ওষুধেই হবে কৱনা মুক্তি:
কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভাল আছেন সম্প্রতি চীন এর কিছু বিজ্ঞানীর দাবি করছে যে ভ্যাকসিন এ নয় ঔষধেয় হবে করনা জয়। উল্লেখ্য যে চিনে 2019 এর ডিসেম্বর মাস থেকে প্রথম করো না সংক্রমণের বিষয় সামনে আসে এরপর থেকে ধীরে ধীরে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় 62 টি দেশ এই ভাইরাস এর ভ্যাকসিন তৈরিতে ব্যস্ত।
তাদের মধ্যে চিন ও অন্যতম। চীনে এখন পর্যন্ত ভাইরাস নির্মূলের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করে এসেছে। এরই মধ্যে আরেকদল গবেষক দাবি করছে যে ভ্যাকসিন ছাড়াই এই ভাইরাস নির্মূল করা সম্ভব শুধুমাত্র ওষুধের মাধ্যমে। আর এই ওষুধ প্রয়োগের ফলে স্বল্পস্থায়ী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এন্টিবডি তৈরি হচ্ছে। এমনটাই দাবি করছে বেইজিংয়ের প্রতিষ্ঠান অ্যাডভান্সড ইনোভেশন সেন্টার ফর জেনোমিক্স। এই প্রতিষ্ঠানটি প্রাণীদের ওপর সফলভাবে ওষুধের মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানটি পরীক্ষার জন্য ইঁদুরের উপর করনা ভাইরাসের জীবাণু প্রয়োগ করে। এরপর ওই আক্রান্ত ইঁদুর এর ওপর ওষুধ পরীক্ষামূলক ব্যবহার করে দেখেছেন যে ইঁদুর গুলো খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছে।যে ওষুধ অ্যান্টিবডি নিউট্রিলাইজ করে- তা অনেকাংশেই মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে তৈরি হয়, যা ভাইরাসের দ্বারা কোষ আক্রান্ত হওয়া আটকায়।
রবিবার একটি জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ঘটনা ভাইরাস রোগ থেকে দ্রুত নিরাময়ের জন্য এন্টি বডির মাধ্যমে এই ভাইরাস থেকে মুক্তি মিলছে।
উল্লেখ্য যে বিভিন্ন দেশে কর্মরত থেকে মুক্তির জন্য অনেক ধরনের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করে থাকলেও তা তা এখনো ক্লিনিকাল ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। আর এই ট্রায়ালের ফলাফল পেতে আরও কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যে সকল ব্যক্তি সফল হবে বা কার্যকর বলে প্রমাণিত হবে সে সকল ভ্যাকসিন বৃহৎ আকারে বাজার জাত করতে লেগে যাবে আরো অনেক দিন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে পরিপূর্ণ ভ্যাকসিন আসতে লেগে যেতে পারে আরও 12 থেকে 18 মাস, এর আগে ভ্যাকসিন সকল ট্রায়ান শেষ করে বাজারে আসা সম্ভব নয়। আর এই পরিস্থিতি চিনের গবেষক দল ওষুধের ওপর নির্ভর করে করোনা মুক্তি সম্ভব বলে জানান। সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু চিকিৎসক বলেছেন যে তারা দুটি পুরনো সার্স রোগের ওষুধের মিশ্রণ এর মাধ্যমে 60 জন রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুলতে সক্ষম হয়েছে। আর চিনেও তাজমা থেরাপির পর প্রায় 700 মানুষকে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করে সম্পূর্ণরূপে করোনা ভাইরাস মুক্ত করতে পেরেছেন বলে চীনের সেই প্রতিষ্ঠানটি জানায়। তবে কি ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হবে বা কিভাবে ব্যবহার করতে হবে সে ধরনের বা সে সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।