শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে? আদৌ আগামী বছরে ক্লাসে যেতে পারবো? সকল শিক্ষার্থীর মনেই এই প্রশ্ন। অনলাইন ক্লাস আর কত? এবার শিক্ষামন্ত্রী জানালেন, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্যে মে পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। সেই হিসেবে ফেব্রুয়ারি হতে মে পর্যন্ত ক্লাস চলবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ড:দিপুমনি আরও বলেন- সবকিছু অনুকূলে থাকলে সিলেবাস কমিয়ে এনে ২০২১ সালের এস এস সি আর এইচ এস সি পরীক্ষা নেয়া হবে। সম্ভাব্য সময় হিসেবে বলা হয়েছে জুন মাসে এস এস সি আর জুলাই অথবা আগস্টে এইচ এস সি পরীক্ষা নেয়া হবে। এদিকে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করার কাজ চলছে। যদি ফেব্রুয়ারিতে ক্লাস শুরু করা যায় তবেই বোর্ড পরীক্ষাগুলো নির্ধারিত সময়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের উপর নেয়া হবে। ১৫ই জানুয়ারির মধ্যে সিলেবাস সম্পর্কিত বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়ে দেয়া হবে। মঙ্গলবার বিকেলে এক ভিডিও কনফারেন্সে এসব তথ্য জানান তিনি। যদিও সাধারণত ফেব্রুয়ারির একদম শুরুতে এস এস সি আর এপ্রিলে এইচ এস সি পরীক্ষা নেয়া হতো। কিন্তু এবার করোনার ধকল কাটিয়ে উঠতে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে বোর্ড পরীক্ষার সময়। তবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী তথা পি এস সি আর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট তথা জে এস সি পরীক্ষা নেয়া হবে কিনা সেই বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে প্রায় নয় মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে করোনা মহামারির কারণে। অনলাইনের মাধ্যমে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ক্লাস- পরীক্ষা চালিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। শিক্ষামন্ত্রী বলেন- পরীক্ষা ছাড়া পাশ মানে অটোপাশ দেয়ার কোনো নিয়ম আইনে নেই। কিন্তু একটি বিশেষ রিট জারি করে ২০২০ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছাড়াই পাশ দিয়ে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে আগের বোর্ডপরীক্ষার ফলাফল। সেইজন্যে রিট তৈরি এবং ফলাফল প্রকাশের কাজ চলছে।
কিন্তু যদি পরিস্থিতি আবার খারাপের দিকে যায়, সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্তে বদল আসতে পারে। এ বছরের মার্চের মাঝামাঝি সময়ে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর ধাপে ধাপে বন্ধ বাড়তেই থাকে। মাঝে একবার খোলার সম্ভাবনা থাকলেও পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় বন্ধ বাড়ানো হয়েছিলো। একইভাবে, এবার সবকিছু অনুকূলে থাকলে তবেই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয় মার্চে। এরপর ছুটিআর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় মে মাসের শেষের দিকে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে ধীরে ধীরে অফিস- আদালত, সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, মার্কেট, রেষ্টরেন্ট, শপিং মল খুললেও বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এদিকে স্কুল- কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলেও সামাজিক দূরত্ব আর স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। তবে সব পরিস্থিতি বিবেচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।