আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই?আশা করি ভালো আছেন।বর্তমানে মহামারী চলছে সেই সাথে চাকরির বাজারে চলছে স্থবিরতা।এখন মানুষ ঘরে বসেই অফিস করছে,ক্লাস করছে।কয়েক বছর আগে যেটা প্রায় অসম্ভব দেখা দিয়েছিল সেটাই এখন বাস্তবে দেখা দিচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই আইটি ফার্ম গুলোর আউটসোর্সিং এর উপর নানান ধরনের অনলাইনে নতুন ব্যাচ শুরু হবার খবর অহরহ দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে। [ডাটা এন্ট্রি বই ডাউনলোড]
এখন প্রশ্ন আসতেই পারে আউটসোর্সিং কি?অনলাইনে কাজের মাধ্যমে টাকা আয় করার মাধ্যমকে বলা হয় আউটসোর্সিং। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার পছন্দমতো সময়ে পছন্দের বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারবেন।কোন ধরণের বাধ্য বাধ্যকতা নেই এখানে।আউটসোর্সিং এ নানান ধরণের কাজ হয়ে থাকে।যেমনঃ
১.গ্রাফিক্স ডিজাইন
২.ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
৩.ওয়েব ইঞ্জিনিয়ারিং
৪.এসইও
৫.কন্টেন্ট রাইটিং
৬.ডাটা এন্ট্রির মতো জনপ্রিয় কাজগুলো।এগুলো নিয়ে আমার কিছু পোস্ট রয়েছে।ইচ্ছে করলে পড়ে নিতে পারেন।আজ আমি আপনাদের ডাটা এন্ট্রি নিয়ে আলোচনা করব।আশা করি আপনারা আমার সাথেই থাকবেন।
আমার আজকের আলোচনার বিষয়টি হল ডাটা এন্ট্রি। আমরা জানি ডাটা অর্থ তথ্য এবং এন্ট্রি হলো উপস্থাপন।অর্থাৎ কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের মাধ্যমে কোন ডাটাকে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে বসানোর মাধ্যমই হলো ডাটা এন্ট্রি বলে।ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে আপনি এক স্থানের ডাটা আরেক স্থানে কিংবা এক কম্পিউটার এর ডাটা আরেক কম্পিউটার এ স্থানান্তার করতে পারবেন।অনেক তরুণরাই আজকাল ফ্রীল্যান্সার হিসেবে নিজেকে আত্নপ্রকাশ করার জন্য ডাটা এন্ট্রিকে বেছে নেন।তাছাড়া এই কাজের প্রধান সুবিধা হলো এই কাজটি একা কিংবা দলগতভাবে সম্পন্ন করা হয় বিধায় একদম আনাড়ি লেবেলের লোকজন খুব সহজেই এই কাজটি করতে পারবেন।এই কাজটি যেমন সহজ ঠিক তেমনি এই কাজের চাহিদা থাকায় এই কাজ খুবই জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেসে।
সময়ের সাথে সাথে ডাটা এন্ট্রি কাজটি খুবই জনপ্রিয় হচ্ছে।সেই সাথে চাহিদাও বেড়ে চলেছে।আপনি বিভিন্ন ধরণের ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ডাটা এন্ট্রির কাজ পেয়ে যাবেন।এখন আলোচনায় আসি ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ডাটা এন্ট্রির কাজের প্রকারভেদ সমূহঃ
১.একটি নির্দিষ্ট লেখা পড়ে তার উপর পুনরায় নতুন করে আর্টিকেল লিখা।
২.বিভিন্ন ফাইল,কিংবা ছবি সমূহকে নানান ধরণের ওয়েবসাইটে আপলোড করা।
৩.একটি ওয়েবসাইটকে একটি ফোরামের মাঝে তুলে ধরা।
৪.কোন লিখার ভুল খুজে বের করে তুলে ধরা এবং নতুন করে ফাইল তৈরি করা।
৫.মাঝে মাঝে ওয়েবসাইটের পন্য বিক্রি করতে সাহায্য করা।
৬.দুই বা ততোধিক ফাইলের মধ্যে লিংক অদল বদল করা।ইত্যাদি।
এমন প্রায় হাজার হাজার ধরণের কাজ ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে করা হয় আউটসোর্সিংয়ে।তবে অনলাইনে কাজ করতে গেলে আপনার একটি গাইডলাইনের প্রয়োজন পড়বে সবচেয়ে বেশি।তাই যদি আপনার ডাটা এন্ট্রি নিয়ে কাজ করার আগ্রহ থাকে এবং সেই সাথে আপনি কাজ শিখতে এবং জানতে চান তাহলে নিচের বইয়ের পিডিএফটি আপনাকে অবশ্যই ডাউনলোড করতে হবে।আমি বইটির লিংক নিচে দিয়ে দিচ্ছি।লিংকটি কপি করে আপনি গুগল ক্রোমে কিংবা যে কোন ব্রাউজার এ পেস্ট করে দিবেন।তারপর আপনার ফোনে গগুগল ড্রাইভ কিংবা যেকোনো পিডিএফ রিডার সফটওয়্যার এর মাধ্যমে বইটি পড়তে পারবেন।
লিংকঃ https://asifaunto.wordpress.com/2017/06/16/online-data-entry-job-articles-and-content-writing-bangla-pdf-book/
এই লিংকে গিয়ে আপনি ডাটা এন্ট্রির জন্য টিউটোরিয়াল বুকটি হলো
earning-internet-bangla নামে যে বই পাবেন সেই বইটি ডাউনলোড করে নিবেন।সহজে বইটির পিডিএফ ডাউনলোড করে নিন।এই বইটি পড়ে আপনি ডাটা এন্ট্রির কাহ সম্পর্কে আরো ভালো ধারণা জন্মাবে।আজ এইটুকুই ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন