বন্ধুরা আজ তোমাদের সামনে আলোচনা করব, গর্ভকালীন পুষ্টিগুণ নিয়ে এবং শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে। আশা করি ,তোমাদের উপকারে আসবে।
একটি শিশু যখন মায়ের গর্ভে থাকে তখন শিশুর দেহ গঠনের জন্য মায়ের পুষ্টি চাহিদা বেড়ে যায়। একজন গর্ভবতী মায়ের খাদ্য যদি নিজের ও সন্তানের চাহিদা পূরণের জন্য উপযুক্ত পুষ্টি উপাদান না থাকে তবে মা ও শিশু উভয়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হয়ে পড়তে পারে। তাই সুস্থতা এবং শিশুর সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য প্রয়োজন সুষম খাবার।
আমাদের দেশে কুসংস্কারে প্রভাবিত হয় অনেক গর্ভবতী মহিলা পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করেন না ,যার ফলে গর্ভকালীন বাড়তি পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয় না। এক্ষেত্রে মা ও শিশুর যে সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে তা হল—
মায়ের ক্ষেত্রে…..
#রক্তস্বল্পতা
#ইনফেকশনের ঝুঁকি ও দুর্বলতা
#বিভিন্ন গর্ভকালীন জটিলতা।
শিশুর ক্ষেত্রে….
#জন্মগত ত্রুটি ও মস্তিষ্কে ত্রুটিপূর্ণ গঠন
#ত্রুটিপূর্ণ মানসিক বিকাশ
#কম ওজন নিয়ে জন্মানো
#ইনফেকশনের ঝুঁকি
#কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে জন্মানো।
তাই আমাদের মায়েদের পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। এটি শুধু মায়ের সুস্বাস্থ্য আর নয় গর্ভস্থ শিশুর সূচনা ও মজবুত সুনিশ্চিত করবে।
মা ও শিশু উভয়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য গর্ভবতী মায়ের পর্যাপ্ত পুষ্টির প্রয়োজন। এ সময় সঠিক পরিমাণে মাছ, মাংস, দুধ ,ডিম, ডাল, শুকনো ফল, সবুজ ও রঙিন শাকসবজি খেতে হবে। সকল কুসংস্কার দূর করে গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে হবে। যদি গর্ভবতী মা নিজে সচেতন নাও থাকেন সে ক্ষেত্রে পরিবারের সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে তার পুষ্টি চাহিদা পূরণের। যদি কোন কারনে গর্ভকালীন পুষ্টি চাহিদা পূরণ না হয় সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে ডাক্তার যদি আয়রন ও ফলিক এসিড সমৃদ্ধ কোন উৎস বা পুষ্টি কর খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দেন তবে তা গ্রহণ করা যেতে পারে।
গর্ভাবস্থায় আপনার নিয়ন্ত্রিত সুষম খাদ্যাভ্যাসে আপনার শিশুকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখতে পারে।