আপনার মনে কি সারাদিন আজেবাজে উল্টোপাল্টা চিন্তা চলতে থাকে? যেগুলো আপনার কোন কাজে লাগে না অথচ প্রচুর সময় নষ্ট করে এবং মন খারাপ করে দেয়। ডোন্ট ওয়ারী আমাদের এখানে শেষ হওয়ার আগে আপনার সমস্যা অনেকটা দূর হয়ে যাবে। প্রতিদিন আমাদের মধ্যে 60 হাজারেরও বেশি চিন্তা ভাবনা আসে এর মধ্যে কিছু চিন্তা-ভাবনা,আসে ভালো কিছু চিন্তা ভাবনা আসে খারাপ। চাই বা না চাই চিন্তাভাবনা আমাদের মনে আসবেই ।কিন্তু কারও কারও মনে এমন চিন্তা ভাবনা চলে আসে যেগুলো তারা ভাবতেও চায়না। এবং সেগুলো তার কোন কাজে লাগে না। বরং তারা অনেক সময় এসব চিন্তা ভাবনা কি সঠিক ভেবে নিজেরাই টেনসনে পড়ে যায়। এ ধরনের চিন্তাভাবনা কে বলা হয় অভার্থিনকিং। তো এখন ভাবার বিষয় হলো এসব চিন্তা ভাবনা থেকে মুক্তির উপায় কি আজকে এমন সব কিছু টিপস শেয়ার করবো যেগুলো রেগুলার প্রাক্টিস করলে আপনাদের অভার্থিনকিং সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
১. আপনার মনে ভালো চিন্তার বীজ বপন করুন:আপনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দেখবেন কোথাও খুব সুন্দর ফুলের বাগান রয়েছে । আবার কোথাও বা কৃষকরা জমিতে চাষ করেছে এবং সেখানে ফসল হয়েছে। আবার কোথা কোথা দেখবেন প্রচুর আগাছা জমেছে।ফুলের বাগান তৈরি করতে অথবা কৃষকের ফসল ফলাতে মালি এবং কৃষককে প্রথমে বীজ বপন করতে হয়েছে। তারপর চারাগাছকে যত্ন করতে হয় এবং প্রতিদিন তাদের জল দিতে হয়। এর পরিবর্তে সে বাগানে একদিন ফুলে ভরে ওঠে এবং সেই ক্ষেত একদিন ফসলে ভোরে উঠে। অন্যদিকে একটি কবে আগাছায় ভরে তুলতে মালি অথবা কৃষককে কোনোরকম কষ্ট করতে হয়না। আগাছা একা-একাই জন্মায় কিন্তু পরবর্তীতে সে আগাছা কোন ফল বা ফুল তো দেয় না বরং জমিকে আরো অনুর্বর করে তোলে। সেরকমই আমাদের মন ও জমির মতই। অভার্থিংকিং কোন সে আগাছা যা মনে একা একাই আসে।যার জন্য আমাদের কোনো পরিশ্রম করতে হয় না কিন্তু এরকম চিন্তা ভাবনা আমাদের কোনো ভালো ফল তো দেয়ই না উল্টে আমাদের মনকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে তুলে। তাই আমাদেরও নিজের মনের মালি হবে মনে ভালো ভালো চিন্তার বিজ বপন করতে হবে। সেই বিজের প্রতিদিন যত্ন করতে হবে এবং নিশ্চিত ভাবে সে বিজই একদিন আমাদের সুন্দর ফুল উপহার দেবে। তো মনে ভালো চিন্তার বিজ আমরা কখন করব কিভাবে ? এ সব থেকে ভালো উপায় হল ভালো ভালো বই পড়া। সফল মানুষের জীবনী এবং self-help বই পড়া। এছাড়াও সফল ব্যক্তিত্বদের শোনা পজিটিভ চিন্তাভাবনা মানুষদের চারপাশে থাকা এই কাজগুলো আমাদের মনে ভালো চিন্তা ভাবনার বীজ বপন করে।এবং প্রতিদিন রুটিনমাফিক এগুলো করতে হবে কারণ বীজ বুনলে শুধু চলবেনা এগুলোতো জল ও দিতে হবে।আপনি এগুলো করলে আপনি নিজেই দেখবেন যে আপনার মনে আসা আজেবাজে চিন্তা ভাবনা গুলো ভালো এবং ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনাই পরিণত হয়েছে।
