আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি ভালো আছেন সবাই।
সবারই এটা জানা, প্রত্যেক মানুষের জীবনেই কিছু রিয়েল গল্প থাকে যা কখনো কাউকে বলা যায়না। আবার বলতে গেলেও লজ্জিত হতে হয়। জীবনটা আরও বেশি প্যারাময় করে তুলে। এমনি একটি না বলা রিয়েলিটি আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। এটা জানার পরে হয়তোবা আমি কারও কারও কাছে ঘৃনিত কালপ্রিট হয়ে যাব। সত্য কখনো মিথ্যার আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে না। এটা প্রকাশিত হবেই। হউক সেটি ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত।
আমি তখন আমার টিন এজ পার করছিলাম। দেখতে অতটা পছন্দ হওয়ার মতো সুন্দরী না হলেও একটি আমি তাকে মনের নোংরা খায়েশে প্রপোস করে ফেলি। মেয়েটিও তখন উঠতি বয়সী ছিলো। দুই দিন সময় নিয়ে সে আমার প্রস্তাবে রাজি জানিয়ে দিলো। সেখান থেকে শুরু আমার ছলনার প্রেম। আর মেয়েটির রিয়েল ফার্স্ট লাভ।
প্রেম চলতে থাকলো বছরের পর বছর। এক পর্যায়ে মেয়েটির অস্বাভাবিক ভালোবাসায় আমিও তার প্রতি দূর্বল হতে থাকি। আমিও আমার নিজের অজান্তে তাকে আমার মনটা পুরোপুরি দিয়ে দিই। সব সময় কানেক্টেড থাকার জন্য নিজের টাকা খরচ করে তাকে একটা মোবাইল ফোনও কিনে দিয়েছিলাম। প্রেম বিনিময়, রুমান্স চলতে থাকলো দিনে রাতে ননস্টপ।
এক পর্যায়ে দুই পরিবারে বিষয়টি জানাজানি হলো। কেউ কিছুতেই অল্প বয়সের এই প্রেমকে মেনে নিতে চাইলো না। তবু আমাদের ফোনালাপ থেমে নিই। একপর্যায়ে তাকে পরিবার থেকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার জন্য বাধ্য করার মিথ্যা চেস্টা চালানো হয়। কিন্তু কিছুতেই তাকে রাজি করাতে পারেনি। আমারও তখন ছেলে মানুষ হিসেবে বিয়ে করার বয়স হয়নি। পড়াশুনা করছিলাম। মেয়েটিও এসএসসি শেষ করে কলেজে ভর্তি হয়েছিলো।
আমাদের প্রেম কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি। বরং মেয়ের অন্যত্র বিয়ের কথা বললে সে বারবার নিজেকে রক্তাক্ত করতো। আমাকে ছাড়া কোনোদিন কাউকে বিয়ে করবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয়। পরবর্তীতে আমার পরিবারের মেয়েটিকে পছন্দ না থাকায় আমি অন্যত্র বিয়ে করি। বিয়ে করে সংসারি হয়েছি। একবারও ভাবিনি ঐ মেয়েটির কথা। মেয়েটি চলতি আরও ২ বছর আগে কম্পিউটার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ করে বর্তমানে সুদুর জার্মানিতে আইটি জব করছে।আজও সে বিয়ে করেনি। আর করবেওনা। এটা আমাকে এসএমএস করে জানিয়ে দিয়েছে।
আমার সংসার সুখের হউক এটাই তার কাম্য। আমিও দোয়া করি সে যেন বিয়ে করে সংসারি হয়। আমাকে যেন ভুলে যায়।
হ্যাঁ, এটাই আমার জীবনের রিয়েলিটি!