সুমনকে নিয়ে অনিক বাড়ি যায় |অনিক সুমির বাবাকে ফোন দিয়ে সবকিছু বলে, সুমির বাবার একটাই কথা আমি এই বেকার ছেলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিবনা | অনিক বলে আঙ্কেল, আপনার সমস্যা যদি এটাই হয় তাহলে, আমি আমার সম্পদের অর্ধেক অংশ সুমনকে দিয়ে দিবো, আর সুমনের একটা চাকরিতো হবেই |
সুমির বাবা বার বার একটা কথাই, না এই ছেলের সাথে আমি আমার মেয়ের বিয়ে কখনো দিবোনা|আমি তোমার মায়ের সাথে কথা বলবো, ফোনটা ওনাকে দাও অনিক | অনিকের মা সুমির বাবার সাথে কথা বলে |পরেরদিন সকালে সুমনকে নিয়ে অনিক সুমির বাবার কাছে যায়| সুমির বাবা বলে,অনিক তোমার আর সুমির আজ বিয়ে, তুমি কিনা এই ছেলেকে এখানে নিয়ে এসেছো | অনিক বলে, আঙ্কেল আপনি একটু বুঝার চেষ্টা করেন, সুমন আর সুমি একে অপরেরকে ভালোবাসে, সুমি আমাকে বিয়ে করে কখনো সুখী হবেনা, সুমি সুমন ছাড়া কখনো ভালো থাকবেনা |
আর আমি আমার সম্পদের অর্ধেক সুমনের নামে লিখে দিয়েছি, সুমন আজ আর গরিব নয় |তাছাড়া সুমন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত |সুমনের ভালো চাকরি হবে |আঙ্কেল প্লিজ, আজ আর না করবেননা | সুমির বাবা বলে অনিক বাবা, আমাকে তুমি সত্যি করে বল, তুমি কি সুমিকে পছন্দ করোনা, ওকে কি তুমি ভালোবাস না | অনিক বলে, আঙ্কেল সুমি খুব ভালো মেয়ে, আর আমার বন্ধু সুমনের মত কোন ছেলে হয়না, সুমন আপনার মেয়ে সুমিকে অনেক সুখী রাখবে, সুমন ছাড়া সুমিকে কেই সুখী করতে পারবেনা |
সুমির বাবাকে অনেক বুঝানোর পর, সুমন আর সুমির বিয়েতে রাজি হলো |সুমির বাবা একটা কথা, বিয়ে তখনি হবে যখন সুমনের চাকরি হবে ও মাথা উঁচু করে সুমিকে নিয়ে যাবে|
অনিক বলে, তাই হবে আঙ্কেল ,আপনাকে অনেক ধন্যবাদ|
অনিক দুই মাস পরে আবার বিদেশ চলে গেলো |
2 বছর পর সুমনের কলেজে চাকরি হলো |সুমন আজ অনেক খুশি, যে সুমি আর তার ভালোবাসা এক হবে |এত কষ্ট, এত যন্ত্রনা যেন, সাফল্য চিঠিতে লিখার পূর্ণতা পাবে |
সুমন সবার আগে তার সাফল্যের খুশির বার্তা তার বন্ধু অনিক দেয় |অনিক আজ সরকারি কলেজে আমার চাকরি হয়েছে, অনিক বন্ধু আমার তোর স্যাক্রিফাইস আমাকের অনেকটা পথ এগিয়ে নিয়ে এসেছে,
বন্ধুরে তুই কবে আসবি |আজ আমি খুব খুশি, জানিস সুমি জানলে অনেক খুশি হবে |
অনিক বলে,সুমন তুই বেচারি সুমিকে আর কষ্ট না দিয়ে বরং এবার বিয়েটা করে নে |সুমি যে তোর ভালোবাসার পথে ফুল দিয়ে বিছিয়ে রেখেছে, বন্ধু আমার এবার তুই ফুলের মালা গেঁথে নে |