আশাকরি আপনারা ভালো আছেন।আপনারা তো অনেক মূল্যবান পাথরের নাম তো শুনেছেন।যেসব পাথরের মৃল্য কোটি কোটি টাকা। আজকে এমন একটি পাথর নিয়ে কথা বলছি যেটার বিষয়ে জেনে আপনার অবাক হবেন।এতো বড় পাথর আর এতো টাই মূল্যবান যে বাংলাদেশে এই পাথরটির মৃল্য প্রায় ৬৮৪ কোটি ৩৭ লক্ষ।
একেবারে পুরোটাই অখন্ড পাথর কোনো টুকরা টুকরা নেই। দেশটির বিশেষ একটি জায়গায় এই মূল্যবান পাথরটি পেয়েছেন তারা।শ্রীলঙ্কায় ওই বিশেষ জায়গাটিকে রত্ন রাজধানী বলেও ডাকা হয়।কেনো ডাকা হয় রত্ন রাজধানী বলে সেটা বুঝতেই পারছেন।পুরোটা বিভিন্ন রত্নে ভরা এলাকা।এখন পর্যন্ত বিশ্বে সর্বোচ্চ ওজনের নীলকান্তমণি শ্রীলঙ্কায়। এই নীলকান্তমণি ৩১০ কেজি ওজনের। শ্রীলঙ্কার রত্ন পোড়া এলাকায় এই রত্নটি পেয়েছে,বেশ কয়েকদিন আগে।
এই পাথর টি বিশাল আকৃতির।পৃথিবীর অন্যতম দামি রত্নপাথর,নীলকান্তমণি। এটি এমনি এক মৃল্যবান রত্নপাথর।যা বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থঃ আয়রন,টাইটেনিয়াম,ক্রোমিয়াম, ভ্যানাডিয়াম, অ্যালুমেনিয়াম~অক্সাইড,ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান দিয়ে গঠিত এই বিশেষ রত্নপাথর (নীলকান্তমণি)।
নীলকান্তমণি নামটি ল্যাটিন সাফিরাস এবং গ্রিক সাফোরস শব্দ খেকে এসেছে। যার অর্থ নীল ।
সম্প্রীতি ৩১০ কেজি ওজনের পাথরটি প্রদর্শন হয়েছে শ্রীলঙ্কায়।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সারা ফেলে দিয়েছে ইতিমধ্যে এই রত্নপাথর।এটি কে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক নীলকান্তমণি হিসাবে দাবি করছে শ্রীলঙ্কার ন্যাশসাল জেম এন্ড জুয়েলারি অথোরিটি। ইতিমধ্যে এই বিশাল আকৃতির নীলকান্তমণির নাম দেওয়া হয়েছে কুইন অফ এশিয়া।
রত্ন বিশেষজ্ঞদের মতে এর দাম হতে পারে ১০ কোটি মার্কিন ডলার।মানে বুঝতে পারছেন বাংলাদেশি টাকায় কত টাকা হবে? বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৬৪ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা।
প্রায় ৩ মাসে আগে, শ্রীলঙ্কায় রত্নসম্পদে পরিপূর্ণ রত্নাপুঁড়া এলাকায় বিশাল আকৃতির এই নীলকান্তমণির সন্ধান মিলে। ওই এলাকায় দামি রত্নপাথরের জন্য বিশেষ ভাবে পরিচিত।শ্রীলঙ্কায় রত্ন রাজধানী নামও ডাকা হয় রত্ন পুঁড়া এলাকাকে।এতোদিন স্থানীয় মালিক এবং বিশেষজ্ঞরা এই নীলকান্তমণির পরীক্ষা করেছে।এরপর গত সপ্তাহে এর প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়।
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্ব থেকে ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে কালোতারা জেলার হোরানা শহরের একজন খুঁনিমালিকের বাড়িতে নীলকান্তমণি প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়।ওখানকার বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রায় ৩১০ কেজি ওজনের এখন পর্যন্ত বিশ্বে এতবড় প্রাকৃতিক নীলকান্তমণির সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিচে সেই বিশাল আকৃতির রত্ন পাথর নীলকান্তমণির একটি ছবিঃ~
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রত্ন বিশেষজ্ঞরা আগে এই নীলকান্তমণি কে পরীক্ষা ~নিরীক্ষা করে দেখবেন,তারপরেই নীলকান্তমণিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সীকৃতি দিবেন।এই রত্নটির আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিক্রির জন্য আলোচনা চলছে,বলছে তারা।আন্তর্জাতিক রত্ন সংগঠন রত্নটির পরীক্ষার পর সীকৃতি দিলে তবেই বিক্রি করতে পারবে শ্রীলঙ্কা সরকার।
এর আগেও পেয়েছে জুলাই মাসে ৫১০ কেজি ওজনের নীলকান্তমণি। কিন্তু সেটি অখন্ড রত্ন ছিল।অনেকগুলো ছোট ছোট টুকরাই আলাদা আলাদা ছিল। কিন্তু এবার রত্ন পুঁড়া এলাকায় মিলল অখন্ড রত্নপাথর (নীলকান্তমণি)। এই অখন্ড নীলা কুইন অফ এশিয়া
সর্বশেষঃ আশাকরি আপনারা এই আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হয়েছেন।আপনারা এখান থেকে যদি কিছু নতুন শিখে থাকেন, তো বলবেন।আপনাদের জন্য আন্তর্জাতিক বিষয়ে শীর্ষ খবরগুলো নিয়ে কথা হবে পরের আর্টিকেলে।
ভালো থাকেন,সুস্থ থাকেন।