“বিসমিল্লাহিররহমানিররহিম”
আমাদের শিরোনাম দেখে হয়তো বুঝেছেন আজকের আলোচনার বিষয় । কোমর ব্যাথা হচ্ছে এমন একটি সমস্যা যে সমস্যা দ্বারা বিভিন্ন বয়সের ব্যাক্তি আক্রান্ত হতে পারে, আমাদের দৈন্দিন জীবনে ওনেক মানুষ এই ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকেন বা আক্রান্ত হয়ে থাকেন বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ভাবে এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে এর মধ্যে কিছু সংখ্যাক লোক কোমর ব্যাথা হওয়ার ফলে নিজেরা ফার্মেসি থেকে ঔষধ কিনে চিকিৎসা নিচ্ছে এর ফলে তরা কিছু দিন ভালো থাকছে আবার অসুস্থ হয়ে পরছে। আবার কিছু রুগী দের বেলায় দেখা যায় তাদের কোমরের ব্যাথা টি শুধু কোমরেই নয় কোমর থেকে হাঁটুতে নামতেছে কারো কারে বেলায় এই ব্যাথাটি কোমর থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত ছরিয়ে যায় করো কারো কারো পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত এসে পায়ের আঙুল এ ছরিয়ে যায়। কেউ আবার পায়ে ঝিন-ঝিন সিন সিন অনুভব করে আবার কিছু রুগী দেখা যায় বেশি দূর হাঁটতে গেলে তাদের পা অপশ হয়ে যায় এবং সেই মূহুর্তে তার হাঁটা বন্ধ করে বসে যেতে হয়, যেন এই সমস্যার জন্য কিছুটা আরাম পায়। আবার কিছু রুগী আছে তাদের সারাদিন কর্মকান্ডে কোন ব্যাথা অনুভব করে না কিন্তু সারাদিন কর্মকান্ড করে বাসায় এসে যখন বিশ্রাম নিতে যায় এবং ঘুমাতে যায় অথবা ঘুম থেকে উঠে বথ্যা অনুভব করে ব্যাথা এতো টাই তিব্র যে বিছানা থেকে নামতে উঠতে ওনেক কস্ট অনুভব করে। আবার কিছু সময় হাঁটা চলা করলে কিছুটা হলেও ব্যাথা কমে যায়। এতক্ষণ আমরা যে উপসর্গ নিয়ে আলোচনা করলাম এই থেকে আমরা বুঝতে পারলাম কোমরের ব্যাথা এক এক জন এর এক এক রকম সবার ব্যাথা এক নয়। এইজন্য কোমর ব্যাথার মূল কারণ নির্নয় করে চিকিৎসা ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন
এখন যানা যাক কোমর ব্যাথা কি কি কারনে হতে পারে কোমর ব্যাথা যে যে কারনে হয় তার কিছু কারন আমি উল্লেখ করতেছি
- দৈঘ্য সময় এক জায়গায় বসে থাকলে বা হাঁটা
- কোমরের আঘাত জনিত কারণে
-
“লম্বার স্পনডাইলাইসিস” এগুলো হচ্ছে মেরুদণ্ডে যে হার গুলো আছে সেগুলো ক্ষয়
হয়ে যায় এবং নতুন হাড় গঠিত হয় এর জন্য ও কোমর ব্যাথা হয়ে থাকে
- “পি.এল.আইডি” আমাদের মেরুদন্ডে যে হার গুলো আছে সে গুলোর মাঝে জেলির মতো কিছু তরল পদার্থ থাকে যেগুলো আমরা বলি ইন্টার ভারটি বেরাল ডিস্ক কোন কারনে এই ডিস্ক যদি পিছনের দিকে অথবা সাইডে যদি সরে যায় সেই ক্ষেএে স্পাইনাল কর্ড ওথবা স্পাইনাল নার্ব এর উপর চাপ দেয় এই জন্য রুগি কোমর ব্যাথা অনুভব করে
- “স্পনডাইলাইটিস” মেরুদণ্ডের হাড়ের যদি গতি শীলতা বা নড়া চরাটা কমে যায় এই জন্য যদি উপযুক্ত চিকিৎসা না নেওয়া হয় সেই ক্ষেত্রে রুগীর মেরুদণ্ড সক্ত হয়ে যায় এর জন্য দৈনন্দন জীবনে তার চলা ফেরা কাজ করতে অনেক সমস্যা হয়ে থাকে
- “স্পনডাইলিস্থিসিস” যেখানে দেখা যায় মেরুদণ্ডের একটি হাড় আর একটি হাড়ের সামনের দিকে অথবা পিছনের দিকে সরে যাওয়া এজন্য রুগি খুব ব্যাথা অনুভব করে
- হড়ের ক্ষয় জনিত রোগ এর জন্য হাড়ের ঘনত্ব কমে যায় এই কারনে ব্যাথা অনুভব হয়ে থাকে
- কিছু কেন্সার ছড়িয়ে যাওয়ার ফলে মেরুদণ্ড এর হাড় ধরে যায় যার ফলে ওনেক ব্যাথা হয়ে থাকে
সুতরাং আপনারা যদি একটু খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন একটি কেমর ব্যাথায় ছোট থেকে বড়ো ওনেক কারন রয়েছে সুতরাং যারা কোমর ব্যাথায় ভুগছেন তারা যদি কিছু নিয়ম মেনে চলেন তাহলে এটি থেকে মুক্ত হতে পার বেন নিয়ম গুলো নিচে দেওয়া হলো
- আপনি যখন চেহাড়ে বসবেন তখন আপনার পিঠ ও কোমর সোজা করে চেহাড়ের একদম পিছে গিয়ে বসবেন টেবিল টা চেহাড়ের যতো কাছাকাছি সম্ভব রাখতে হবে
- যদি ওনেক সময় ধরে হাটতে হয় তাহলে হাই হিল বা উঁচু জোতা পড়ে হাঁটা যাবে না এইক্ষেত্রে আরাম দায়ক জুতা ব্যাবহার করবেন
- এক নাগারে ১০ থেকে ১৫ মিনিট দারিয়ে থাকা কখনো ই উচিত নয় পারলে কোথাও বসে একটু বিশ্রাম নেওয়া ভালো যদি দারিয়ে থাকতে হয় তাহলে আপনি আপনার পায়ের ভর এক পা থেকে আরেক পায়ে সিপ্ট করবেন
- বিছানায় সোয়ার সময় সক্ত বিছানায় সুতে হবে
- কোন জিনিস যদি নিচে পড়ে যায় তাহলে হাঁটু গেড়ে বসে তার পর তুলবেন
আরো ওনেক নিয়ম কানুন রয়েছে যেগুলো ডিপেন্ড করে রুগীর রোগনির্নয় এর উপর যে তার কোন কোন নিয়ম পালন করতে হবে। তো আজ এই প্রযন্ত আাপনারা সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন কোমর ব্যাথা মুক্ত থাকুন। আবার আপনাদের সামনে উপস্থিত হবো নতুন কোম ব্যাথা নতুন কোন সমস্যা নিয়ে
ধন্যবাদ