“ওই সেল ফোনের কথাগুলো আজও কানে বাজে।হয়ত ফোন থাকবে কিন্তু কালের বিবর্তনে অপর প্রান্তের মানুষগুলো হারিয়ে যাবে।এই নিস্তব্ধ রাতের চাঁদ থাকবে হয়ত চাঁদ দেখার মানুষগুলো থাকবেনা।”
সৃষ্টিকর্তার এই নশ্বর পৃথীবীতে পরিবর্তনের জোয়ারে অনেক কিছু ভেসে যায়।হয়ত পৃথীবীতে যেই মানুষগুলোকে প্রচুর বিশ্বাস করতেন সেই মানুষগুলো যখন বিশ্বাস গুলো ভেঙ্গে দিবে,ঠিক সেই সময়টায় মস্তিষ্কের নিউরণগুলো সাময়িক শান্ত হয়ে যায়।স্বপ্নগুলো হয়ত থাকবে কিন্তু স্বপ্ন দেখার মানুষগুলো থাকবেনা।ওই মানুষটার প্রতিটা কমিটমেন্ট আপনার কানে এখনও বাজে কিন্তু মানুষগুলো হারিয়ে যায়।
এই ফাল্গুনের আগমনী বাতাসে দীর্ঘ নিঃস্বাস ফেলে হয়ত ভাবতেই পারেন এই পৃথীবীর মানুষগুলো এতো নিষ্ঠুর কেনো!!
এবার বাস্তবতার ক্ষাতিরে দুটো কথা বলি।
এই পৃথীবীতে আপনি হয়ত যেই মানুষটিকে অনেক অনেক ভালোবেসেছেন, সেই মানুষটি কি আপনাকে ০.০০১ শতাংশও ভালোবেসেছে!
যেই মানুষটিকে আপনি অগাধ বিশ্বাস করেছেন, সেই মানুষটি কি আপনার বিশ্বাসের নূন্যতম মূল্য দিয়েছে!
বাস্তবাতর ক্ষাতিরে প্রেষ্টাপটগুলো প্রচন্ড গভীরে নিয়ে যায়।
দুটো মানুষের একজন হয়ত সত্যি ভালোবেসেছিলো আর অন্যজন হয়ত নরমালি পুঁতুল খেলার ছলে নিয়েছে!
প্রথমত,যতদুর মনে হয় মানুষজন প্রচুর পরিবর্তনশীল চক্রে ঘুরপাক খায়।একটা সময় হয়ত এটা ভালো লেগেছে,কিন্তু একটা সারটেন্ট সময়ে এসে উপলদ্ধি করেছে হয়ত এটা পরিবর্তন করা উচিত।এতো এতো পরিবর্তন চক্র যে,রীতিমতো চারপাশের ঘটনাগুলো সত্যি বড়ই ভাবিয়ে তোলে।
দ্বিতীয়ত, বয়সের পরিপক্বতার ক্ষতিরেও সিদ্ধন্তগুলো পরিবর্তনশীল।অপরিপক্ক বয়সে শুরু হওয়া পথচলা গুলো হুট করে একটা সারটেন্ট সময়ে এসে থেমে যায়।
তৃতীয়ত,ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা চিন্তাকরেও বর্তমান পরিকল্পনাগুলোকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দেওয়া অস্বাভাবিক কিছুই না।
এই ফালতু ব্যাপারগুলোকে ফালতু ভাবে দেখুন এতো সিরিয়াস ভাবে নিয়ে নিজের জীবনের ক্ষতি করার কোনো মানে হয় না।
যেই মানুষটার জন্য পাগল হয়ে নিজেই অস্বাভাবিক হয়ে গেছেন,খোজ নিয়ে দেখবেন সেই মানুষটি দিব্যি কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
যেই মানুষটার জন্য না খেয়ে বসে আছেন,খোজ নিয়ে দেখবেন সেই মানুষটি ভোজন-বিলাসে ব্যস্ত।
যেই মানুষটার জন্য নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন,খোজ নিয়ে দেখবেন সেই মানুষটি “জানাম জানাম” গান ছেড়ে হালকা আবেগব্যক্ত করে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে।
একবার ভেবে দেখুন আপনি কত্তো বোকা!!!
এক একটা সন্তান বাবা-মায়ের এক একটা কলিজা।কিছু ফালতু ব্যাপরের কারণে নিজেকে নিজের বাবা-মা কে কষ্ট দিচ্ছেন!!
এসব কাঁটাছেড়া করে চলুন সবগুলো ডিপ্রেশনকে মোটিভেশনে রুপান্তর করি।
তোদের/তোমাদের/আপনাদের এতটুকু বলবো একটু যত্নসহকারে ভেবে দেখুন।
ইদানিং মানুষজন প্রচুর ছ্যাঁকা আর বিরহ ব্যাধিতে সংক্রামিত।এসব আবেগ ফার্মগেটে কেজি দরে বেঁচে দাও/দিন।লাভ ছাড়া ইন শা আল্লাহ ক্ষতি হবে না।
“জীবন এতো সস্তা না রে পাগলা!!”
(এই লেখাটি মিনিং ভেরিয়েবল,কোনো প্রকার অপ্রিতকর ঘটনার জন্য কতৃপক্ষ দায়ী নয়।)