তাই একটু অন্যরকম স্হানে,শরুরে জীবনের কোলাহল থেকে দূরে কোথাও একান্ত সময় কাটানোর জন্য এরকম একটি পার্কের গুরুত্ব খুবই অপরিসীম।
Bhool Bhulaiyaa 3 Teaser Out! Kartik Aaryan Returns As ‘Rooh Baba’ With Sequel to His 2022 Blockbuster Arriving in Diwali 2024 (Watch Video)
The Bhool Bhulaiyaa franchise is all set to return with its third installment, and fans couldn't be more excited. Director...