আমরা অনেকে অযথা সময় ব্যয় করে ফেলছি। কিসের পিছনে দৌড়াচ্ছি। আল্লাহকে ভুলে গিয়ে হারাম উপার্জন করছি। আমরা কবে আল্লাহকে চিনতে পারব? বিশ্বাস করুন আল্লাহ ছাড়া আপনাকে কেউ ভালোবাসে না। পৃথিবীতে একমাত্র আল্লাহই আপনাকে, আমাকে ভালোবাসে।
আমাদের এটা বোঝা উচিত আমরা যারা হারাম উপার্জন করছি এটার হিসাব কিন্তু আল্লাহকে দিতে হবে। আমরা যারা হারাম উপার্জন করছি প্লিজ ভাই এটা ছেড়ে দেই। যুবকরা আজ সিগারেট টানাকে স্টাইলিশ মনে করছে। আসলে এটা তো শয়তানের স্টাইল। যুবকরা আজ নেশা করছে আর ভাবছে যে এটাই মনে হয় আমাদের লাইফ স্টাইল। আমাদের তো লাইভ স্টাইল হওয়ার কথা ছিল হযরত মুহাম্মদ (সা) এর মতো। আমরা কবে আল্লাহকে চিনতে পারবো।
কারা তোমার আপনজন
এই পৃথিবীটা একটা ধোঁকার পৃথিবী। পৃথিবীতে সব কিছুই ধোঁকা। পৃথিবীতে পরিবার পরিজন সবাই আপনার স্বার্থ কে ভালোবাসে। এমনকি আপনার পিতা মাতাও আপনার স্বার্থ কে ভালোবাসে। আজ আপনি লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক সবাই আপনার সম্মান করবে ,ভালোবাসা দেখাবে।
কিন্তু আসলে সবাই আপনাকে ভালোবাসতো না ।আপনার টাকা পয়সাকে সবাই ভালোবাসতো। আপনার বিবি-বাচ্চা সন্তান-সন্ততি সবাই আপনার স্বার্থ কে ভালোবাসে। একমাত্র আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসে। আল্লাহ ছাড়া আমাদের কেউ ভালবাসে না। একজন ঈমানদারের ভালোবাসা তো হওয়া দরকার আল্লাহর জন্য।
বান্দার প্রতি আল্লাহর ভালোবাসা
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ ও মুমিনের পারস্পরিক সম্পর্কের বর্ণনা এভাবে তুলে ধরা হয়েছে, ‘আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন এবং তারাও আল্লাহকে ভালোবাসে।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৫৪)। আমাদের উচিত আল্লাতালা আমাদের তকদিরে যা লিখেছেন তাতে সন্তুষ্ট হওয়া।
আল্লাহ তাআলার সিদ্ধান্তে আমাদের সন্তুষ্ট হওয়া উচিত। কারন আল্লাহতালা আমাদের ভালো চায়। তিনি কখনো আমাদের উপরে জুলুম করেন না। তিনিই একমাত্র আমাদের রিজিকের মালিক। তিনি আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা করে দিয়ে থাকেন। কখনো অসন্তুষ্ট প্রকাশ না করাই হচ্ছে একজন মুমিন বান্দার কর্ম।
আল্লাহর জন্য কিছু ত্যাগ করা
আল্লাহর জন্য কোন কিছু ত্যাগ করা আল্লাহ নিশ্চয়ই এর চেয়ে উত্তম কিছু দান করেন। এজন্য আমাদেরকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। আল্লাহ অবশ্যই তাঁর বান্দাদেরকে অনেক অনেক ভালোবাসেন। তিনি আমাদেরকে এই পৃথিবীতে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। তিনি আমাদের বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করে থাকেন।
আমাদের টার্গেট রাখা উচিত এই পরীক্ষায় পাস করা। আমরা কাউকে ভালবাসলে আমরা নিজের প্রাণ বিসর্জন দিতে পরোয়া করিনা। কিন্তু আসলে যার জন্য জীবন ত্যাগ করতে চাচ্ছেন হয়তো এমনও সময় আসতে পারে সে আপনাকে ধোঁকা দেবে ,কষ্ট দিবে । যদি আল্লাহর জন্য জীবন বলিদান দেন তাহলে আখেরাতে মুক্তির পথ পাওয়া যাবে। “ইনশাআল্লাহ”
একজন মুমিন তার জীবন ,সময় ও সম্পদ আল্লাহর জন্য উৎসর্গ করে দিতে রাজি। আল্লাহর জন্য কোন কিছু ত্যাগ করলে আল্লাহ তাআলা তার চেয়ে অনেক ভাল কিছু প্রতিদান দেবেন। আসেন ভাই আমরা হালাল পথে ইনকাম করি। কারো মনে কষ্ট না দেই। অসহায়দের পাশে দাঁড়াই।