টেনশন শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। পড়ালেখার টেনশন, পরীক্ষার টেনশন ,ব্যবসা-বাণিজ্য টেনশন, চাকরি না পাওয়ার টেনশন,চারিদিকে শুধু টেনশন আর টেনশন ।আমরা নিজেও জানি টেনশন করে কিচ্ছু হবে না কিন্তু তাও আমরা এই মায়াজাল থেকে বের হতে পারি না। তাই বন্ধুরা, আপনারা যদি এই মায়াজাল থেকে বের হতে চান একটা টেনশন মুক্ত জীবন কাটাতে চান তাহলে এই পোষ্টটি আপনার জন্য তো বন্ধুরা এই লেখাটি শেষ পর্যন্ত অবশ্য অবশ্যই দেখবেন।
কারন আমি এই ভিডিওটিতে এমন ৫টি দিন টিপস এন্ড ট্রিকস শেয়ার করব যা আপনার টেনশন দূর করতে সাহায্য করবে তবে তার আগে জেনে নিন ঠিক কি এই টেনশন?
এবং এই টেনশন কেন হয়?
এর খারাপ দিকগুলো কি কি রয়েছে?
টেনশন হলো এমন একটি কুঅভ্যাস যা আমাদের মানসিক দিক থেকে কিছু নেগেটিভ পথে নিয়ে যায়।
আমি এটা কেন করলাম? এখন কি হবে? এটা করা একদম উচিত হয়নি?
এরকম বিভিন্ন ধরনের অদ্ভুত চিন্তা আমাদের মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে?
আমার মতে টেনশনের দুটো কারণ রয়েছে প্রথমটি হলো যখন আপনি অতীতের কোনো ঘটনার কথা মনে করে কষ্ট পান অথবা ভবিষ্যৎ নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করতে থাকেন।
এবং দ্বিতীয় কারণটি হলো ধরুন আপনি একজন স্টুডেন্ট ।তখন ক্লাসের স্যার কিছু একটা বিষয়ের উপর পড়াচ্ছেন ,বোঝাচ্ছেন ।আপনি অন্যমনস্ক ছিলেন ক্লাসে মনোযোগ দেননি।
ক্লাস শেষে স্যার যখন বললেন কালকে এই বিষয়ের উপর একটা পরীক্ষা নেব। যারা সেই পরীক্ষায় ফেল করবে তাদেরকে সরাসরি তার গার্ডিয়ান কে ডেকে নিয়ে আনব!
বেশ এতে শুনে আপনার টেনশন শুরু হয়ে গেল; আর এই টেনশনের মূল কারণটা হলো আপনি ক্লাসের পড়া মনোযোগ দেন নি!
ব্যাপারটা একদমই পরিষ্কার যখন আপনি কোন কিছু নিয়ে কনফিউজ থাকেন তাহলে তা ক্লিয়ার করুন ,টেনশন আপনা আপনি শেষ হয়ে যাবে।
তবে বন্ধুরা টেনশনকে কখনো ছোট করে দেখা উচিত নয়। টেনশন যত ছোট হোক না কেন ধীরে ধীরে আপনাকে বড় ধরনের ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখে।
যেমন আরেকটা উদাহরণ দিচ্ছি তাহলে ব্যাপারটা বুঝতে আরেকটু ক্লিয়ার হবে। আপনি একটা বালতিতে পানি ভরে হেটে যাচ্ছেন কিছুদূর যেতেই বালতিকে ধরে রাখতে হাত ব্যাথা হবে তখন আপনি মাটিতে নিচে রাখতে বাধ্য হবেন।
কিন্তু আপনি তা না করে জোর করে বালতিটি নিয়ে গেলেন তাহলে আপনার হাত এবং শরীরের জন্য ক্ষতি হবে ।হয়তো হাত ব্যাথা হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। এখানে বালতি হচ্ছে আপনার ব্রেইন বা মস্তিষ্ক আর ওই পানি হচ্ছে আপনার টেনশন।
তার ভার যদি আমরা না ছেড়ে এই ভার নিয়ে নিজেদের জীবন অতিবাহিত করি তাহলে একসময় আমাদের শারীরিক এবং মানসিক প্রচুর ক্ষতি করবে।
সেরকম আবার ধরুন আপনি হাতে এক গ্লাস জল নিয়ে বসে আছেন
আপনার হয়তো 5 মিনিট, 10 মিনিট ধরে রাখতে হয়তো কোনো সমস্যা হবে না হালকা মনে হবে আপনার কাছে।
কিন্তু যতই সময় এগোবে এক ঘন্টা দুই ঘন্টা তিন ঘন্টা ধীরে ধীরে আপনার হাতের সেই গ্লাসটি একসময় ভারী ওজনের বাতির মত ওজন মনে হবে।
অর্থাৎ এটার মানে হল শত শত টেনশন যদি আমাদের মনে থেকে থাকে সেটা সামান্য ভেবে যদি আমরা ইগনোর করি , তবে সেটা আস্তে আস্তে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
তাই টেনশন যত হোক না কেন যতই বড় হোক না কেন?
