আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সামনে বলতে যাচ্ছি অবাঞ্চিত লোম বা চুল ওঠা বন্ধ করার উপায় । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
মানুষ বিভিন্ন কারণে অবাঞ্চিত লোম বা চুল রাখেনা। এর মধ্যে অন্যতম কিছু কারণ হচ্ছে স্বাস্থ্যকর থাকা, ধর্মের নিয়ম-কানুন মেনে চলা কিংবা অস্বস্তিকর বা বিব্রতকর বলে মনে করা। সাধারণত অবাঞ্চিত লোম বা চুল বন্ধ বা দূর করার পরামর্শ কেউ নিতে বা দিতে লজ্জা পায়।
আপনি চাইলে এই লোম কাটতে পারেন কিন্তু চিরতরে এই লোম ওঠা বন্ধ করার কিছু উপায় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে লেসার চিকিৎসা। এটি আসলে অনেক ব্যয়বহুল। বেশিরভাগ মানুষের পক্ষে তা করা সম্ভব।৷ নিচে লেসার চিকিৎসা নিয়ে বলছি ও কয়েকদিন বা মাসের জন্য এই চুল ওঠা বন্ধের কিছু উপায় নিয়ে নিচে বলছি।
চুল ওঠা বন্ধ করার উপায়
১. শেভিংঃ এটিই লোম দূর করার জন্য সবচেয়ে প্রচলিত, সস্তা ও সহজ উপায়। এর মাধ্যমে আপনি যেকোনো অঙ্গের লোম তুলতে পারবেন। আপনি নরমাল রেজারের মাধ্যমেই এ কাজ করতে পারবেন। রেজারের মাধ্যমে খুব কম সময়ের মধ্যেই অবাঞ্চিত লোম কেটে ফেলা যায়।
রেজার ব্যবহার করার জন্য কিছুই শেখা লাগেনা, খুব সহজেই পারা যায়। যদিও ব্যবহার করার সময় একটু সাবধান হতে হবে। সাবধান থাকলে কোনো প্রকার ব্যথা বা আঘাত লাগবে না। যদি একটু অসতর্ক হন তাহলে ব্যথা লাগতে পারে বা কেটেও যেতে পারে। শেভ করলে তা খুল তাড়াতাড়ি আবার বড়ে হয়ে যায়।
তাই কয়েকদিন পরপর বারবার শেভ করা লাগে। শেভিংয়ের পর যে স্থানের লোম কেটেছেন সেখানে একটু চুলকানি হতে পারে। সেনসেটিভ ত্বকে র্যাশ উঠতে পারে। (চুল ওঠা বন্ধ করার উপায়)
২. ওয়াক্সিং (Waxing): এটি আধুনিককালের একটি প্রচলিত প্রক্রিয়া। এটি বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে আরম্ভ হয়। এর মাধ্যমেও আপনি যেকোনো অঙ্গের লোম তুলতে পারবেন। এটি প্রধানত নারীদেরক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য।
একবার ওয়াক্সিং করলে প্রায় ৩০-৪০ দিনের মধ্যে আর ওঠার সম্ভবনা কম। ওয়াক্সিং করার পর যে লোম উঠবে তা পূর্বের তুলনায় পাতলা হবে। ওয়াক্সিংয়ের খরচ শেভিংয়ের চেয়ে অনেক বেশি যদিও সব হিসাব করলে খরচ একই পড়ে কারণ শেভিং বারবার করা লাগে। ওয়াক্সিং এর বেশ কিছু খারাপ দিক রয়েছে।
আপনি যখন ওয়াক্স করবেন তখন কিছুক্ষণের জন্য আপনার প্রচন্ড যন্ত্রণা হবে। এটি সেনসিটিভ ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। চুলকানি বা জ্বালা হতে পারে যার কারণে পরবর্তীতে ইনফেকশন পর্যন্ত হতে পারে। ডায়বেটিস থাকলে কিংবা গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াটি করা উচিত নয়।
অবাঞ্চিত লোম বা চুল চিরতরে বন্ধ করার উপায়ঃ
চুল ওঠা বন্ধ করার উপায় : লেসার ট্রিটমেন্ট/চিকিৎসাঃ আমার মতে এটিই সেরা উপায়। এটি আপনার অবাঞ্চিত লোম ওঠা চিরদিনের জন্য বন্ধ করে দিবে। লেসার ট্রিটমেন্ট আপনার হেয়ার ফলিকলগুলিকে ধংস করে দেয় ফলে বারবার খরচ করার কোনো প্রয়োজন হয়না। ত্বক কেটে বা ছিঁজে যায়না। এই প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যথা অনুভব হয়না।
কিন্তু এর কিছু খারাপ দিকও আছে। এটিই সবচেয়ে দামি বা ব্যয়বহুল উপায়। আমাদের দেশে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষ এটি করতে পারবে বলে মনে হয়না। এর জন্য বারবার টাচ আপের দরকার হতে পারে। এটি শুধু ব্যয়বহুলই না, সময়সাপেক্ষও।
(চুল ওঠা বন্ধ করার উপায়) তো আজকের জন্য এতটুকুই। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।