ইমাম সা’লাবি এবং ইমাম বগবি প্রমুখ সুরা নামলের প্রসঈে একটি আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন।
পাখিদের বুলি/ভাষা মানুষের কথা বার্তার মতো বোধগম্য,
অনুধাবন যোগ্য।
উত্ত মনীষীগণ হযরত কায়াব আহবার ও ফারহাদ সানজির সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
হযরত সুলায়মান আ. গাছের উপরে বসে লেজ ও মাথা দোলাচ্ছেন।
হযরত সুলাইমান আ. আপন সঈীদের বললেন- তোমরা কি জান,
এ পাখিটি কী বলছে?
সঈীগণ আরয করল, জি আল্লাহর নবী আ.! আমাদের জানা নাই।
হযরত সুলায়মান আ.বলরন,
পাখিটি বলছে আমি অর্ধেক খেজুর খেয়ে ফেলেছি।
কাজেই দুনিয়া ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে।
এর পর তিনি হুদহুদের পাশ দিয়ে গমণ করলেন এবং বললেন –হুদহুদ বলেচে আল্লাহর চুরান্ত সিদ্ধান্ত চলে এসে চোখ অন্ধ হয়ে গেছে।
হযরত কায়াবের অপর এক বর্নণানুসারে,
হুদহুদ বলে —-যে ব্যক্তি অন্যকে দয়া করনা,
তাকেও দয়া করা হবেনা।
ঘুঘু পাখি বলে –আহা! এই জাতি যদি সৃষ্টি না হত!
আর যখন সৃষ্টি হয়েই গেল,
তখন যদি এরা তাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য জানত!
আর সে তার সৃষ্টির উদ্দেশ্য জেনে গেলে সে নিজের ঞ্জানানুসারে আমল করত!
লোটুরা পাখি বলে আমার মহান প্রভুর সারা আকাশ –মাটিতে প্রসংশা করছি।
কাকরা বলে হে পাপিষ্ঠগণ! আল্লাহর তায়ালার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো!
তাইতাবি বলে —প্রত্যেক জীবিতের মৃত্যু আসে এবং প্রত্যেক নতুন বস্তুু পুরাতন হয়ে যায়।
খাত্তাফ বলে — পূণ্যকর্ম আগে প্রেরণ করো!
তোমরা তা আল্লাহর নিকট পাবে।
বন্য ঘুঘু বলে — মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও এবং বিরানবাড়ি আবাদ করো।
ময়ুর বলে —যেমন কর্ম করবে,
তেমনি ফল পাবে।
কবুতরী বলে পবিত্র আমার প্রতিপালক, যিনি সকল মুখে অবিস্মরণীয়।
ঝিনুক বলে তিনি পরম করুনাময়, আরশের উপর আসীন।
রাজ পাখি বলে মানুষ হতে দূরে থাকাই সুখ,অথবা মানুষ হতে দূরে থাকায় শান্তির।
খাত্তাব পাখি সূরা ফাতিহা পরিপূর্ণ পাঠ করে আর ( অলাদ দয়াললীন) ক্বারী সাহেবের মত দীর্ঘ সুরে পাঠ করে।
মাদি বাজপাখি বলে আমি আমার পালনকর্তা তাসবীহ হামদে বর্ণনা করছি।
ঘুঘু আর মহান প্রভু পবিত্র।
তবে কারো কারো মতে ঘুঘু পাখি ইয়া কারিমু ইয়া কারিমু বলে।
এক দশমাংশ গ্রহণকারীদের উপর অভিশাপ বর্ষণ করে এবং তাদেরকে বদদোয়া দেয়।
তোতা পাখি বলে দুনিয়া পাগল দুনিয়ার জন্য বেশী চিন্তিত ব্যক্তির অনিষ্ট হোক।
যাররুর পাখি বলে হে আল্লাহ আমি আজ তোমার নিকট কেবল আজকের জীবিকা চাই।
চান্ডুল পাখি বলে হে আল্লাহ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবার পরিজনের সাথে বিদ্বেষ পোষণ কারীদের উপর তুমি লানত বর্ষণ করো।
মোরগ বলে হে গাফেলগণ! তোমরা আল্লাহর জিকির করো।
শকুন বলে হে বনী-আদম যেভাবে ইচ্ছে তুমি জীবন কাটাও মৃত্যু তোমার নিশ্চয়ই আসবে।
অপর এক বর্ণনায় আছে দুই সৈন্যদলের এর মধ্যে আক্রমণ শুরু হলে ঘোড়া বলে।
(সুব্বুহুন কুদ্দুচুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতু ওয়ার রুহ)।
গাধা ট্যাক্স আদায়কারীর উপর এবং তার আয়-উপার্জনের উপর লানত বর্ষণ করে।
আর ব্যাঙ বলে (সুবহানা রাব্বিয়াল আলা।)
এছাড়াও সব আরো অনেক জন্তুুদের আওয়াজ আমি আপনাদের কে লেখে দিব ইনশাআল্লাহ আমি আরো পড়া শোনা করে আপনাদের খেদমতে আসবো।
আপনারা আমাদের সাথেই থাকুন।
আল্লাহ হাফেজ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।