দুটোই সমান ক্ষতিকর।
তাহলে বন্ধুরা জেনে নিন এই ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি রয়েছে?
অতিরিক্ত টেনশন আপনাকে ধীরে ধীরে ডিপ্রেশন করে তুলবে তা হয়তো আপনারা নিজেরাই বুঝেন।
তাই টেনশন থাকলে আপনি কোন খাস ঠিকভাবে করতে পারবেন না সে কাজটা যতই ছোট এবং সহজ হোক না কেন?
কোন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না আপনার ফিজিক্যাল এনার্জি কমে যাবে।
আমাদের টেনশন নেওয়ার ও দরকার নেই এবং কাউকে টেনশন দেয়ার দরকার নেই।
তো বন্ধুরা এখন আমি আপনাদের সামনে ৫টি টিপস শেয়ার করছি
প্রথম পাঁচ মিনিট ম্যাজিক
অতিরিক্ত কাজের চাপ আমাদের টেনশনের একটি কারণ। আপনি যতই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন না কেন প্রতি ঘন্টায় আপনি 5 মিনিট ব্রেক নিন।
5 মিনিটে আপনি হালকা ব্যায়াম করুন হাত পা এদিক ওদিক নাড়াচাড়া করুন। তারপর কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রিলাক্স করুন, কাজে কথা একদম মনে করবেন না। এভাবে প্রতি ঘন্টায় 5 মিনিট ব্রেক নিন।
দ্বিতীয়ত হচ্ছে
পাওয়ার অফ পসিবিলিটি
আমাদের চিন্তা এবং আমাদের মন কাজকে প্রভাবিত করে। যদি আপনার চিন্তা পজেটিভ হয় তাহলে আপনি টেনশন থেকে দূরে থাকবেন অথবা টেনশন থেকে আপনি খুব সহজেই বের হতে পারবেন। মনকে স্থির করুন যতই কঠিন পরিস্থিতি আসুক না কেন আমি পজেটিভ ভাতে সেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করবো। তাই টেনশন মুক্ত হতে হলে আমাদের চিন্তাধারা কে সব সময় পজেটিভ থাকতে হবে।
তৃতীয় মিউজিক্যাল পাওয়ার অফ মিউজিক
গান সংগীত আমাদের মনকে শান্ত করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সফট এবং শান্ত গান শুনুন এই গান গুলো আপনার মনকে শান্ত করতে সাহায্য করবে।
চতুর্থ ফ্যামিলি অ্যান্ড ফ্রেন্ডস।।
পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে কিছু সময় কাটান এবং সবার সাথে হাসি ঠাট্টা করুন। যদি আপনি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার স্ত্রী আপনার স্বামী বা ছেলে মেয়েদের সাথে সময় কাটান সেটা আপনার মনকে ভালো করে দেখে এবং টেনশন অনেকটাই কম করে দেবে। যদি আপনি বড় ধরনের সমস্যায় পড়ে যান তাহলে আপনার সমস্যাটা পরিবার এবং বন্ধুদের জানাই দেখবেন মনটা অনেকটাই হালকা হবে সমাধান নিশ্চয় কোন একটা বের হবে।
পঞ্চম পর্যাপ্ত ঘুম
টেনশন বেশি হলে মাথা ব্যাথা এবং ঘুমাতে না পারার মতো বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেয় সেই মুহূর্তে আপনার মাথা ঠান্ডা জাতীয় কিছু দিয়ে মেসেজ করতে থাকুন এতে আপনার মাথা ব্যাথা অনেকটাই কম হবে এবং টেনশন থেকে কি শুধু মুক্ত হতে পারবেন।
একটা ভালো ঘুম আমাদের টেনশন কে অনেকটাই কমিয়ে দেয়।