‘কম্পিউটার ‘ বর্তমানের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার। কম্পিউটারের ব্যবহার ছাড়া আজকাল কোনো কাজ ই করা সম্ভব না।বর্তমান পৃথিবীর সকল কার্যক্রম কম্পিউটারের উপর ভিত্তি করে ই টিকে আছে। সকল কাজে সকল ক্ষেত্রেই কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।কম্পিউটার আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। পড়াশোনা থেকে শুরু করে গবেষণা, পর্যবেক্ষণ, চাষাবাদ, পশুপালন, খাবার প্রক্রিয়াকরণ,ব্যাবসা -বাণিজ্য সকল কাজে ই কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়।কম্পিউটারের ব্যবহার ছাড়া সারা দুনিয়ার সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। আজকের আমাদের এই কম্পিউটার একদিনে আবিষ্কৃত হয় নি।দীর্ঘদিনের গবেষণা এবং বিজ্ঞানিদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল আজকের আধুনিক কম্পিউটার। আজকের যে কম্পিউটার আমরা ব্যাবহার করছি সেটার আকৃতিও একদিনে হয় নি। শত শত বছর ধরে বিকশিত লাভ করেছে আমাদের আজকের কম্পিউটার। একসময় কম্পিউটারের দাম ছিলো অনেক এবং তার আকৃতিও ছিলো বিশাল।বিশ্বের সর্বপ্রথম কম্পিউটারের নাম ছিলো “এনিয়াক” যা ছিলো অনেক ব্যায়বহুল এবং তা ছিলো বিশাল বড়।ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা কম্পিউটারের আবিষ্কারকে এগিয়ে নিয়ে যান এবং আমাদের আজকের কম্পিউটার উপহার দেন। সর্বপ্রথম বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ এনালিটিকাল ইঞ্জিন নামে একটি ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন যা গাণিতিকভাবে হিসাব নিকাশ করতে পারতো।তিনি পরবর্তীতে ডিজিটাল ইঞ্জিনও আবিস্কার করেন।তার সেই এনালিটিকাল ইঞ্জিন কে সূত্র ধরেই অন্যান্য বিজ্ঞানীরা গবেষণা করতে থাকে।যানা যায় চার্লস ব্যাবেজ যখন গবেষণা শুরু করেন তখন তার আর্থিক সচ্ছলতা ছিলো না এবং তাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার মত কেও ছিলো না।তাই আর্থিক সহায়তার অভাবে সে তার গবেষণা সম্পূর্ণ করতে পারেন নি। নতুবা তিনি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ আবিস্কার করতে সক্ষম হতেন।যাইহোক আর্থিক সহায়তার জন্য তিনি তার গবেষণা সম্পূর্ণ করতে পারেন নি তাই তিনি নিজের আবিস্কারকে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেন যাতে অন্যরা সেটা নিয়ে গবেষণা করে সেটা আরো বিকশিত করতে পারেন। এভাবে পরবর্তীতে অন্যান্য অনেক বিজ্ঞানিদের পরিশ্রমের ফলে আমরা আজকের কম্পিউটার পাই। কম্পিউটারের সাহায্যে আজকাল ঘরে বসেই সকল কাজকর্ম করা যায়।পড়াশোনা থেকে শুরু করে বিনোদন, কেনাকাটা, চাকুরী, ব্যাবসা, গবেষণা, খেলা দেখা, বিভিন্ন জনপ্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষা গ্রহণ ইত্যাদি আরো অনেক কিছু।আজকাল বাজারে বিভিন্ন আকৃতির, বিভিন্ন ক্ষমতার কম্পিউটার পাওয়া যায় এবং তার দাম ও সাধারণ মানুষের নাগালের ভেতরেই।তবে একসময় সাধারণ মানুষের জন্য কম্পিউটার ছিলো না কম্পিউটার শুধু মাত্র ব্যবহার করতে পারতো ধনী প্রতাপশালী ব্যক্তিরা।এবং সেই সময় কম্পিউটার দ্বারা এতকাজ করা সম্ভব ছিলো না এবং তা শুধু হিসাব নিকাশ এবং গবেষণার কাজে ই ব্যবহৃত হতো। আজকাল কম্পিউটারের সাহায্যে অনেক কাজ করা যায় কিন্তু সাধারণ মানুষ কম্পিউটারকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে বিনোদনের কাজে।একসময় খেলা দেখতে হলে স্টেডিয়ামে যেতে হতো,সিনেমা দেখতে সিনেমাহলে যেতে হতো, গান৷ শুনতে গানের জলসায় যেতে হতো। কিন্তু বর্তমানে একজন মানুষ ঘরে বসে ই কম্পিউটার ব্যবহার করে সকল বিনোদন গ্রহণ করতে পারে। এবং এর ফলে অনেক খরচও বেচে যায়।বর্তমানে ব্যবহৃত সকল যন্ত্রই কম্পিউটারের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় এবং তা কম্পিউটারের মূলনীতি ব্যবহার করে কাজ করে।বর্তমানে মানুষ ঘরে বসেই বিশ্বের যেকোনো হাসপাতালের যেকোনো চিকিৎসকের চিকিৎসাসেবা৷ গ্রহণ করতে পারে।চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত সকল যন্ত্রই কম্পিউটারের উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং তা কম্পিউটার৷ দ্বারাই পরিচালনা করা হয়।কম্পিউটার ছাড়া গবেষণা কাজ তো অসম্ভব। গবেষণা কাজের জন্য তত্ত্ব,চাক্ষুষ পরিক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ আর এগুলো কম্পিউটারের সাহায্য ছাড়া অসম্ভব। কম্পিউটারের মাধ্যমেই বিভিন্ন দুরারোগ্য রোগ সম্পর্কে জানা এবং তার প্রতিষেধক আবিষ্কার সম্ভব হয়।কম্পিউটারের সাহায্যে খনি থেকে বিভিন্ন মূল্যবান পদার্থ উদঘাটন করা হচ্ছে।কম্পিউটার বিজ্ঞানের সবচেয়ে জনপ্রিয় আবিষ্কার যা মানুষের জীবনকে বদলে৷ দিয়েছে।মানুষের কাজ সহজ করে দিয়েছে। মানুষকে এনে দিয়েছে আরাম আয়েস এবং সাচ্ছন্দ্য। কিন্তু কম্পিউটারের সাহায্যে অনেক খারাপ কাজও করে অনেকে যা কোনো মতেই সমর্থিত নয় এবং আমাদের৷ সকলের উচিত এই বিষয়ে সচেতন থাকা।
কম সময়ে উন্নত মানের চারা উৎপন্ন করুন।বিজ্ঞান জীবনকে করে তুলছে আরো সহজ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহর আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজ আমি খুব চমৎকার কিছু জিনিস নিয়ে আলোচনা করব। বিষয় গুলো...