তখন আমি স্কুল এ পড়ি আমার বয়স ১৭, একদিন স্কুল থেকে বাসায় ফিরছিলাম। আকাশ টা কালো মেঘে ঢাকা ছিল, বিকাল কে সন্ধ্যা মনে হচ্ছে। একখুনি বৃষ্টি নামলো বলে, আমি তখন ও রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি তখন বৃষ্টি আস্তে আস্তে পড়তে শুরু করলো তাড়াতাড়ি বাড়ী ফেরার জন্য আমি শুরু করলাম দৌড়, কিন্তু দৌড় দিয়ে কোন লাভ হলো নাহ, তৎক্ষনাত পবল বেগে বৃষ্টি পড়তে শুরু করলো, কিছু দূর দৌড়ানের পর একটা বাড়ী দেখতে পেলাম , বাড়ী বললে ভুল হবে কারন বাড়ীতে দরজা জানালা থাকে, কিন্তু সেখানে শুধু উপরে টিনের ঘর রয়েছে।
যাই হোক আমি গিয়ে রওনা হলাম আমার শরীর কিছুটা বিজে গেছে, বসার মত কিছু নেই চার কোনাই চারটা খুটি আর উপরে টিন শেড রয়েছে। আমার কাদ থেকে বেগ টা নামিয়ে খুটির সাথে রাখলাম, তখন দেখি একটি লোক আমি যেখানে আশ্রয় নিয়েছি সেখানে আসছে, আমি উনাকে এত গুরুত্ব দি নি। কারণ উনি আমার মত আশ্রয়কারী উনি পুরো বিজে গেছে।
বৃষ্টির সাথে হালকা বাতাস বয়ছে, বাতাস টা পুরো শিতল, ইচ্ছা করছে এক্ষুনি ঝালমুরি নিয়ে বসি, বৃষ্টির সময় এ ঝাল চানাচুর, মুরি পেয়াজ দিয়ে কড়া করে ঝালমুরি ভানিয়ে খেতে ধারুন মজা লাগে। বৃষ্টি কমাগত বাড়ছে, লোকটির আচারণ বড় অবাক করার মত , এত বারী বুষ্টিতে উনি দৌডাতে শুরু করলেন। আমি ভাবলাম হয়তো উনার তাড়া আছে তাই তিনে চলে যাচ্ছেন।
বৃষ্টি পড়া বন্ধ হওয়া মাত্র আমি বাসার দিকে রওনা হই, কিছু দূর যাওয়ার পর আমি আবার লোকটিকে দেখতে পাই, আমি দেখে পুরো আশ্চার্য কারন, লোকটি গাছের নিছে আশ্রয় নিয়েছে তার পড়নে কাপড় একদম শুকনো, আর যে গাছের নিছে দাড়িয়ে ছিল সে গাছের মাটি পুরো বিজা ছিল, তাহলে উনার কোথায় ছিল আশে পাশে তোহ আশ্রয় নেয়ার মত সে রকম কোন গাছ নেই, আর উনি যে গাছের নিচে দাড়িয়ে ছিল তা ওনেক আগের পুরনো। আমি একটু বয় লাগে কিনা কি আবার। আমি দৌড়ে বাসায় গিয়ে পৌছায়। তার পরের দিন থেকে স্কুল থেকে বাসায় ফিরার পথে লোকটিকে আমি দেখি টিনশেড ঘরে অথবা ওই গাছের নিছে দাড়িয়ে আছে। উনাকে দেখে আমার অন্যরকম লাগে দেখে মনে হয় উনি কারোর জন্য অপেক্ষা করছে।
বেশ কয়েক দিন দেখার পর দেখি উনি বে পাত্তা, উনাকে দেখা যায় না। বিগত কয়েক সাপ্তাহ পর উনাকে দেখলাম একটা দোকানে বসে চা খাচ্ছে, তার পাশের দোকানে আমি ডিটারজেন্ট কিনার জন্য গিয়েঠিলাম, উনি আমাকে দেখে চমকে গেলেন, আমাকে দেখে কাছে ঠাকলেন, তখন আমি বয় পাচ্ছি নাহ তার কারন হল আমার আশেপাশে ওনেক মানুষ আছে, সে সাহস নিয়ে আমি সামনের দিকে এগুই, উনি আমাকে দেখে বলেন কেমন আছ। উত্তরে বল্লাম ভাল, উনি আমাকে বলে আমাকে চিনতে তোমর অসুবিধা হয়নি তোহ, উনার এমন কথা শুনে আমার মনে ভয় লাগে মনে মনে বলি লোকটি কি বলে, আমি উত্তর না দিয়ে অন্য দিকে তাকাই, তারপর উনি আমাকে বলে যাও বাসায় যাও। আমি কি না বুজে বাসায় চলে যাই।
তার পর খবর নিয়ে জানতে পারি মানসিক ভাবে আগাত পাপ্ত, খুব অল্প বছর বয়সে তিনি তার ছেলে কে হারান। তিনি তার ছেলে কে খুব ভালোভাসতেন, তাকে সব সময় হাসিখুশি রাখতেন, তার কোন জিনিস লাগবে তা বলার আগে তার সামনে হাজির করে দিতেন, ৭ বছর বয়ছে ছেলের একটি রোগ ধরা পড়ে তাতে মৃত্যু বরণ করে। আবার হঠাৎ রাস্তায় লোকটিকে আবার দেখলাম দেখার পর উনাকে আমি ডাকলাম। বল্লাম আংক্লে আপনার নাম কি, লোক হেসে বলে তুমি ভালো আছ।
উত্তরে বলার হে আছি ভালো, আপনি থাকেন কোথায়, লোকটি আমার কোন প্রশ্ন এর উত্তর না দিয়ে বলল তোমার কোন সমস্যা হলে আমাকে বলবা । আমি তোমাকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করবো। আমিঃ আজিব তোহ! আপনি আমার প্রশ্ন উত্তর গুলো দিচ্ছেন না কেন। আপনি কি বিন গ্রহের মানুষ নাকি । তৎক্ষনাত লোকটি চলে গেল। কয়েক পা হাটার পর আবার পিছনে ফিরে আমার দিকে তাকিয়ে একটি মৃদু হাসি দিল।
তখন আমি বুজলাম প্রতিটি বাবা তার সন্তান এর জন্য কিছু না কিছু করতে চায়। বাবা হল সন্তান একটা ডাল যা শত আগাত সহ্য করে আর সন্তান কে তার শুখ টা ভাগ করে দেয়।