পাকিস্তান তাদের হাতে আটক ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন। তাকে ছেড়ে দেবার পর ভারত পাকিস্তান এর মধ্যে উত্তেজনা কমবে বলে এখন ধারনা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উটেছে গত কয়েকদিন মানুষ যাযা দেখলো তা দেখে কি বোঝা যাচ্ছে। কে জিতলো কৌশল এর লড়ায়ে? নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী ইমরান খানের মধ্যে জিতলো কে৷ পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী ইমরান খান ২৮ তারিখে ঘোষণা করেন যে তারা ভারতের পাইলট অভিনন্দন কে তাদের হাতে তুলে দেবেন । কিন্তু অনেকে তার বক্তব্য রুচিহীন মনে করেছে।
যখন ইমরান খান এই ঘোষণা করে তখন ভারতীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি মিটিং করছিলেন। উক্ত ঘটনাটি শোনার পর তিনি বলেন এক কাজ তো শেষ হলো এখন আমাদের আসল কাজে নামতে হবে। মঙ্গলবার ২৬ তারিখে ভারতীয় জঙ্গী বিমান যখন পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢোকে ,এবং কথিত সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ শিবির এ হামলা চালায় তখন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশাল এক নির্বাচনী জনসভা শুরু করেন এই বলে আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যোগ্য নেতৃত্বের হাতে এই দেশ নিরাপদ । মনে রাখতে হবে ভারতে নির্বাচন হতে যাচ্ছে আর কয়েক মাসের মধ্যে। এবং ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই পাকিস্তান ভারতীয় জঙ্গী বিমান কে গুলি করে।
- ২০১৪ সালের ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এমন একটা ভাব মূর্তি তৈরি করার চেষ্টা করেছিল যে তিনি তার বক্তব্যে থেকে নরেন না। আর তার জাতীয়তাবাদী ভাবমূর্তিকে অনুগত্যের সঙ্গে উজ্জীবিত রেখেছে স্থানীয় গণমাধ্যমে তার সমর্থক বড় একটা অংশ। অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তখন তার বেশ একটা ক্রান্তিকালে এসে দাঁড়িয়েছে এবং পরমাণু শক্তিধর দেশের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে কিনা তখন ভারতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই জনগণের সামনে দাঁড়িয়ে বক্তব্য না দিয়ে কেন তার সেনাবাহিনী ও আমলাদের দিয়ে ঘোষণা দিয়াচ্ছেন।
অনেকেই বলছে যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দ্রুত পাল্টা হামলা চালিয়ে ভারতের জঙ্গী বিমান ভূপতিত করে এবং মোদিকে কোনঠসা করে দিয়েছে। আমরা যদি ভারত ও পাকিস্তানের শক্তি সম্বন্ধে জানতে চাই তাহলে দেখা যায় যে তারা দুই দেশেই প্রায় সমান শক্তির অধিকারী। কিন্তু ভারতের চাইতে পাকিস্তানের ভারী অস্ত্রশস্ত্র বেশি আছে। যদি কখনো ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তাহলে সব থেকে বেশি বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পারমানবিক বোমা তো আছেই। তাই আমরা সকলে চাই একটা যেন শান্তিপূর্ণ মীমাংসা হয়। যেমনটা হয়েছিল আগের বছর থেকে কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দেশভাগের পর থেকেই অনেকবার যুদ্ধ হয়। কিন্তু সেই সব যুদ্ধ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসা হয়ে যায় ।কিন্তু এই পরিস্থিতি তো এখন দেখা যাচ্ছে যে ভারত ও পাকিস্তান কাশ্মীর টা খুব দরকার ভারত ভারত কাশ্মীর ছাড়বে না আবার নাছোড়বান্দা পাকিস্তান। ও তাই এখন পুুরো পৃথিবী ভারত ও পাকিস্তানের দিকে চেয়ে আছেন। যুদ্ধে কি তাাদের একমাত্র সমাধান? না সেই আগের মতো পরবর্তী পরবর্তী বছরগুলোর মতো শান্তিপূূর্ণ ভাবে মেলামেশা করে নেবে। - আবার এখানে দেখা যায় যে ভারতের পাইলট অভিনন্দন কে ছেড়ে দেবার পর ভারতের বেশি সংখ্যক গণমাধ্যম তাদের মিডিয়াতে তুলে ধরেছেন যে, এটা একটি ভারতের বিজয়। খুব কম সংখ্যক শ্রেণীর মানুষই তুলে ধরেছেন কে জঙ্গি হামলার কারণে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান উক্ত কাজটি করেন। যদিও কেউ কেউ বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান হয়তো তার দেশবাসীর কাছে এমনকি ভারতীয় বহু মানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণের লড়াইয়ে জিতে গেছে। কিন্তু ভারতের নিজের ঘাঁটি নিয়ন্তনে ইমরান খান ও নরেন্দ্র মোদি যে পুরো হেরে গেছে তেমন কখনোই বলা যাবে না। কাজেই এসব কঠিন প্রশ্ন নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবার সময় এসেছে এবং তার বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে বসে থাকি না তা নিয়ে তার মাথা ব্যথার কারণে তৈরি হয়েছে।
- এখন শুধু আমাদের দেখতে হবে যে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে যুদ্ধই কি তার একমাত্র সমাধান? না অন্য কোন উপায় আছে ?