মানুষ তথা জীবজগত বাসযোগ্য এলাকাই হল তার পরিবেশ। পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে মানুষ এবং অপরাপর উদ্ভিদ ও প্রানীজীবনের বিকাশ ঘটে। জীবজগৎ ও তার পরিবেশের মধ্যে প্রতিনিয়ত জীবন রক্ষাকারী উপকরনের আদান – প্রদান চলে। এ আদান – প্রদানের ভারসাম্যের ওপর জীবর অস্তিত্ব সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল। পরিবেশের এ ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে পরিবেশ দূষণ ঘটে। আর পরিবেশ দূষণের কারনে মানব সভ্যতা আজ চরম হুমকির সম্নুখীন।
মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন থাকেই পরিবেশ দূষণের সূএপাত। সেই আদিম পৃথিবীতে যখন থেকে আগুনের ব্যবহার শুরু হয় তখন থেকেই প্রানপদায়ী অক্রজেনের ধ্বংস হয়। আর এই অক্রজেন ধ্বংসের সাথে সাথে আগুনের ধোয়া ও ভস্নকনায় পরিবেশ দূষিত হয়।সভ্যতার বিচিএ বিকাশেরর প্রতিক্রিয়া পরিবেশের ভারসাম্যে বিরুপ প্রভাব ফেলে।
আবার পরিবেশ দূষণের বহুবিধ কারন হয়েছে। যেমন তন্নধ্যে জনসংখ্যা, বৃদ্ধি, বনজ সম্পদের বিনষ্টি, তেজস্ক্রিয় দূষন,বায়ু দূষন, পানি দূষন, শব্দ দূষন, ভূ – স্তর দূষন এবং গ্রীন হাউস প্রতিক্রিয়াই প্রধান।
আবার বায়ুমন্ডলে গীন হাউস গ্যাসের(কার্বন ডাই – অক্রাইড,মিথেন,নাইট্রাস অক্রাইড,কার্বন মনো – অক্রাইড, নাইট্রিক অক্রাইড, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন ইত্যাদি) মাএার পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রকৃতিগত এবং পরিবেশগত বিরূপ প্রতিক্রিয়াকে বলা হয় গ্রীন হাউস প্রতিক্রিয়া। গ্রীন হাউস প্রতিক্রিয়ার প্রভাবে প্রতিক্রিয়ার প্রভাবে প্রাকৃতিক ভারসাম্য আজ বিরাট বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
আবার পরিবেশ দূষণের ফলে বিশ্বের বিভিন্ন স্হানে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে তার প্রেক্ষিতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার প্রচেষ্টা চলছে।বিভিন্ন দেশে পরিবেশ দূষন নিরোধক আইন প্রবর্তন করা হয়েছে। প্রতিবছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হয়। আমাদের দেশে এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে সরকার এ ব্যাপারে বিভিন্ন ব্যবস্হা এ কর্মসূচি গ্রহন করেছে।
আর পরিবেশ দূষন সমগ্র মানব জাতির জন্য এক মারাক্তাক হুমকিস্বরূপ।সুতরাং এ ব্যাপারে সারা বিশ্বের মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন। আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে এ সমস্যা আর ও প্রকট।জাতির বৃহওর স্বার্থে তথা অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সকলের সম্নিলিত প্রচেষ্টা তাই একান্ত অপরিহার্য।