যে ছেলেটা রোজ বলে “তুমি কোনো ছেলের সাথে কথা বলতে পারবে না,কোথাও যেতে পারবে না,ফেইসবুকে ছেলেদের সাথে কথা বলতে পারবে না”
সেই ছেলেটাই হঠাৎ হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে বলে ” তোমার যা ইচ্ছে করো তবুও আমাকে ছেড়ে যেও না,প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেও না”
যে মেয়েটা কথায় কথায় রেগে যায়,ছেলেটার কথা শুনতে চায় না, কিছুতে না করলে ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দেয়, ছেলেটার কোনো কথাই শুনেনা,আর বলে,আমার যা ইচ্ছে আমি করবো তাতে তোমার কী?”
সেই মেয়েটাই নীরবে চোখের জলে হারিয়ে যায়, আর বলে ” তুমি আমায় মাপ করে দাও,আমি বুঝতে পারি নি, তোমায় ছাড়়া আমার এক মূহুর্থ থাকা সম্ভব নয়,তোমার কথার অবাধ্য আর কোনো দিন হবো না, কোনো দিন না”
ছোটো ছোটো ভুলগুলো ভুলে থাকাই ভালো,এক সময় আসবে,যখন মনের অজান্তে ‘ভালোবাসার’ সৃষ্টি হবে, মন ই বলে দিবে, তোমায় ছাড়া আমার চলে না,দূরে ঠেলে দিতে চাইলেও মন দিবেনা,কোনো কারন ছাড়াই সব মেনে নিবে।
সময়টুকু না আসতে কষ্ট পেও না, ভুল বুঝো না,দূরে সরে যেও না,দূরে ঠেলে দিও না কিন্তু।
মানুষ হারিয়ে গেলে হয়তো ফিরে পাবে, কিন্তু ঠিক আগের মতো না,সব কিছু জুড়ে তখন অচেনা কেউ, অন্য কেউ।
তাই সময় থাকতে তোমরা তোমাদের ভালোবাসার মানুষটিকে মূল্য দিতে শিখো।
যখন হারিয়ে যাবে।তখন আর চাইলে ও ফিরে পাবে না।
আবার কখনো কখনো হারিয়ে যাওয়া মানুষ টি হয়তো ফিরে পাওয়া যায়।
কিন্তু সেই মানুষটা আর আগের মতো থাকে না।
অবহেলা একটা মানুষকে বদলে যেতে বাধ্য করে।
মানুষের হাসি আনন্দ কেড়ে নেয়।
ভালো তো সেই বাসতে পারে।
যে হাজার জন কে নয়।
একজনকে হাজারো উপায়ে ভালোবাসে।
সবাই ভালোবাসতে পারে।
কিন্ত কয় জনই বা সারা জীবনের জন্য ভালোবাসার মানুষটির হাত ধরে রাখতে পারে।
সারাটা জীবন ভালোবাসার মানুষটির পাশে থাকার মাঝেই ভালোবাসার স্বার্থকতা লুকিয়ে থাকে।
ভালোবাসার মানুষটিকে সব সময় আগলে রাখা।
এর মাঝেই প্রকৃত ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে।
তাই ভালোবাসতে হলে মন থেকেই ভালোবাসো।
আর ভালোবাসার মানুষটিকে সারা জীবন আগলে রাখো
ভালোবাসার মানুষটিকে মূল্যায়ন করতে শিখো।
তার চাওয়া পাওয়া গুলো মূল্যায়ন করতে শিখো।
মোট কথা সারা টা জীবন সুখে দুখে তার পাশে থেকো।
কখনো যাতে তার চোখে এক ফোটা পানি না ঝড়ে।
সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে
তাহলেই তুমি স্বার্থক।
তোমার ভালোবাসা স্বার্থক।