আসসালামুআলাইকুম, কেমন আছেন সকলে? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন।
দিনশেষে কিন্তু আমাদের সবারই টাকার প্রয়োজন হয়। কেও টাকা উপার্জন করার জন্য ঘুরে বেড়ায় চাকরির উদ্দেশ্যে আবার কেও অন্যান্য প্লাটফর্মে।
তবে বর্তমানে এমন পরিস্থিতি অনেকটা কম। কারণ অনলাইন থেকে আপনি চাইলে এমন টাকা ইনকাম করতে পারেন যেগুলো চাকরির বেতন অপেক্ষা অনেক বেশি।তবে তেমন উপার্জন করতে হলে অবশ্যই আপনার পরিশ্রম করতে হবে।
কিন্তু আজকে আমি এমন একটি মাধ্যমে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার বিষয়ে বলবো, যেটি আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন,কপি/পেস্ট করেই কোনো কাজ ছাড়া, আর ইনকামও অবশ্যই অনেক ভালো হবে।
তাই যদি আপনি চান যে অনলাইন থেকে ঘরে বসে থেকেই শুধুমাত্র কপি করে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে তাহলে আজকে আর্টিকেলটা অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়ুন, আমি ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলছি যে আপনি চাইলেই অবশ্যই ইউটিউব থেকে এইভাবে প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন।তাহলে চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
ইউটিউব থেকে কপি করে ইনকাম করার ক্ষেত্রে হোক কিংবা কনটেন্ট বানিয়ে ইনকাম, সবক্ষেত্রেই কিন্তু যেটি প্রয়োজন হলো একটি ভালো কনটেন্ট। কনটেন্ট বলতে আমি ভিডিও কে বোঝাতে চেয়েছি।
তাহলে এখন কনটেন্ট কোথা থেকে পাবেন? আর কি রিলেটেড কনটেন্ট নিয়ে কাজ করবেন?
আমরা মূলত কাজ করবো বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট রিভিউ করা নিয়ে।সহজ ভাষায় বলতে গেলে বলা যায় টেকনোলজি বিষয় নিয়ে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টেকনোলজি বিষয়ের ডিমান্ড বেশি দেখা যায়।
টেকনোলজি নিয়ে কাজ করলে আপনি দুই দিক থেকে লাভবান হবেন, প্রথমত আপনার ভিডিও যদি 8থেকে 10 মিনিটের হয় নাহলে সেখানে অবশ্যই কয়েকটি এড বসানো হবে, যেটি থেকে মূলত আপনি আয় করবেন, এবং দ্বিতীয়ত আপনি টেকনোলজি নিজে কাজ করলে ভালো ভালো এবং বেশি স্পন্সরশিপ পাবেন।
টেকনোলজি বিষয়ে কিভাবে কাজ করবেন?
এরজন্য অবশ্যই আপনার যে প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ করতে চান সেটি নিয়ে সার্চ করতে হবে। যেমন ধরুন ভিভো কোম্পানি সামনে একটি নতুন মোবাইল বাজারে অনুমোদন দিচ্ছে, আপনি সার্চ করতে পারেন Vivo Upcoming Mobile satisfaction এভাবে কিছু একটা লিখে। সার্চ করা মাত্রই আপনি সব কিছু সেখানে পেয়ে যাবেন।
এরপর আপনি সে বিষয়টি ইউটিউবে লিখে সার্চ করুন।এরপর ক্রিয়েটিভ কমন্স এর আন্ডারে যে ভিডিও থাকবে সেগুলো থেকে পছন্দ অনুযায়ী আপনি ডাউনলোড করে ব্যবহার করুন।ইউটিউব রূলসে এটা অবশ্যই বলা আছে যে ক্রিয়েটিভ কমন্স এর আন্ডারে থাকা ভিডিওতে কপিরাইট থাকবে না।
ভিডিও এবং ডিটেইলস জানার কাজ শেষ এখন পালা ভয়েস এর। এটি নিচে চিন্তার কোনো কারণ নেই আপনি আপনার মোবাইলের ডিফল্ট সাউন্ড রেকর্ডার দিয়ে রেকর্ড করতে পারেন। কিংবা বিকল্প হিসেবে আপনি টাইপ করে এনিমেশন আকারে ডিটেইলস গুলো ভিডিওতে দিতে পারেন।
তাহলে এখন আসা যাক ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এর কথায়।এটির জন্য ও কোনো চিন্তার প্রয়োজন নেই, ইউটিউবে সার্চ করুন Audio Library লিখে, এরপর যে চ্যানেল আসবে সেটি থেকে আপনার পছন্দের মিউজিক নিয়ে আপনার ভিডিওতে এড করে ফেলুন। সব মিউজিক কপিরাইট মুক্ত।
সবশেষে একটি থাম্বনেইল বানিয়ে ভিডিও করে আপলোড করে ফেলুন।
এভাবে মূলত আপনি ইউটিউব থেকে আয় করতে পারেন। এই ছিল মূলত আজকের এপিসোড।ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