আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সামনে বলতে যাচ্ছি গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না
মাতৃত্ব প্রত্যেকটি মেয়ের মধ্যেই অন্যরকম অনুভূতি সৃষ্টি করে। মাতৃত্বেই নারীর পূর্ণতা। গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মেয়েরই কিছু না কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তাই গর্ভাবস্থায় সাবধানতার সাথে চলাফেরা করা উচিত এবং মেনে খাওয়া-দাওয়া করা উচিত।
কিছু খাবার আছে গর্ভাবস্থায় খেলে উপকার পাওয়া যায় আবার গর্ভাবস্থায় কিছু খাবার পরিহার করা উচিত। গর্ভবতী মা এবং অনাগত শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য কিছু সবজি এড়িয়ে চলা উচিত।
যেমন- গর্ভাবস্থায় কোন ধরনের কাঁচা শাকসবজি না খাওয়াই ভালো। কাঁচা সবজিতে ময়লা বা বিভিন্ন ধরনের পরজীবী থাকতে পারে যার মাধ্যমে গর্ভবতী মা এবং অনাগত শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
আমরা রাস্তার ধারে বা বিভিন্ন জায়গায় কাঁচা ফল বা সবজি বিভিন্ন ধরনের মসলা দিয়ে মাখিয়ে বিক্রি করতে দেখতে পাই। ভ্রমণের সময় বা হেঁটে চলার সময় আমরা রাস্তা থেকে আনারস, পেয়ারা, শসা, আমড়া ইত্যাদি কিনে খেয়ে থাকি।গর্ভাবস্থায় বাইরের এসব খাওয়া বর্জন করা উচিত।
এসব খাবার ঢেকে রাখার ফলে এতে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার জন্মে। আবার বাড়িতেও ফল বা ফলজাতীয় সবজি দীর্ঘ সময় কেটে রেখে গর্ভাবস্থায় না খাওয়াই ভালো।
পেঁপে- পেঁপে খুবই উপকারী একটি সবজি কিন্তু গর্ভাবস্থায় পেঁপে খাওয়া উচিত না কারণ পেঁপেতে ল্যাটেক্স নামে এক ধরনের উপাদান থাকে যা গর্ভজাত সন্তানের ক্ষতি করে।
করলা- করলা শরীরের জন্য আরেকটি প্রয়োজনীয় একটি সবজি। করলাতে গ্লাইকোলাইসিস, সেপনিক, মারোডিসিন নামক ক্ষতিকর পদার্থ থাকে যা গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী এবং গর্ভজাত সন্তানের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আনারস
আনারস অত্যন্ত সুস্বাদু একটি ফল। আনারসে ব্রোমালিন নামক এক ধরনের উপাদান থাকে যা গর্ভের সন্তানের ক্ষতির কারণ হয়।
সজিনা- সজিনা খুবই জনপ্রিয় এবং পুষ্টিকর একটি সবজি হলেও এতে বিদ্যমান রয়েছে ’আলফা সিটেস্টেরল’ নামক এক ধরনের উপাদান গর্ভবতী মায়ের গর্ভপাত ঘটাতে পারে। তাই গর্ভকালীন সময়ে সজিনা না খাওয়াই ভালো।
অ্যালোভেরা– অনেকেই সৌন্দর্যচর্চার জন্য বা পেট পরিষ্কার রাখার জন্য নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস খেয়ে থাকি। কিন্তু গর্ভকালীন সময়ে অ্যালোভেরা খাওয়া উচিত নয় কারণ অ্যালোভেরা গর্ভপাত ঘটাতে পারে।
আধা সিদ্ধ ডিম- গর্ভাবস্থায় কখনই আধাসিদ্ধ বা অল্প সিদ্ধ ডিম খাওয়া উচিত নয় কারণ এতে সালমোনেলা দ্বারা দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যা ডায়রিয়া বা বমি ভাব সৃষ্টি করে। তাই গর্ভাবস্থায় ডিম খাওয়ার সময় ড়িম ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া উচিত।
দোকান থেকে কেনা সালাদ- আমরা দোকান থেকে কেনা বিভিন্ন রকমের সবজি মিশিয়ে তৈরি করা সালাদ খেতে খুবই পছন্দ করি। কিন্তু গর্ভাবস্থায় যেসব পরিহার করা উচিত। কারণ এতে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু থাকতে পারে বা ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে গর্ভবতী মায়ের এবং গর্ভের শিশুর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
তো আজকের জন্য এতটুকুই । পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।