আসসালামু আলাইকুম।
বর্তমানে ইনকাম বা আয়ের জন্য অনলাইন একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। অনলাইনে আয় করার অনেক পদ্ধতি আমাদের সামনে আসছে। অনেক আর্নিং ওয়েবসাইট আছে যেখানে আমরা অর্থ ইনকামের জন্য কাজ করে থাকি, যার বেশীর ভাগই ফেইক। এসব ফেইক ওয়েবসাইট গুলো আপনাদের অনেক বেশী ইনকামের প্রলোভন দেখিয়ে আপোনাদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করছে কিন্তু পেমেন্ট দেয়ার সময় হলে তাদের খুজে পাওয়া যায় না। আমরাও কম পরিশ্রমে অধিক আয়ের লোভে পড়ে তাদের এইসব ফাদে পা দিচ্ছি। ফলে আমাদের মধ্যে অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে একটা নেগেটিভ ধারনা জন্ম নেয় এবং অনলাইনে ইনকাম করতে মন উঠে যায়। তাই আপনাদের বলব এসব ফেইক সাইট গুলোতে ইনভেস্ট করে টাকার বা শ্রমের অবমূল্যায়ন করবেন না, বরং যেসব সাইট বহু দিন ধরে আস্থার সাথে পেমেন্ট দিয়ে আসছে সেই সাইট গুলোতে কাজ করুন। এসব সাইট চিনবেন কিভাবে? চলুন জেনে আসিঃ-
১/ রিয়েল সাইট গুলো অনেক দিন ধরে টিকে থাকে, ফেইক সাইট গুলো অল্প কিছুদিনের জন্য আসে। তাই কোনো সাইটে কাজ করার আগে দেখে নিবেন সাইটটি কত দিনের পুরোনো। মিনিমাম ৬ মাস সাইটি টি থাকলে তার উপর বিশ্বাস করা যায়।
২/ সাইটে ইনকাম অন্য সাইট গুলোর তুলনায় কম হবে। রিয়েল সাইট গুলো আপনাকে সত্যিকারের টাকা পেমেন্ট করবে, তাই এসব সাইটে আপনাকে পরিশ্রম করেই আয় করতে হবে। ফেইক সাইট গুলো আপনাকে দিয়ে অধিক আয়ের কথা বলে আপনাকে দিয়ে অল্প হলেও কাজ করিয়ে নিবে এবং কয়েক দিন পরেি গায়েব হয়ে যাবে।
৩/ সাইটিটি যে সত্যি পেমেন্ট দেয় তার প্রমান থাকতে হবে। রিয়েল সাইট গুলো তাদের পেমেন্ট এর প্রমান তাদের ওয়েবসাইটে বা ফেসবুক গ্রুপে দিয়ে থাকে। পুরোনো সাইট গুলোর প্রচুর পেমেন্ট প্রুফ থাকে, যা ফেইক সাইট গুলোতে থাকেনা।
৪/যদি সাইটের ফেসবুক গ্রুপ, পেজ থাকে বা মেসেঞ্জার গ্রুপ থাকে, তাহলে দেখবেন এদের এডমিন এর প্রোফাইল রিয়েল নাকি ফেইক। যদি প্রোফাইলে নিজের ছবি, কন্ট্যাক্ট নাম্বার, ইমেইল আইডি, এবং তার সম্পর্কে বিস্তারিত না লিখা থাকে তাহলে বুঝতে হবে এখানে ঘাপলা আছে। বেশীরভাগ মানুষ ফেইক আইডি খুলে থাকে মানুষের সাথে প্রতারনা করার জন্য।
৫/ রিয়েল সাইট গুলো এডমিনের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে এডমিনের মোবাইল নাম্বার, জিমেইল, ফেসবুক আইডি ইত্যাদি দেয়া থাকে। এসব মাধ্যমের সাহায্যে আপনি যে কোনও প্রয়োজনে এডমিনের সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবেন। ফেইক সাইট গুলোর এডমিন রা সাধারনত নিজেদের আড়ালে রাখে, যাতে করে টাকা নিয়ে ভেগে যাওয়ার পর কেউ তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে না পারে বা অন্য কোনও ব্যাবস্থা নিতে না পারে।
৬/ স্ক্যাম সাইট গুলো চেনার জন্য বেশ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখানে আপনার আর্নিং সাইটের লিঙ্ক টা আসল নাকি স্ক্যাম তা যাচাই করে নিতে পারেন। এমন একটি ওয়েবসাইট হলঃ scamadviser.com। এই সাইটের মাধ্যমে আপনি যে কোনো সাইটের লিংক দিয়ে সাইট স্ক্যাম কিনা তা যাচাই করে নিতে পারবেন, এতে আপনার পরিশ্রম বৃথা যাবে না।
উক্ত পদ্ধতি গুলো মেনে চললে আশা করি ফেইক ওয়েবসাইট গুলো থেকে এড়িয়ে থাকতে পারবেন। এখন হয়তো ভাবছেন গ্র্যাথোর ওয়েবসাইট টি বিশ্বস্ত কিনা? হ্যা এটি বিশ্বস্ত কারন এটি উপরের সব কটা পয়েন্টে পসিটিভ। প্রথমত এই সাইটটি প্রায় ২ বছর ধরে সফলতার সাথে চলে আসছে, এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এখানে ইনকামের জন্য আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে, নিজের মেধা কাজে লাগিয়ে আর্টিকেল লিখতে হবে, তাহলেই আপনি এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এই সাইটের এডমিন প্যানেল ও যথেষ্ট একটিভ এবং রিয়েল, সাইটে এডমিনের সাথে সরাসরি যোগাযোগের জন্যও ব্যাবস্থা আছে। আর এই সাইটের প্রচুর পেমেন্ট প্রুফ রয়েছে। তা ছাড়া scamadviser.com এর মতে গ্রাথোর সাইটটি বিশ্বাসযোগ্য। তাই আপনার পরিশ্রমের টাকা বৃথা যাবে না যদি এখানে কাজ করেন। আপনার যদি অন্য কোনো আর্নিং ওয়েবসাইট নিয়ে সন্দেহ থাকে তাহলে উপরের পয়েন্ট গুলোর সাথে মিলিয়ে শিওর হয়ে নিতে পারেন।
আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন, আর পোষ্ট টি ভালো লাগলে শেয়ার করবেন। খোদাহাফেজ।