আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা সবাই? ভালো তো? যদি ভালো থাকেন তাহলে comment করে জানান। আর ভালো না থাকলেও comment করে জানাতে ভুলবেন না। যদি মন খারাপ হয়ে থাকে তাহলে দয়া করে আমার লেখা গল্প পড়ুন, আপনার ভালো লাগবে। এমনকি মন ও ভালো হয়ে যেতে পারে। তাহলে চলুন দেরি না করে গল্প শুরু করা যাক। আজকে আমি ” তুমি কি সত্যি আমার !! “ গল্পের ১৪ তম পর্ব প্রকাশিত করব।
১৩ তম পর্বের পর থেকে
কথাগুলো বলে মা চলে গেল। মার কথা শুনে হাসতে শুরু করলাম। হাসতে হাসতে ঈতিশা কে এস এম এস দিলাম।
আমি: hi.
ঈতিশা: হুম। রাতে খাইছো?
আমি: হুম খাইচ্ছি। তুমি খাইছো?
ঈতিশা: আমিও খাইছি। কি যেন বলবে? তখন বলতে চাইলাম আর তো বললা না।
আমি: হুম। ( বাহ্ বা! ওর দেখছি তর সইছে না।)
ঈতিশা: এখন বলো কি বলবা।
আমি: বলার জন্যই তো এস এম এস দিলাম।
ঈতিশা: ও… বলো তাহলে।
আমি: হুম বলেই ফেলি। মানুষের হায়াত মহুত এর কথা তো আর বলা যায় না। আজকে রাতে তো আমি আবার মরতেও পারি। যদি আজ রাতে মারা যাই তাহলে আমার কথাটা তোমার অজানায় থেকে যাবে।
ঈতিশা: এসব বাজে কথা বল না তো। আমার এসব ভালো লাগে না।।
আমি: ok. আর বলব না।
বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর মনের কথা বলেই ফেললাম।
আমি: I Love you.
ঈতিশা: what? তোমার মাথা ঠিক আছে সিয়াম? তুমি কি বলছো?
আমি: [ যাহ্ বাবা! আমি তো ভাবছি আমার বলার সাথে সাথেই বলবে I love you too. কিন্তূ এতো দেখছি পুরাই ওল্টো কথা বলতেছে। যাক আর একটু চেষ্টা করে দেখি।]
হুম। ঠিক আছে। আমি অনেক দিন থেকেই বলতে চাই কিন্তূ বলতে পারি নাই। আমি আমার মনের কথা দিলাম। এখন তোমার উত্তরের অপেক্ষায়।
ঈতিশা: দেখ সিয়াম। আমরা একসাথে একই ক্লাসে পড়ি। এটা হয় না।
আমি: কেন হয় না?
ঈতিশা: আমার দুজন দুজনের ভালো বন্ধু। বন্ধুত্ব অনেক ভালো অন্য যে কোন সম্পর্কের থেকে।
আমি: হুম জানি। তাই বলে কি বন্ধু দের মাঝে প্রেম করা যাবে না।
ঈতিশা: যাবে। কিন্তূ….
আমি: কিন্তূ কি?
ঈতিশা: আচ্ছা আমি যদি তোমার প্রস্তাবে রাজি হই তাহলে তুমি কি করবে?
আমি: আমি তোমার সব কথা শুনব। তুমি যা বলবে তাই করব।
ঈতিশা: আমার তো এরকম কাউকে পছন্দ না। যার ব্যাক্তিত্ব, ইচ্ছা স্বাধীনতা নাই। এরকম কাউকে আমার পছন্দ না।
আমি: ( ধুর, আমি পাম পারলাম তো ওল্টা বাস খাইলাম)। ও…
ঈতিশা: হুম। তুমি আমার সাথে সত্যি সত্যি প্রেম করবা নাকি শুধু সময় কাটানোর জন্যে?
আমি: তুমি যেটা করবে সেটাই। তুমি আমার সাথে প্রেম করলেই হবে।
ঈতিশা: আমি যদি সময় কাটানোর জন্য প্রেম করতে রাজি হই তাহলে কি করবে?
আমি: ( আগে তো রাজি হও। তারপর দেখ। তোমাকে আর ছাড়ব না। আমার মায়ের ছেলের বউ মা বানিয়েই ছাড়ব।) আমি বলতে চাচ্ছি, আমার সাথে প্রেম করে যদি তোমার ভাল না লাগে তাহলে তুমি চলে যেতে পার।
ঈতিশা: এভাবে বলতেছো কেন?
আমি: তাহলে কীভাবে বলল?
ঈতিশা: অনেক রাত হইছে ঘুমাও।
আমি: ঘুমাবো তো। তার আগে আমার প্রস্তাবের উওর দাও?
ঈতিশা: উওর কালকে দিব।
আমি: আচ্ছা। ভাবার জন্য যত ইচ্ছা সময় নাও। তবে দিন শেষে উওর টা যেন হ্যাঁ হয়।
আমি: একটু তাড়াতাড়ি জানিয়। বলা যায় না যদি মরে যাই তাহলে শুনবো কি করে।
ঈতিশা আর এস এম এস দিল না। আমার মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। ঘুম ও আসছে না। তবু বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম। বিছানায় এপাশ ওপাশ করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি বুঝতে পারি নাই। সকালে ইচ্ছা করেই ঈতিশা কে এস এম এস দিলাম না। পরে দেখি ও নিজেই এস এম এস দিছে। এস এম এস দেখে অনেক বার ফোন করলাম। ফোন receive হলো না। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি ১০ টা বাজে। হায় খোদা! ঈতিশা তো এই সময় ক্লাসে আছে। আজকে ঈতিশা শিক্ষক এর বকা নিশ্চয়ই খাবে। এরপর মোবাইল ফোন টা ঘরে রেখে আমি বাইরে গেলাম। বাইরে পাড়ার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বিকেলে বাড়ি ফিরলাম। বিকেলে বাড়ি এসে মোবাইল টা হাতে নিয়ে দেখি ঈতিশার মোবাইল নাম্বার থেকে অনেক গুলো ফোন কল। এতগুলো ফোন দেখে আমি তো অবাক। আমি খুশি হয়ে ঈতিশা কে ফোন দিলাম। ঈতিশা ফোন কেটে দিয়ে এস এম এস দিল। বলল যে ও প্রাইভেট এ আছে। তাই আমিও আর বিরক্ত করলাম না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এতক্ষণ ধরে আমার সাথে থাকার জন্য। আমার গল্প পড়ার জন্য। নিয়মিত গল্প পড়তে চাইলে grathor.com এর সাথে যুক্ত থাকুন।