সারা বিশ্ব যখন মহামারীতে আক্রান্ত তখন কালের নিয়মে এসেছে সারা মুসলিম জাহানের পবিত্র মাহে রমজান।
প্রত্যেক বছরের রমজানের চেয়ে এই বছর আমাদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে।চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন বিষয়গুলো মেনে চললে এই অসুস্থ পৃথিবীর সঙ্গে খাপ খায়িয়ে,রমজানের পবিত্রতা ছড়িয়ে,আমরা সকলেই সুস্থ জীবনযাপন করতে পারিঃ
১.আর যাই হোক,ঘরে থাকার চেষ্টা করুন এবং করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মনিতী মেনে চলুন।
২.রমজানে সুস্থ থাকতে খাদ্যাভ্যাসে নজর দিন।
৩.সেহরীতে খুব বেশি খাবেন না।পরিমিত খান,সুস্থ থাকুন।
৪.সেহরীতে যথাসম্ভব প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
৫.ইফতার করার সময় শরবত বা খেজুর দিয়ে ইফতার করুন।
৬.প্রথমেই পিপাসাবশত অতিরিক্ত পানি পান করবেন না।আস্তে আস্তে একের পর এক খাবার খান।
৭.ইফতারিতে ছোলা রাখুন খাদ্যতালিকায়।ছোলা খুবই উপকার ইফতারে।
৮.বাজারের তৈলাক্ত খাবার পরিহার করুন।যেমন:পেঁয়াজু,বেগুনী ইত্যাদি।
৯.অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করবেন না।
১০.খুব বেশি খাবেন না ইফতার মুহূর্তে।
১১.দরকার হলে সালাত আদায় পর অন্য খাবার খান।ইফতারে মুড়ি,ছোলা,শরবত ইত্যাদি খান।
১২.তারাবির সালাত পর কিছু খেলে কম খান।
১৩.শাকসবজি,ফলমূল তরতাঁজা ও ধুয়ে খান।মাছ মাংশ ভালোভাবে সেদ্ধ করুন।
১৪.রমজানে দিনের বেলায় ভারি কাজ করা থেকে বিরত থাকুন,অনেকেই হঠাৎ সিয়াম রাখার ফলে ডিহাইড্রেশনে ভুগে থাকেন।
ইনশাহ্আল্লাহ,উপরোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করলে আমরা এই বর্তমান দূর্যোগ কাটিয়ে,পবিত্র রমজানকে সফল ও সমৃদ্ধ করতে পারবো।
মনে রাখতে হবে,এই লড়াই কারোর একার নয়।পৃথিবীর পত্যেকটা মানুষকে সম্মিলিত ভাবে এই অসুস্থ পৃথিবীকে সুস্থ করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
তাই আসুন,সকলেই রমজান মাসকে মনে মনে অনুধাবন করি।হয়তো আল্লাহ,এই রমজানের রহমতের ফলে আবারও সুস্থ করে দেবেন এই পৃথিবীকে।
হয়ত হঠাৎ এক সকালের সূর্য উঠবে সুস্থতাই মোড়ানো শান্তির বানি নিয়ে।
তার আগ পর্যন্ত আমরা সকলেই ঘরে থাকি,বেশি বেশি হাত ধৌত করি বা স্যানিটাইজার ব্যাবহার করি।
প্রত্যেকেই নিজ নিজ ধর্ম কর্ম হতে পরম সৃষ্টিকর্তার কাছে এই দূর্যোগ মোকাবেলার শক্তি প্রার্থনা করুন।
প্রত্যেক ধর্ম-বর্ণের মানুষকে আমার প্রেমভক্তি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
#ঘরে থাকুন,সুস্থ থাকুন