কাঁচা আম আমরা সবাই চিনি।এই গরমের সময় কমবেশি সব জাইগাতেই আম পাওয়া যাই তাই খুবই সহজলভ্য বলা চলে।কাঁচা বা পাকা সব আমেরই শরবত হয়। এই রোজার সময় কাঁচা আমটাই পাওয়া যাচ্ছে।তাই চলুন শিখে ফেলি খুব সহজেই বানানো যাই এই কাঁচা আমের শরবত। কাঁচা আমের সরবত দেহ মনে প্রশান্তি আনতে পারে এই রোজার ইফতারিতে। তাই চলুন বানিয়ে ফেলি মজাদার এই শরবত। তার আগে জেনে আসি তার পুস্টিগুন কতটা।
কাঁচা আমের পুস্টিগুন
পুস্টিবিদদের মতে ১০০ গ্রাম কাঁচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে।
উপকরন
@ কাঁচা আম মাঝারি আকারের ২ টা। যে আমের আঁটি এখনো শক্ত হইনি সেই আম নিলে ভালো হয়।
@ বিটলবন এক চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ।
@ খাবার লবন পরিমান মত বুঝে দিতে হবে।
@ জিরে গুড়ো এক চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ।
@ পুদিনা পাতা ২০ থেকে ২৫ টা।
@ কাঁচা মরিচ ১ থেকে ২ টা। আপনি যে রকম ঝাল খান।
সরবত প্রস্তুত প্রনালি
প্রথমে দুইটা কাঁচা আম ভালোভাবে ধুয়ে খোশা ছাড়িয়ে নিন। তারপর বিচি ফেলে দিন। এবার পুদিনা পাতা, বিটলবন, খাবার লবন, কাঁচা মরিচ, জিরে গুড়ো মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন। এখানে পরিমান বলা থাকলেও আপনার নিজের রুচি মত কমবেশী মেশাতে পারেন সব উপকরন।
হয়ে গেল দেহ ঠান্ডা করা এই রোজাই ইফতারে পরিবেশন করার মত একটা শরবত।
শরবতের সাস্থ্য গুনাবলি
১। আপনার এসিডিটি দুর করবে, কারন পুদিনা পাতা পেটের গোলযোগ দুর করে। তবে একেবারে খালি পেটে খেলে হিতে বীপরিত হতে পারে। কারন এটা টক।
২। উচ্চরক্তচাপ কমায়।
৩। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৪। বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ওজন কমায়।
৫। স্কারভি রোগ থেকে বাচায়।
৬। দাঁতের মাড়ি ও হাড় শক্ত করে।
৭। লিভারের হজম ক্ষমতা বাড়ায়, কারন লিভারের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
৮। চুল ও তক ভালো রাখে ভিটামিন সি এর কারনে।
৯। হজমে সাহায্য করে।
১০। শরীর ঠান্ডা করে।
১১। দেহের লবনের সম্যতা বজায রাখে।
১২। রক্তকে পরিস্কার করে।
১৩। পাইখানা নরম হতে সাহায্য করে।
১৪। বমি ভাব দুর করে।
পরিষেশে বলি আপনারা সবাই চেস্টা করে দেখুন এই রোযাই বাড়িতে সহজলভ্য এই কাঁচা আমের সরবত বানাতে পারেন কিনা। ইফতারিতে সারা দিনের রোযার ক্লান্তি মেটাবে। দেহ মনে প্রশান্তি আনবে এই শরবত।