বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মেয়াদ ইতিমধ্যে পার হয়ে গেছে। গত মে মাসেই কমিটি তার দুই বছর পূর্ণ করেছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এখনও এ ব্যাপারে কোনো তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে না। এ নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী কলাকুশলীদের মধ্যে বিরাজ করছে অসন্তোষ। এমনকি মেয়াদউত্তীর্ণ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনি তফসিলও ঘোষণা করেনি বর্তমান কমিটি। ফলে কাগজে কলমে কমিটি বিলুপ্ত হয়ে গেলেও তফসিল ঘোষণা না হওয়ায় অবৈধ কমিটির মাধ্যমেই চলছে সমিতির কার্যক্রম। যদিও বড় ধরনের কোনো কার্যক্রম এখন হাতে নিচ্ছে না শিল্পী কমিটি। এদিকে তফসিল ঘোষণা না হলেও শুরু হয়েছে নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্ধীদের যোগাযোগ। ভিতরে ভিতরে মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। জানা গেছে বর্তমান কমিটির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান এবারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করবেন। সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সময়ের অপ্রতিদ্বন্ধী চিত্রনায়ক শাকিব খানের নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা প্রথমে শোনা গেলেও বিশ^স্ত সূত্রে জানা যায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। তার বদলে তিনি চিত্রনায়িকা মৌসুমী কে সমর্থন দেবেন বলে শোনা যাচ্ছে । কারণ মৌসুমী এবার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করবেন। তার স্বামী অভিনেতা ওমর সানীর পরামর্শেই এ সিদ্ধান্ত বলে জানা যায়। নির্বাচন বিষয়ে চিত্রনায়িকা মৌসুমী বলেন ‘আমি এবারের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হতে চাই। শিল্পীদের অনেকেই আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি যে এখনো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। যদিও অনেক আগেই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। অনেকদিন ধরে আলোচনায় থাকা অভিনেতা ডি এ তায়েব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে তিনি তার অবস্থান পরিষ্কার করতে পারেন। এছাড়াও রিয়াজ, ফেরদৌস, অমিত হাসান, পূর্ণিমা, পপি, ইমন সহ আরো অনেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা যায়। চিত্রনায়ক রিয়াজ চলমান কমিটির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার মতে সময় যেহেতু শেষ। সেক্ষেত্রে এ কমিটি এখন অবৈধ। এ কমিটি নিয়ে এক ধরনের সার্কাস হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। এ ব্যাপারে কার্যনির্বাহী সদস্য চিত্রনায়িকা পপির কণ্ঠে ঝড়ে পড়ল হতাশা ও ক্ষোভ। তিনি বলেন কমিটির মধ্যে দুএকজন সুযোগসন্ধানী সদস্য ছিলেন যারা সাধারণ মানুষদের কাছে চলচ্চিত্রের সবার সম্পর্কে নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন। সংগঠনকে ব্যবহার করেছেন একটা হাতিয়ার হিসেবে। তবে আশার বাণী শুনিয়েছেন চিত্রনায়ক ও কার্যনির্বাহী সদস্য ফেরদৌস। তিনি আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন ‘ আমি আশা করব খুব শিগগির যথাযথ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি সংগঠন পরিচালনা করবে।’ তাছাড়া তিনি নিজে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান। বর্তমান কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক চিত্রনায়ক ইমনও প্রায় একই কথা বলেন। তিনি বলেন ‘আমি যতটুকু জানি খুব শিগগিরই তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনের তারিখও জানিয়ে দেওয়া হবে।
শিল্পীদের কণ্ঠে আশার বাণী শোনা গেলেও এখনও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে বিশ^াসযোগ্য কোনো খবর নেই। দ্রুত তফসিল ঘোষণা ও একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠনের প্রত্যাশাই করছেন সংশ্লিষ্ট সকলে।
বিপদের সময় প্রকৃত বন্ধুর নাম আত্মবিশ্বাস।
এক সময় একজন বিজনেস এক্সিকিউটিভ প্রচন্ড অর্থ সংকটে পরলেন। তিনি দেনার দায়ে ডুবে ছিলেন তা থেকে পরিত্রানের কোনো উপায়ই খুঁজে...