আসসালামু আলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন,
আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন,
তো আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু সমাজের আচার আচরণ বিষয় শেয়ার করব,
আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে,তো চলুন বেশি কথা না বারিয়ে মূল কথা বলা ঝাক
মানুষ বৈচিত্র্য ময় রুচিশীল বটে।গল্প ইতিহাস মানবজীবনের সাথে জড়িে আছে।গল্পে মানুষ আনন্দ পায়,পায় দিক নির্দেশনাও।এখানে সব কয়টা গল্প যে ভালো লাগবে তা নয়,তবে কিছু কিছু গল্প ভালো লাগবে আর দু’একটি ঘটনা যদি কারো জীবনে পরিবর্তন আনে তাতেই আমার জীবন সার্থক।
যুগটা কেমন হয়ে গেল: চলন্ত বাস।এক বৃদ্ধ লোক তার পাশে বসা ব্যাক্তি কে বলছে,দেখুন যুগটা কেমন হয়ে গেল,আজকাল ছেলে মেয়েগুলো যে কেমন দুষ্টু পোশাকে চলে,চেনাই যাই না যে কে ছেলে আর কে মেয়ে।আজকাল ছেলেদের আচরণ মেয়েদের মতো।দেখুন না,ঐ ছেলেটা মহিলার সিটে বসে আছে।অথচ পাশেই মহিলা দাড়িয়ে আছে।ততক্ষণে পাশের লোকটি ধমকে উঠল আরে! কি বলছেন,এতো ছেলে না,আমার মেয়ে।অবাক হয়ে বুদ্ধ বলল,ক্ষমা করবেন আমি বুঝতে পারি নাই।আমি বুঝতে পারি নাই যে আপনি ওর বাবা।পাশের লোকটি গম্ভীর স্বরে বললেন।আপনি আবার ও ভুল বললেন।আমি ওর বাবা নই,মা হয়।
তখন বুদ্ধ আর কিছু না বলে চুপ করে মনে মনে বলতে লাগলো হইত আরো অনেক কিছুই পাল্টানোর বাকি আছে বা আরো পাল্টাবে
শিক্ষা :- ঘটনা হাসির খোরাক হলেও বাস্তবতা অস্বীকার করা যাবে না।আজ সমাজের দিকে তাকালেও লজ্জায় চোখ অবনত হয়ে আসে।কিছু কিছু ছেলেরা মেয়েদের পোশাক আবার কিছু মেয়েরা ছেলেদের পোশাক পরে দেদারসে ঘোরা ফেরা করে।তাদের ওই উগ্র আচরণ আজ সমাজকে অশ্লীলতার ঘোরে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে।ফলে ইভটিজিং,ধর্ষণ,অপহরণ ইত্যাদির প্রতি দিনের শিরোনাম হচ্চে,এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে,নারী কে নারীর অঙ্গনে আর পুরুষ কে পুরুষের অঙ্গনে চলতে হবে।
[ রাসুল (সা.) বলেছেন ‘আল্লাহ পুরুষের সাদৃশ্য ধারণকারিণী নারী এবং নারীর সাদৃশ্য ধারণকারী পুরুষকে অভিশপ্ত করেছেন।
দুটি বিয়ে:- মুসলমানদের বিয়ের পদ্ধতি সকলেরই জানা।কিন্ত অন্য জাতি দের রয়েছে বিয়ের সব আজব কাহিনী
যেমন
১: তাইয়ানের এক গোত্রের বিয়ে হয় লাতি মেরে বিয়ে সম্পন্ন করার জন্য বরকে কনের হাঁটুর নিচে কায়দা মতো লাতি মেরে বিয়ে সম্পন্ন করতে হয়
২:আফ্রিকার ইথিওপিয়াতে বর কনেকে কাঁধে করে কম পরিমাণ পানিতে ফেলে দেয়।এতে শব্দটা যত জোরে হয় বিয়েটা তত পাকা পোক্ত হয়
তো এ হলো অমুসলিম দের বিবাহ কাহিনী। একমাত্র সুন্দর ও চমৎকার সুশৃঙ্খল বিবাহ হলো মুসলমানদের সুন্নত তরিকার বিবাহ।
হাত মিলানো: এক ব্রিটিশ এক হুজুর কে জিজ্ঞাস করলো একজন পুরুষের সাথে একজন নারীর হাত মিলানো (হ্যান্ডশ্যাক)ইসলামে নিষেধ কেন?উত্তরে হুজুর বললেন,আপনি কি রাণী এলিজাবেথের সাথে হাত মিলাতে পারবেন?ব্রিটিশ বললো: অবশ্যই নয়। মাত্র কিছু সৎখ্যক নির্দিষ্ট লোকেই তার সাথে হাত মিলানোর সুযোগ পায়।কারণ তিনি উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন। তখন হুজুর বললেন, আমাদের কাছে নারীরা রাণীর মকো সম্মানিত। তাই মুসলিম নারীরা কোনো অপরিচিত ব্যাক্তির সাথে হাত মিলায় না।তাঁদের মর্যাদা সবার ওপরে।
শিক্ষা:- সত্যিই নারী রা সম্মানীত।তাইতো বিখ্যাত সেনাপতি নেপোলিয়ন বলেছেন,”তুমি আমাকে একজন আর্দশ মা উপহার দাও,আমি তোমাকে একটি আর্দশ জাতি উপহার দিব”।
শেষ কথা:- দুনিয়াতে মানুষের বংশ বিস্তারের জন্য গর্ভধারণ করা,সন্তান প্রসব করা, সন্তানকে দুগ্ধ দান করার যোগ্যতা আল্লাহ তায়ালা একমাত্র নারীকেই দিয়েছেন।প্রতিটা নারীর এই এ ক্ষমতা রয়েছে।এবং এর জন্য উপযুক্ত গঠন প্রণালী দ্বারাই নারীকে সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন।কোনো পুরুষ চাইলেও এই দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিতে পারবে না। কেননা সৃষ্টিকর্তা পুরুষকে এরুপ গঠন দিয়ে সৃষ্টি করেননি।তাইতো নারীর মর্যাদা সবার ওপরে।নারীর অধিকার,সম্মান সবচেয়ে বেশি।কিন্তু বর্তমানে পাশ্চাত্য রীতি পুরো বিশ্বকে গ্রাস করেছে। ফলে মেয়েরা উগ্র পোশাক পরিধান করে।যার ফলে আজ মেয়েরা ধর্ষণ, ইভটিজিং,খুন এর শিকার হয়। যার পরিণতি হয় হত্যা, আত্নহত্যা ইত্যাদি এসবের ফলে নারীরা অবনামা হয়। নারীর মর্যাদা,সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়। একটু ভেবে দেখুন এসবের মূলে কি রয়েছে?সেই উগ্র চাল চলন,পোশাক,আচরণ,অথচ মেয়েরা যদি ইসলামের রীতি অনুযায়ী শালীন পোশাক পরিধান করে,বিধি বিধান মেনে চলে,তাহলে নারী তাঁর সম্মান,মর্যাদা ফিরে পাবে।ফলে বিভিন্ন ধরণের অপরাদ কমবে।দেশে শান্তি ফিরে আসবে
অবশেষে আমি বলতে চাই যদি কোনো খারাপ কিছু বলে থাকি তাহলে আমাকে ক্ষমা করবেন
ক্রেডিট ইসরাত জাহান
লেখক: শিহাব (আমি)
সমাপ্ত