প্রকৃতি আমার মা, সৌরজগত আমার বাবা, আমি কৃষ্ণগহ্বর আর আমার সন্তান বৃহৎ বিষ্ফোরণ। আমরা সকলেই প্রকৃতির সন্তান। বাংলার পার্বত্য অঞ্চল প্রকৃতি সাজিয়েছে অনন্যরূপে। এই অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমার সোনার সবুজ-রূপসী বাংলাদেশ। প্রকৃতির আলো-বায়ু-জীববৈচিত্র-বৃক্ষরাজি স্রষ্টা অপার স্নেহে দান করেছেন আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির সবুজ বাংলায়। মায়ের আঁচলের মাঝে মোহাচ্ছন্ন মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে সুবিশাল লতাগুল্মে জড়িয়ে আমাদের সন্তানদের বেঁচে থাকা তথা জীবন ও জীবিকায়। এখানে পাহাড়ের পদতলে রয়েছে নিরবধি চলা স্রোতস্বিনী গিরিখাত জলাধার। যার সুপেয় জলে তৃষ্ণা মিটায় আমাদের জীববৈচিত্রের প্রাণে সজীবতা মিলায়। এখানে রয়েছে পাশাপাশি সবুজ অরণ্য আর মাঠপ্রান্তর।
পাহাড়-সমুদ্র-সমতল-জঙ্গল এর আন্তরিক প্রীতি ডোরের বন্ধনে আমাদের প্রকৃতি খুলে দিয়েছে অসিম দিগন্তের শত রূপবৈচিত্র ও প্রেমসুধা যা আমাদের বেঁচে থাকা ও জীবনের পরম প্রাপ্তির এক সোনালী ভান্ডার। প্রকৃতিকে ভালোবাসি মায়ের মতো করে । প্রকৃতিতে বাঁচি, প্রকৃতিতে মরি, প্রকৃতিতে হারাই,। সেীরজগতের নিবিড় বন্ধনে প্রকৃতিতে যেন খুঁজে পাই জীবন ও মরণ এবং অসিম সুখ-শান্তির মায়াবী প্রাণের বন্ধন।
সমুদ্রের সাথে রয়েছে পাহাড়ের অদ্ভুত এক মিল। প্রতিটি পাহাড়মালার পাদদেশ বয়ে একটি নদী থাকে। নদীটি গিয়ে মিশে সাগরের সাথে। এভাবে পাহাড় আর সাগর একাকার হয়ে মিলেমিশে আছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সি-বিচ বাংলার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। বাংলাদেশের একমাত্র জেলা কক্সবাজার যেখানে মিলেমিশে রয়েছে বাংলার অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি পাহাড়-সমতল আর জল-জঙ্গল। সাগরের ঢেউয়ের তালে-তালে নোনা জলে নাইতে সবার মন মাতাল হয়। ঢেউয়ের গর্জনের মধূর সুরে সকল পর্যটক অনেকটা কন্ঠশিল্পী হয়ে উঠে। আর সমুদ্রের অপূর্ব সূর্যাস্ত না দেথে ফেরা মুশকিল!! আমাদের সকলের বাঙ্গলাকে ভালোবেসে রূপসী সবুজ-সোনার বাংলার পাহাড়-সমতল আর জল-জঙ্গলের বিরল সৌন্দর্য উপভোগ করা উচিত।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই প্রাচীন প্রত্নতত্ব নিদর্শনখ্যাত বাংলা জনপদবৈশ্বিক সকল ধর্ম-বর্ণ ও জাতি-গোষ্ঠির মনুষ্য সম্প্রদায়ের কাছে সম এবং সুন্দরভাবে তুলে ধরতে হবে। আমরা প্রকৃতির সন্তান হিসেবে প্রকৃতির আলো-বাতাস, বৃক্ষরাজি-জীববৈচিত্র্য সকল কিছুর প্রতি রয়েছে আমাদের সমান অধিকার। আর প্রকৃতি-ই আমাদের বাঁচায় প্রাণ। এই অপরূপ সুন্দর প্রকৃতি সুন্দর প্রকৃতি দয়াময় স্রষ্টা ছাড়া আর কেউ সৃষ্টি করেননি। প্রকৃতিতে রয়েছে হাজার-হাজার জীববৈচিত্র্য-বৃক্ষরাজি এবং পাহাড়-সমতল-জল-জঙ্গল। স্রষ্টা এই সমস্ত কিছু আমাদের জন্য দান করেছে প্রকৃতির মধ্য দিয়ে! প্রকৃতি যেন অসিম মঙ্গল। প্রকৃতির বিমুগ্ধ মায়াবী শান্তি-সুখের নীড়ে আমরা হা্রাই জীবন-যৌবন। প্রকৃতি নিঃষ্বার্থে দান করেছে আমাদের মায়া-মমতা, আলো-তাপ, বায়ু-জল, ফল-ফলাদিসহ নিত্য নৈমিত্তিক বেঁচে থাকার সকল অনুসঙ্গ।