বর্তমানে বিশ্বের সর্বাধিক আলোচিত একটি বিষয় হলো করোনাভাইরাস। এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। যার ফলশ্রুতিতে এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্তের পরিমান ও মৃতের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এখনো পর্যন্ত ৬০ লাখ মানুষ এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে এবং চার লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। এই ভাইরাসের প্রকোপ হতে মুক্তি পাবার আশায় বিভিন্ন দেশ লকডাউন ঘোষণা করেছে। যার ফলশ্রুতিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা নেমে এসেছে। আমাদের দেশেও এর ব্যতিক্রম নয়, প্রায় তিন মাস ধরে আমাদের দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের দেশ। অনেকেই তাদের চাকরি হারাবার ভয়ে আছে আবার অনেকে ইতিমধ্যে চাকরি হারিয়েছে। এমতাবস্তায় একদিকে করোনাভাইরাস অন্যদিকে অর্থনৈতিক স্থবিরতার মিলে আমাদের দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কষ্ট দিনদিন বেড়ে চলেছে। একটি গবেষণায় উঠে এসেছে আমাদের দেশে করোনা ভাইরাসের কারণে প্রতি ১০০ জনে ১০ জন মারা গেলেও ৯০ জন সুস্থ হবে তবে অর্থনৈতিক স্থবিরতা নেমে আসলে মানুষ না খেয়ে ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জন মানুষ মারা যাবে। ফলে বুঝাই যাচ্ছে আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস এর প্রভাব কতটা ভয়ানক। এমতাবস্থায় বিশেষজ্ঞদের মতামত হলো দেশের আপামর দরিদ্র মানুষের স্বার্থে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা যেতে পারে তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সকলের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে, অবশ্যই মাক্স পরিধান করতে হবে, ঘন ঘন হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। যদি আমরা সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারি তাহলে আমরা করোনা কে জয় করতে পারবো। এখন ধীরে ধীরে অফিস-আদালত খুলে যাচ্ছে তাই এখন থেকে আমাদের আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অবদান রাখতে হবে। এটা সত্যি যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে ইতিমধ্যে অনেককে চাকরি হতে অব্যাহতি দিয়েছে। অনেক শিক্ষিত যুবক যারা পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি করে তাদের পড়ালেখার খরচ চালাত এবং সংসারের ব্যয় কিছুটা হলেও বহন করত তারা আজ একদম বেকার হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। যদিওবা ইতিমধ্যে সরকার বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে এই প্রণোদনা যেন গরিব দুঃখী মানুষের কাজে আসে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে, শিক্ষিত যুবক যারা বেকার হয়ে পড়েছে তাদের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। তাহলে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। পরিশেষে মহান সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রাখে আমাদের সকলকে এই বিপর্যয় হতে মুক্তি লাভের জন্য একসাথে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশের মানুষ যেসব কারণে ভাত বেশী খেয়ে থাকে
বাংলাদেশের ভৌগলিক পরিবেশ, আবহাওয়া, জলবায়ু ও মৌসুমি আদ্রতা কৃষি কাজের জন্য খুবই উত্তম এবং এ দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুতে ধানের...