আসসালামুআইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে এ পোস্ট এ আমি এমন এক বিজ্ঞানি কে নিয়ে আলোচনা করবো যার জন্য আমাদের বিজ্ঞান তার থেকে ওনেক পিছিয়ে। তার পরিশ্রম আজ আমার বিজ্ঞান কে ওনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে গেছে। চলুন শুরু করা যাক
টেসলার জীবনি: স্যার নিকোলা টেসলা ১৭ জুলাই ১৮৫৬ সালে স্মিলিয়ান নামক একটি গ্রামে জম্নগ্রহণ করেন। বর্তমানে এটি ক্রোয়োশিয়া দেশের অন্তভূক্ত।তার বাবা ছিলেন পেশায় ধর্মযাজক। তার বাবা তাকে ধর্ম যাজন বানাতে চেয়েছিলেন।কিন্তু তিনি সেটা কখন চাইতেন না। তার চিন্তা ভাবনা থাকতো সবার থেকে আলাদা। ১৮৬১ সালে তিনি এক প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হন, সেখান থেকে তিনি জার্মান ভাষা, গনিত এবং ধর্মত্বত্ত উপর জ্ঞান অর্জন করেন। স্যার নিকোলা টেসলা ৪ বছর এর পড়া ৩ বছর পড়ে গ্র্যাজুয়েট শেষ করেন। ১৮৭৪ সালে দিকে, তার বাবা তাকে আর্মি তে ভতি করাতে চেয়েছিলেন। তিনি আর্মির ভর্তি হওয়া থেকে পালিয়ে বাচলেন। ১৮৭৫ সালে তিনি অস্ট্রিয়ান পলিটেকনিকে ভর্তি হন, এটি ছিল তার স্বপ্ন। তিনি ভোর ৩টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত পড়াশুনা করতেন। কাল্সে প্রথম ইয়ারে একটি ক্লাস এ মিস করেন নি । প্রথম ইয়ার এ তিনি ক্লাসে প্রথম স্থান অর্জন করেন। ২য় বর্ষে তার মেধার বিনাস ঘটে, কারন তিনি জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে পরেন।৩য় বর্ষে তার ভর্তি সহ তার সকল সুযোগ সুবিধা হারিয়ে পেলেন।তারপর নিকোলা টেসলা আমেরিকাতে ফিরে যান। সেখানে তিনি বিলিয়ার্ড খেলায় অংশগ্রহণ করেন। ক্রমাগত তার পরীক্ষা এগুতে থাকে, তিনি পরীক্ষার জন্য পস্তুত ছিলেন না। একটি মজার ব্যাপর হল স্যার নিকোলা টেসলা বিশ্ববিদ্যালয় তার জীবনের শেষ পরীক্ষার একটি নম্বর ও পাইনি। এ তথ্য তার পরিবার থেকে গোপন রাখেন, এবং বিশ্ববিদ্যালয় পড়া ছেড়ে দেন। তিনি আবার ঘুরে দাড়ানের চেষ্টা করেন তিনি তার পড়া লেথার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য প্রাগে আসেন পড়াশুনা করার জন্য, তিনি গ্রিক এবং চেক ভাষা জানতেন না বিধায় বিশ্ববিদ্যালয় হতে সে ভাষার নম্বর পেতেন না । ১৮৮১ সালে তিনি বুদাপেস্ট কোম্পনিতে কাজ শুরু করেন। তার কয়েক মাসের মধ্যে তিনি তার বুদাপেস্ট এর অন্যতম কোম্পিানির সাথে পরিচয় হন । তিনি ছিলেন তার প্রধান ইলেক্ট্রিশিয়ান, সেথানে কর্মরত অবস্থায় কোম্পানির যে উন্নতি হয় তা পরবর্তীতে আর কেউ করতে পারেন নি।
কর্মরত জীবনীঃ ১৮৮২ সালে ফ্রান্সে তিনি এডিসন কোম্পনিতে তে কাজ শুরু করেন । সেথানে তিনি যন্ত্রের কাজ করেন। এডিসন কোম্পানি তার সাথে লেনদেনে একটু সমস্যা দেখা দেয় ১৮৮৫ সালে তিনি এ কোম্পনি হতে পদত্যাগ করেন। জেদেরে বসে তিনি নিজে একটি কোম্পানি থুলে বসেন। তার কোম্পনির নাম হলো টেসলা ইলেকট্রিক লাইভ এন্ড ম্যানুফ্যাকচারিং। প্রথম উদ্যোক্তরা সাহস পাইনি তারা বিভিন্ন জায়গা হতে কাজ করতেন ফলাফল সর্বহারা হতেন । ১৮৮৬ সালে আলফ্রেড এড ব্রাউনের সহযোগীতায় নতুন করে কাজ শুরু করেন । যুক্তরাষ্ট্রে ম্যানহাটন শহরে স্যার নিকোলা টেসলা গড়ে তোলেন তার নিজের ল্যাবরেটরি। ১৮৮৭ সালে টেসলা তার ল্যাবরেটরি তে নতুন ডিজাইন করা ইন্ডাকশন মোটর তৈরি করেন। আর এ মোটর পুরো ইউরোপ কে বদলে দেয়। আকশে মেঘে মেঘে যে বিদ্যুত তৈরি হয় তা নিয়ে আসলেন সবার ঘরে ঘরে এসি কারেন্ট রূপে। ১৮৯৫ সালে ডিন এডমিন্স এর সহযতায় নিকোলা টেসলা তার কোম্পানিকে নতুন করে ঘরে তুলেন। এ আবিষ্কার যখন সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ে তখন থমান এডিসন খেপে যায়। শুরু হয় টেসলার সাথে থমাস এডিসন যুদ্ব। এ যুদ্ব নাম দেয়া হয় বিদ্যুতের যুদ্ব। এডিসন শুরু করে টেসলার বিপক্ষে নানান রকম কুৎসা রটাতে থাকেন। কিন্তু টেসলা থেমে থাকেন নি তার এ আবিষ্কার ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে।
টেসলার যখন এ আবিষ্কার সারা বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করে তখন তিনি পাগল মতো ল্যবরেটরি তে কাজ শুরু করেন। দিনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিনি শুধু ৩ ঘন্টা গুমাতেন, ভাবাযায় তিনি কত ঘন্টা কাজ করতেন । ১৮৮৯ সালে তিনি আবিষ্কার করেন টেসলা কয়েল। এ কয়েল আবিষ্কার পর ওনক বিজ্ঞানি তাকে পাগল ভাবতে শুরু করলেন । পরবতী পোস্ট এ আমি এ পাগল বিজ্ঞানির আবিষ্কার তুলে ধরবো ইনশাল্লাহ। যার জন্য আমাদের এ মানব সভ্যতা আজ এত দূর পর্যন্ত এগিয়ে আছে।
সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
গ্রাথোর.কম এ থাকার জন্য আপনাদের আন্তরিক ভাবে অভিনন্দন।