আমাদের স্বাস্থ্য বহুলাংশে নির্ভর করে আমরা যে খাদ্য খাই তার গুনগত মানের উপর। আমরা আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিন কত কিছুই না খেয়ে থাকি। তো চলুন আজকে আমরা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আমাদের পরিচিত চারটি খাদ্যের উপকারীতা সম্পর্কে জেনে নেই।
মধুঃ মধু অনেক রোগের মহৌষধ। তাছাড়া সকালে খালি পেটে জিহবা দ্বারা মধু চেটে খেলে কফ দূর হয়, পাকস্থলী পরিষ্কার হয়, দেহের অতিরিক্ত দূষিত পদার্থ বের হয়, গ্রন্থি খুলে দেয়, পাকস্থলীর স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে। মস্তিষ্ক শক্তি লাভ করে, স্বাভাবিক তাপে শক্তি আসে, যৌন শক্তি বৃদ্ধি হয়। মূত্রথলির পাথর দূর করে দেয়, প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়, গ্যাস নির্গত হয়, ও ক্ষুধা বৃদ্ধি কর। অনেক জটিল রোগেও মধু বিশেষ উপকারী। এমনকি পাতলা পায়খানা হলেও মধুর শরবত খেলে পাতলা পায়খানা নিরাময় হয়।
খেজুর/খোরমাঃ অধিকাংশ হালুয়া তৈরিতে খোরমা ও খেজুর ব্যবহার করার রীতি প্রচলিত আছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে খোরমা ব্যবহার যৌন শক্তি বর্ধক ও এর জন্য উপকারী ফল বলা হয়েছে। যে মহিলার মাসিক নিয়মিত হয়না তাকে খোরমা খাওয়ালে এর বিশেষ উপকার পাওয়া যাব। নব প্রসূতির জন্য তাজা খেজুরের নেয় উত্তম খাদ্য আর নেই। তাজা খেজুর পাওয়া না গেলে শুষ্ক খেজুরই যথেষ্ট হবে।
দুধঃ দুধ মানুষের শরীরে লাবণ্য সৃষ্টি করে। কথায় আছে দুধে লাবণ্য বাড়ে,ঘৃতে বাড়ে বল। দুধ রতিশক্তি সৃষ্টি করে, দেহের শুষ্কতা দূর করে, দূর্বলতা কাটিয়ে তোলে, এবং দ্রুত হজম হয়ে খাদ্যের স্থলাভিষিক্ত হয়ে যায়, বীর্য পয়দা করে, চেহারার বর্ণ লাল করে, দেহের অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং মস্তিষ্ক শক্তিশালী করে দেয়।
রসুনঃ রসুনের আচার আজকাল অনেক সুস্বাদু খাবার। হার্টের রোগে রসুন বিশেষ উপশমকারী। এ্যাজমা এবং কাপুনি রোগেও রসুন উপকার সাধন করে থাকে। তবে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অধিক রসুন ব্যবহার অত্যন্ত ক্ষতিকারক। ডাক্তারদের মতে রসুনের অনেক উপকারীতা আছে। রসুন ফোড়া ভালো করে, প্রস্রাব জারি করে, ঋতুস্রাব চালু করে, পেট পরিষ্কার করে, নিস্তেজ লোকেদের মধ্যে যৌন শক্তির বৃদ্ধি ঘটায়, বীর্য বৃদ্ধি করে, বীর্য গাঢ় করে, রক্ত চলাচলে সাহায্য করে, এবং গ্রন্থির ব্যাথার বিশেষ উপকার করে।
এ সকল খাদ্য সত্যিকার অর্থেই আমাদের জন্য খুব উপকারী। এসব খাদ্য অবশ্যই ঘরে মজুদ করে রাখবেন। এগুলো আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিশেষ উপকারে আসবে। এখানেই শেষ করছি। সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।