আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা , আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন । আপনারা সুস্থ থাকলেই তো আপনাদের জন্য নতুন নতুন পোস্ট লিখতে পারবো আর আপনারা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন ।
বন্ধুরা আমরা পড়াশোনা করি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে দেশে বেকারত্ব দূর করতে। কিন্তু আপনি যদি একবার ভেবে দেখেন যে আপনি নিজে নিজে কিছু করুন নিজে নিজে আত্মকর্মসংস্থানে সৃষ্টি করুন । যাতে আপনিও অন্যদের কাজ দিতে পারেন । আপনি কর্মসংস্থানের সুযোগ করতে পারেন ।
আজ আমি আপনাদের দেখাবো কি কি বিষয়ে কাজ করলে আপনারা নিজেদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবেন , এবং কি করলে আপনারা আত্মসংস্থান করতে পারবেন ।
তো আর কথা না বলে আজকের পোস্ট শুরু করা যাক , আর আপনারা এই পোষ্ট টি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন ।
বন্ধুরা প্রথমে আমাদের জানতে হবে আত্মকর্ম সংস্থান কাকে বলে?
আত্ম কর্মসংস্থান বলতে নিজের কর্মসংস্থান কে বোঝায় বা কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া কে বোঝাই। নিজের কাজের সুযোগ সৃষ্টি তৈরি করলে আত্মতৃপ্তি লাভের পাশাপাশি অন্য লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাকেই আত্ম কর্মসংস্থান বলে।
এখন আমি দেখাবো কি কি কাজ করলে আপনি আত্ম কর্ম সংস্থান বা কাজের সুযোগ তৈরি করতে পারবেন।
ফসল চাষঃআত্মকর্মসংস্থানমূলক এসকল কৃষিকাজ সম্প্রসারণ অফিস থেকে বিনামূল্যে চাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন পদ্ধতি ও কীটনাশক ব্যবহারে সকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাওয়া যায় . ফলে আপনি ফসল চাষ করার মাধ্যমে সাবলম্বী হতে পারবেন।
গবাদিপশু পালনঃগবাদি পশুর খামার দেওয়ার মাধ্যমে মাংস দুধের ব্যবসা করা যায় ।একই সাথে টাকা করে আয় করা সম্ভব । স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে পশুপালন সম্পর্কে সকল ধরনের এবং সহায়তা নিয়ে আত্মকর্মসংস্থান সুযোগ করা যায়।
মৎস্য চাষঃমৎস্য চাষ করে আত্মনির্ভর হয়েছে অনেক তরূণ । মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে কোথা থেকে মাছের পোনা সংগ্রহ কোথায় মাছ কি খাবার দিতে হয় ইত্যাদি প্রয়োজনীয় মৎস্য অফিস থেকে সংগ্রহ করে নেবেন । পাশাপাশি উৎপাদন করে ব্যবসা করা যায় এবং স্বাবলম্বী হওয়া যায়।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পঃ বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন এর স্থানীয় অফিসের যোগাযোগের মাধ্যমে মৃৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যায় । সরকারি পাশাপাশি বহু উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান মেয়েদের সেলাই ও পোশাকের উপর প্রশিক্ষণ করে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
ক্ষুদ্র ব্যাবসা করাঃ নিজে নিজে ক্ষুদ্র একটি ব্যবসার মাধ্যমে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পারেন এবং অন্যদের একটি কাজ জোগাড় করে দিতে পারেন । স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা করতে চাইলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনকারী বা বড় বড় কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে পণ্য সংগ্রহ করে দোকান সাজানো যেতে পারে ।
এই ছিল আজকের এই পোস্ট। পোস্ট টি আশা করি আপনারা অনেক ভালো ভাবে পড়েছেন। পড়ে যদি আপনার কাছে একটুও ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আপনার বন্ধুদের আত্মকর্মসংস্থান বা কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ।