আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই ?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় করি।
বর্তমান যুগ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ। তথ্য প্রযুক্তি আমাদের জীবনধারা পাল্টে দিয়েছে।কিন্তু আমরা কি কখনো ভেবে দেখিছি কিভাবে আমরা ঘরে বসে টেলিভিশন দেখতে পারছি?সিডি কিংবা ভিসিআরে কিভাবে মুহূর্তে আমরা যেকোনো ধরণের গান কিংবা সিনেমা দেখতে পারছি। এইসব কিছুই সম্ভব হচ্ছে ইনফ্রারেড তরঙ্গের ফলে।জি হ্যা এটি এমন এক তারবিহীন তরঙ্গের নাম।বর্তমানে অনেক ধরণের ডিভাইস এ এই তরঙ্গ
ব্যবহার করা হয়।
এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে ইনফ্রারেড কি ?সাধারণত মূল ডিভাইসকে তারবিহীন সংযুক্ত করার জন্য যে তরঙ্গ ব্যবহার করা হয় সেই তরঙ্গকে বলা হয় ইনফ্রায়েড তরঙ্গ। সাধারণত কোনো ধরণের ইলেক্ট্রোমেগনেটিক স্পেক্ট্রোমার এর গতি ৩০০ গিগাহার্জ থেকে ৪০০ টেরাহার্জ পর্যন্ত ফ্রীকোয়েন্সিকে বলা হয়ে থেকে ইন্ফ্রায়েড তরঙ্গ। ইন্ফ্রায়েড তরঙ্গকে বাংলা ভাষায় অবলোহিত বিকিরণ রশ্নি বলা হয়। উইলিয়াম হার্শেল ১৮০০ সালে এই ইন্ফ্রায়েড তরঙ্গ বা অবলোহিত রশ্নি আবিষ্কার করেন।
অনেকের মনে প্রশ্ন জগতে পারে ইন্ফ্রায়েড তরঙ্গ কি কাজে লাগে। নিচে তাই ইন্ফ্রায়েড তরঙ্গের কিছু ব্যবহার বিধি তুলে ধরা হলো:
১.আমাদের ব্যবহৃত কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরণের যন্ত্রাংশ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ইন্ফ্রায়েড রশ্নি।
২.আমাদের ব্যবহৃত কার লকিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় ইন্ফ্রায়েড রশ্নি।
৩.বিভিন্ন ধরণের টেলিভিশন ,সিডি কিংবা ভিসিআর এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় এই রশ্নি।
৪.এছাড়াও নানান ধরণের ট্যাকনিকেল ডিভাইস তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এই ডিভাইস।
তারবিহীন তরঙ্গ হিসেবে খ্যাত এইটি আজকাল নানান ধরণের প্রযুক্তি তৈরিতে ভূমিকা পালন করছে।
আশা করি আজকের পোস্টটির মাধ্যমে আপনারা ইনফ্রায়েড তরঙ্গ সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন