আপনারা সবাই কেমন আছেন? ভালো আছেন তো? আশা করি যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি।
আজকের আর্টিকেলে আমি আপেলের বিস্ময়কর কিছু উপকার নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি grathor.com এর সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ যারা এ পোষ্টটি পড়বেন তাদের কিছুটা হলেও নিজেদের উপকার আসবে। আপেল খেলে যে সকল উপকার—
আপেল অত্যন্ত সুস্বাদু ও পরিচিত একটি ফল, যা সব জায়গায় পাওয়া যায়। আপেলে আছে শর্করা, ভিটামিন, খনিজ লবণ, আঁশ, পেকটিন ও ম্যালিক এসিড। শর্করা প্রায় ৫০ শতাংশ। ভিটামিনের মধ্যে আছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি এবং এগুলোর উপস্থিতি আপেলের ছালে ও ছালের সাথে লাগানো মাংসল অংশেই বেশি থাকে। আপেলের ছালে মাংসল অংশের চেয়ে প্রায় ৫ গুণ বেশি ভিটামিন-এ আছে। আপেলের মধ্যে রয়েছে অধিক পরিমানে পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং লৌহ। সোডিয়ামের পরিমাণ খুবই সামান্য হলেও যা প্রয়োজনীয়। আপেল একটু দামী হলেও সত্যি সত্যিই খুব উপকারি।
এছাড়া প্রতিদিন একটি করে আপেল খান, ডাক্তারের প্রয়োজন দূরে সরান অতি পুরান একটি উক্তি হলেও কথাটি অসত্য নয়। এখন প্রশ্ন আপেল খেলে ডাক্তারের প্রয়োজন কেন কম পড়বে? কী আছে আপেলে যে, এটি এত উপকারী দেহের জন্য। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক আপলের অতুলনীয় কিছু উপকার।
আপেল খেলে যে সকল উপকার
আপেল একটি রোগ প্রতিরোধকারী এবং পুষ্টিকর ফল যা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আপেল ব্রেস্ট ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে। পাশাপাশি আপেলে থাকা পেকটিন জাতীয় একটি উপাদান যা শরীরকে কোলন ক্যান্সার থেকে দূরে রাখে। ফুসফুসের ক্যান্সার ও লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধেও আপেলের ভূমিকা আছে। এছাড়া আপেল হার্ট এট্যাকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
আপেল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফলে শরীরে মেদ জমে না এবং স্বাস্থ্য ঠিক থাকে।
আপেলের রস দাঁতের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। ফলে দাঁত ভালো থাকে।
ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি শরীরের জন্য খুবই উপকারী,এই দুইটাই এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরের কোষগুলোর রক্ষাকবচ। স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন-এ দরকার। ত্বক মসৃণ রাখতেও আপেলের গুনাবলি বলে শেষ করা যায় না।
প্রতিদিন আপেল খেলে হজমের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরী হয় পেটে| ফলে হজম শক্তি বাড়ে।
আপেলের ম্যালিক এসিড শরীরের ইউরিক এসিডকে নিষ্ক্রিয় করে বাতের ব্যথা দূর করতে পারে। সুতরাং আপেল বাতের ব্যথাও উপকারী।
এই ফলে রয়েছে পেকটিন নামক একটি উপাদান বিদ্যমান থাকে। আর এই পেকটিন ইনসুলিনের পরিমাণ সঠিক রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আপেল কোন অসুবিধা নয়।
আপেল দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আপেলে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও আঁশ যা রক্তচাপ কমাতে অনেক ভাবে সহায়তা করে।
অ্যাপেল কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর করতেও অনেক সাহায্য করে থাকে। সুতরাং প্রতিদিন অ্যাপেল খেলে আপনি সুস্থ থাকবেন।
এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বোরন যা হাড়কে শক্ত রাখতে সাহায্য করে।