সাধারণত Addiction বা আসক্তি বলতে কোন খারাপ কিছুর প্রতি তীব্র আকর্ষণ বা ঝোঁকার প্রবনতাকে বুঝায়।
Drug addiction বা মাদকাসক্তি বলতে মাদক ও মাদক জাতীয় দ্রব্যাদির প্রতি তীব্র আকর্ষণ ও এই আসক্তি থেকে মুক্ত হতে না পারাকে বুঝায়।
আমি মনে করি যেকোনাে কিছুর প্রতি আসক্তিই বিপজ্জনক। মাদকাসক্তি আরও বেশি ভয়াবহ।সাধারণত আমরা জানি যে ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত ড্রাগ আমাদের জন্য উপকারী।
কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত ও অনির্দেশিত উত্তেজনাকর মাদকের ব্যবহার একজনকে এর প্রতি আসক্ত করে। তারপর সে এটা আর ছাড়তে পারে না। এমনকি এর জন্য সে সবকিছু করতে পারে।
এটি তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে।
অনেক উত্তেজনাকর ঔষধ/মাদক ব্যথা সারাতে ব্যবহৃত হয়। ডাক্তারগণ সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করার জন্য এগুলাের পরামর্শ করেন।
কিন্তু এক শ্রেণির হতাশাগ্রস্ত তরুণ তাদের হতাশা দূর করতে এসব ঔষধের/মাদকের অপব্যবহার করছে।
তারা আধিকহারে মাদক নেয়। ডাক্তারের কোন পরামর্শ ছাড়াই তারা গ্রহন করতে থাকে। যার ফলে তারা মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে এবং মৃত্যুর হুমকি মােকাবিলা করছে। সত্যিকার অর্থে তারা স্বাভাবিক জীবন হারাচ্ছে।
প্রথম ধাপে,
তারা খাবার রুচি হারায় এবং ক্রমান্বয়ে তাদের ওজন কমতে শুরু করে। পরবর্তীতে এটি মস্তিষ্ক ও শরীরে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধ্বংস করতে পারে ।
সবচেয়ে উত্তেজনাকর মাদক হচ্ছে হেরােইন, আফিম, গাজা, মরফিন, কোকেন, ফেনসিডিল প্রভৃতি।
বাংলাদেশের মাদক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যারা মাদকাসক্ত তাদের মধ্যে ৮৪ ভাগ পুরুষ, ১৬ ভাগ নারী। শুধুমাত্র ধনী ব্যক্তিরা নয় বরং নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নারী ও শিশু-কিশোররাও মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত। উক্ত বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ নানাভাবে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মতো, আসক্তদের শতকরা ৯০ ভাগ হলো কিশোর-তরুণ ।
দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার মতে,একটি পরিসংখ্যানে দেখে গেছে যে, মাদকসেবীরা গড়ে প্রতিদিন অন্তত ২০ কোটি টাকার মাদক সেবন করে থাকে। অন্যদিকে সারাদেশে প্রায় ৩০ লাখ মাদক ব্যবসায়ী প্রতিদিন কমপক্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার মাদক কেনাবেচা করে। আরো একটি ভয়ংকর চিত্র হচ্ছে যে, সারাদেশের ছড়িয়ে পড়া ইয়াবার শতকরা ৮৫ ভাগই ভেজাল।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী একজন মাদকাসক্ত তার নেশার পেছনে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৫০০ পর্যন্ত টাকা খরচ করে। তবে বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই দৈনিক খরচ ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। আর পক্ষান্তরে এই নেশার টাকার জোগান দিতে আসক্তরা বেছে নেয় বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে।
মাদকাসক্তির প্রধান শিকার হচ্ছে হতাশাগ্রস্ত যুবসমাজ যারা বেকার অথবা তাদের তথাকথিত ভালােবাসার মানুষ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত। তাদের কেউ কেউ বন্ধুদের দ্বারা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয় এবং আসক্ত হয়ে পড়ে। তারা জানেনা এই মাদকাসক্তির ভয়াবহতা সম্পর্কে।
তাই আমাদের সরকারের উচিত সুদৃঢ় পদক্ষেপ নেয়া মাদক পাচার রোধে।
বয়স ও লিঙ্গভেদে শারীরিক সক্ষমতা অর্জনে ব্যায়াম
বয়সভেদে : শারীরিক শিক্ষা সকল বয়সের লোকদের জন্য প্রযোজ্য। তবে বয়স ভেদে শারীরিক শিক্ষার কার্যক্রম ভিন্নতা হয়ে থাকে। শুধু ব্যায়ামই...