২. প্রকৃতির সাথে কিছুটা সময় কাটানো:যত দিন যাচ্ছে আমরা প্রকৃতি থেকে দূরে চলে যাচ্ছি এবং ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছি যার ফলস্বরূপ আমরা প্রেজেন্ট মোমেন্টে বাঁচতে ই ভুলে যাচ্ছি। আমরা শুধু পাস্ট নিয়ে বাঁচছি এবং ফিউচার নিয়ে বাঁচছি ,এবং লক্ষ্য করে দেখবেন অভার্থিনকিং এর মূল বিষয়বস্তু কিন্তু পাস্ট নিয়ে অথবা ফিউচার নিয়েই হয়ে থাকে। আমরা যদি নিজের মাইন্ড টাকে প্রেজেন্ট ফোকাস করতে পারি অভার্থিনকিং কমে যাবে। নিচের সঙ্গে আমাদের মনের কানেকশন খুব ভালো নেতার সংস্পর্শে থাকলে মন খুব শান্ত থাকে।মনে দুশ্চিন্তা ক’মাসে আপনি যদি খেয়াল করে দেখেন যে আপনি কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন এবং সেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক বেশি থাকে তাহলে আপনার মন প্রেজেন্ট মোমেন্টে ফোকাস করে থাকে বেশি। এজন্যই আমরা বছরের কিছু সময় ছুটি নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাই। কিন্তু আমাদের উচিত প্রতিদিন অন্তত কিছুটা সময় প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা।
৩. নিজেকে এবং অন্যদেরকে ক্ষমা করতে শিখুন: আমরা বেশিরভাগ সময়ই অতীত আমাদের সাথে কি ঘটেছে সেই ভাবনা নিয়ে অস্থির হয়ে থাকি।সেটা আমাদের দোষ হলে আমরা নিজেকে ক্ষমা করতে পারিনা এবং অন্য কারোর দোষে হলে তাকে ক্ষমা করতে পারিনা। কিন্তু অতীতের কথা ভেবে আফসোস করলে অথবা মনে রাখো জমিয়ে রাখলে আমাদের কি কোন লাভ হয়? লাভ তো হয়ই না বরং সেটা আমাদের বর্তমানকে নষ্ট করে দেয়। আমরা বর্তমানে ফোকাস করতে পারিনা এবং প্রচুর সময় নষ্ট হয়।লাভের লাভ কিছুই হয় না এবং এর থেকে বাঁচার সব থেকে ভালো উপায় হলো নিজেকে এবং অন্যদেরকে ক্ষমা করে দেয়া। আমাদের সর্বপ্রথমে টা এক্সেপ্ট করে নিতে হবে যে অতীতে যা ঘটেছে তা বদলানো যাবে না। এবং এর জন্য নিজেকে বা অন্যকে দোষারোপ করে কোন লাভ হবে না। এতে আমাদেরই ক্ষতি। এর থেকে নিজেকে বা অন্যদেরকেও ক্ষমা করে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়া অনেক বেশি ভালো।
৪. প্রতিদিন অল্প সময় হলেও মেডিটেশন করুন:এটা আমরা সকলেই জানি যে মেডিটেশন মনকে শান্ত করতে এবং প্রেজেন্ট মোমেন্টে রাখতে সহায়তা করে। পৃথিবীর প্রায় সকল মানুষরাই নিজেদের ডেইলি রুটিনে মেডিটেশন রাখেন। দিনে পাঁচ মিনিট হলেও তারা মেডিটেশন অবশ্যই করেন।অনেকে হয়তো ভাবেন যে মেডিটেশন মানে বিশাল কিছু করতে হয় কিন্তু তা নয় আপনি শুধু শান্ত হয়ে বসে নিজের নিঃশ্বাসকে ফলো করুন অথবা খেয়াল করুন আপনার মনে এখন কি কি চিন্তা-ভাবনা চলছে তাতেই হবে।যেই মুহুর্তে আপনি সচেতন হয়ে দেখতে চেষ্টা করবেন যে আপনার মনে এখন কি কি চিন্তা-ভাবনা চলছে দেখবেন আজেবাজে চিন্তা অনেকটাই কমে গেছে।এর দ্বারা প্রমাণ হয় যে আমরা যদি যদি চিন্তা ভাবনার প্রতি সচেতন থাকি তাহলে চিন্তা ভাবনার পরিমাণ কমে যায়। এবং তখনই আমাদের পাশে সুযোগ থাকে নিজের মনে ভালো ভালো চিন্তার বীজ বপন করার। তাই প্রতিদিন 5 মিনিট হলেও মেডিটেশন অবশ্যই করুন।
৫. নতুন কিছু শিখতে শুরু করুন: আমরা যত ফাঁকা বসে থাকি আমাদের মনে আজেবাজে চিন্তা তত বেশি আসে।তাই নিজেকে সবসময় কোন না কোন কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখুন।
আশাকরি লেখা টি আপনাদের ভাল লেগেছে ভাল লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাকে জানাবেন ।
ধন্যবাদ সবাইকে
বাচ্চা খেতে চায় না,দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছে ?
আপনার বাচ্চা কি ঠিক মত খেতে চায়না অথবা সাস্থগত ভাবে ঠিক মত বেড়ে উঠছে না অসুস্থ কিংবা রোগা লাগছে চিন্তার...