নিম গাছ একটি অতি পরিচিত বৃক্ষ। এটি আর্য়োবেদিক ঔষধি গাছ হিসেবে অত্যান্ত জনপ্রিয়। এটি বহু বর্ষজীবী ও চির হরিত বৃক্ষ। নিম গাছের ডাল, পাতা, রস, ফুল, ফল, তেল, বাকল, শিকড় সবই কাজে লাগে।
নিমের বিভিন্ন অংশ কীভাবে উপকারী
বদহজমের অসুখ কমায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
শরীরের টক্সিন দূর করে
দাঁত ও মাড়ির ব্যথা কমিয়ে দিতে পারে
ব্রণ, কালো দাগ এ সব দূর করতে কার্যকর নিম।
নিম গাছের বাকল হতে আহরিত রস এইডস ভাইরাসকে মারতে সক্ষম।
নিম পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই জন্ম নিয়ন্ত্রণের ঘটক (Agent) হিসেবে কাজ করে।
সহবাসের পূর্বে নিম তেল তুলায় ভিজিয়ে স্ত্রী যৌন অঙ্গে ১৫ মিনিট রাখলে স্পার্ম মারা যায়
নিম লিফ টেবলেট পুরুষের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হয়
প্রতিদিন এক মুঠো নিম পাতা খেলে গর্ভধারণ হয় না
৬ সপ্তাহ পুরুষ নিম তেল সেবনে স্ত্রী গর্ভবতী হয় না
• ২৫-৩০ ফোঁটা নিম পাতার রস একটু মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে জন্ডিস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
• প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ নিম পতার রস সকালে খালি পেটে ৩ মাস খেলে ডায়বেটিস ভাল হয়
• নিমের ফুল বেটে মাথায় মাখলে উকুন মরে যায়
• ৩-৪গ্রাম নিম ছাল চূর্ণ সামান্য পরিমাণ সৈন্ধব লবণসহ সকালে খালি পেটে সেবন করে গেলে কৃমির উপদ্রব হতে রক্ষা পাওয়া যায় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১-২ গ্রাম মাত্রায় সেব্য।
• নিম পাতা ১০ গ্রাম ২ কাপ পানিতে জ্বাল করে ১ (এক) কাপ অবশিষ্ট থাকতে ছেঁকে নিয়ে প্রয়োজন মতো চিনি মিশিযে পান করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্তনে থাকবে
• নিম পাতা পেষ্ট করে মধুর সাথে মিশিয়ে প্রলেপ দিলে ব্রণ সেরে যায়
• কাঁচা হলুদের সাথে নিম পাতা বেটে বসন্তের গুটিতে দিলে গুটি দ্রুত শুকিয়ে যায়
• নিমপাতা পানিতে সিদ্ধ করে সে পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের জ্বালাপোড়া ও চুলকানি দূর হয়
• নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে স্নান করলে খোসপাচড়া চলে যায়
• পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েকদিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়। পাতা ভেজে গুড়া করে সরিষার তেলের সাথে মিষিয়ে চুলকানিতে লাগালে যাদুর মতো কাজ হয়।
• কচি নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ভাল থাকে।
• উজ্জ্বল,সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন চুল পেতে নিম পাতার অবদান অপরিসীম।
• সিদ্ধ জল দিয়ে চুল ম্যাসেজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। খুসকি দূর হয়ে যাবে।
• একজিমা, ফোড়া অথবা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা নিরাময়ে নিম খুব কার্যকর। ত্বকের যেসব জায়গায় এ ধরনের সমস্যা রয়েছে সেখানে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় যে কোন ঔষুধের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করবেন।