আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন?আশা করি আপনারা যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।মানুষ তার জীবনের সব থেকে মধুর অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকে ছোটবেলাতে। ছোটবেলায় কাটানো প্রত্যেকটা মূহুর্ত তার সারাজীবন মনে গেঁথে থাকে।বর্তমান প্রজন্মের ছোটবেলা মোবাইল ফোন কিংবা ট্যাবলয়েড, পিসির মধ্যে সীমাবদ্ধ।তারা কখনোই ছেলেবেলার সেই বাধাহীন আনন্দ অনুভব করতে পারবেনা।ঠিক সেই কারণে তাদের মানসিক বিকাশও ঠিকমতো বেড়ে উঠে না। ছোটবেলা ছোট্ট একটা মজার গল্প-
আমার শৈশব কেটেছে লাকসামে।তখন মোবাইল ফোন, ট্যাবলয়েড,পিসির এত প্রচলন ছিলো না। বিকাল বেলা খেলতে যাওয়া, বন্ধুরা মিলে পিকনিক করা হৈ হোল্লড় এই সকল কিছুর মধ্যে কাটতো সারাদিন।সকাল বিকাল বাইরে সকলে মিলে ঘুড়তে যাওয়া,বৃষ্টির দিনে কচু পাতাকে ছাতা বানিয়ে বৃষ্টিতে ভেজা এই সকল স্নৃতির তুলনায় আর অন্যকিছুর সাথে কখনোই যায় না। দূরন্ত শৈশবে বাধাহীন আনন্দ মানুষের মানুসিক বিকাশে সঠিক ভাবে বেড়ে উঠতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।লিখতে লিখতে ঠিক তেমনই একটা মজার স্নৃতির কথা মনে পড়লো। তাই দেরি না করে শুরু করি।
সালটা ঠিক তখন ২০০৮ তখন আমি পঞ্চম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী। পড়াশোনা কি জিনিস তখনও আমি ঠিক বুঝে উঠেনি।আজ আমাদের শেষ পরীক্ষা।পরীক্ষার বন্ধে কি করব তাই নিয়ে সকলে বিচলিত হয়ে পড়ালাম।ঠিক তখনই সকলে মিলে প্ল্যান করলাম পরীক্ষার বন্ধে সকলে মিলে এক বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে গেলাম।যেই প্ল্যান সেই কাজ। সকলে মিলে সকলের বাসায় বাবা মাকে অনুমতি দেওয়ার জন্য মানাতে লাগলাম।খানিকটা প্রথম দিকে ইতস্তত করলেও পরবর্তীতে ঠিকই সকলের বাবা মা অনুমতি দিয়ে দিলেন।
পরদিন সকলে মিলে সেই বান্ধবীর বাসায় ঘুরতে গেলাম।তার বাসাটা শহরের অনেকটা পাশেই তাই একটা প্রাকৃতিক পরিবেশ ঠিক ছিলো। আমরা সকালের দিকে সেই বান্ধবির বাসায় গিয়ে হাজির হলাম সকালের খাবার দাবার খেয়ে বেড়িয়ে পড়লাম ঘুড়ার জন্য।কতক্ষণ খেলাধুলা করলাম।ক্লান্তি হতে হতে দেখি দুপুর গড়িয়ে পরলো তখন আন্টি বললেন সকলে গোসল করে নিতে পুকুরে।আমি এইদিকে জীবনেও পুকুরে গোসল করিনি দ তাই খানিকটা ভয় পেলেও নেমে গেলাম সবার সাথে।এইদিকে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম আমি সাঁতার পারতাম না।কেউ জানতই না আমি সাঁতার পারতাম না।আমি পুকুরে নেমে বসে আছি।এমন সময় আমার বান্ধবীরা আমাকে টেনে নিচ্ছিলো ঠিক তখনই আমি ভর হারিয়ে ডুবে গিয়েছিলাম।আমি হাপাচ্ছি কিন্তু উঠতে পারছিনা।অপর পাড়ে এক আন্টি দেখে তারাতারি এসে আমাকে উঠালো।সেই মূহুর্তে এতটাও ভয় পেয়েছিলাম কি আর বলবো।
শুধু আমি না সকলে ভয় পেয়েছিল। যাই হোক পড়ে সকলে উঠে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম।দুপুরের খাবার খাওয়ার পর সকলে মিলে ভর দুপুরে নদীর পারে ঘুরতে গেলাম।হঠাৎ হাটতে হাটতে দেখি একটা হাঁস গড়াগড়ি করতেছে।আমাদের সাথে এক বড় আপু হাঁসটি ধরে নিয়ে বাড়িতে চলে আসে।পরবর্তীতে এই হাঁস কেটে সকলে মিলে পিকনিক করা হয়।হাঁসটি আনবার সময় খানিকটা ভয় পেলেও সকলে মিলে এমন দৌড় দিয়েছি🤣🤣🤣🤣 কি আর বলবো! তখন বুঝতে পারিনি জিনিসটি চুরি হচ্ছিলো। কিন্তু এখন ঠিক বুঝতে পারি ঠিক হয়নি।যাই মানুষ যত বড়ই হোক না কেন ছোটবেলার সেই মজার স্নৃতি মানুষ কখনোই ভুলতে পারেনা।ধন্যবাদ সবাইকে
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন