আমরা যারা গ্রামে থাকি তারা সবাই হয়তো জানি যে গ্রামে এক সময় একটি নির্দিষ্ট টাইমে মেলা বসে। আমরা গ্রামে থাকি অথবা শহরে যারা থাকি আমরা সবাই বেড়াতে যাই। বিশেষ করে দেখা যায় শহরের থেকে গ্রামে মেলা বেশি বসে থাকে। আর শহরের মেলা থেকে গ্রামের মেলাতে অনেক বেশি মজা। তাই আমরা যারা শহরে থাকি তারা সবাই মেলাতে ঘুরতে যাই ।আজ আমি আপনাদের সাথে গ্রামের মেলার বর্ণনা করব গ্রামের মেলা কেমন হয় কখন বসে কোথায় হয় সেগুলো সব কিছু নিয়ে আমরা আপনা দেরে সাথে আলোচনা করব।
সাধারণত দেখা যায় যে গ্রামে ধান কাটার পর মেলা বসে। একটি মেলার পিছনে একটি ঐতিহাসিক কারণ থাকতে পারে। অনেক মেলা আছে যেগুলো বসার কারণ কিছু মজার ঘটনা। যাই হোক আমরা এখন মেলা সম্পর্কে রচনা আলোচনা করব।
বাংলাদেশের উৎসবগুলোতে আমাদের আনন্দের সীমা থাকে না। আমরা প্রবল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে উৎসবগুলো পালন করি। দেশের শিশু থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষ আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে। এদেশের উৎসবগুলোতে থাকে সরকারি ছুটি ।মানুষের কর্ম ব্যস্ততা থাকে না বললেই চলে। মনে হয় সব মানুষ আগে থেকেই উৎসবে মেতে ওঠার জন্য দিন তিনি নির্ধারণ করে রেখেছিলো। বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশের একটি সর্বজনীন উৎসব। ঈদের বিশেষ পোশাক পরিধান করে ছেলেরা পাজামা-পাঞ্জাবি পড়ে থাকে। আর মেয়েরা পরে শাড়ি ।কোন কোন ছেলে আবারও প্রবল উৎসাহে ধুতি পড়ে থাকে। এ দিনে মনে হয় দেশে সবাই যেন একই পোশাকে সজ্জিত পহেলা বৈশাখ সকালে পান্তা ভাত আর ইলিশ মাছ ভাজা খাওয়ার আনন্দে ভেসে ওঠে বিভিন্ন জায়গায় ।মেলা বসে বিশেষ বিশেষ জায়গায় গানের মেলা রমনার বটমূল এদিনের ঐতিহ্যবাহী স্থান। এখানে নাগরিক মানুষের ঢল নামে। গ্রামের মানুষ ও এই সব থেকে পিছিয়ে নেই তারা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনটি কাটিয়ে দেয়। গ্রাম্য মেলা বই মেলায় মানুষের ঢল নামে হালখাতা পহেলা বৈশাখের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। ব্যবসায়ীরা প্রবল উৎসাহ নিয়ে অনুষ্ঠানটি পালন করে থাকে। অনুষ্ঠানের অজুহাতে তারা বাকি টাকা আর অনেকাংশ তুলে নিতে সক্ষম হয় শুধু বাকি টাকা আদায়ের লক্ষ্য থাকে না কি তাদের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ ও আপ্যায়ন হালখাতা অন্যতম উদ্দেশ্য ঈদ মুসলমানদের আনন্দের সীমা থাকে না তারা এই দিনে নতুন পোশাক পরিধান করে প্রতিটি বাড়িতে বিশেষ খাবার ব্যবস্থা করা হয় মুসলমানদের প্রতিটি ঘরে আত্মীয় সমাগম ঘটে মুসলমান জাতি সব দুঃখ ভুলে গিয়ে আনন্দ মেতে ওঠে। শারদীয় উৎসব বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ধর্ম উৎসব ।এ পূজায় হিন্দুদের আনন্দের সীমা থাকে না। শত দুঃখের মধ্যেও ও সকালে তাদের অন্তরে আনন্দের বান ডাকে। স্বাধীনতা দিবসে আমরা নতুন করে দেশ গড়ার সংগ্রামে মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে ।পাকিস্তানি শোষণের অবসান এর ছবি আমাদের চোখে ভেসে ওঠে হৃদয় আনন্দ। অনুভূতি জাগে বিজয় দিবসে জাতীয় ভাবে অনুষ্ঠানের। আয়োজন করা হয় বাংলাদেশের মানুষ প্রবল আগ্রহে এসব অনুষ্ঠানে যোগদান করে আনন্দ লাভ করে। মোটকথা প্রতিটি উৎস বই বাংলাদেশের মানুষ প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালন করে। বাংলাদেশের উৎসব গুলোর প্রভাব আমাদের জীবনে অপরিসীম। আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে স্বাধীন । আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য রয়েছে এসব দিক বিভিন্ন উৎসবের মধ্য দিয়ে আমরা স্মরণ করে থাকি ।পহেলা বৈশাখ পহেলা বৈশাখ আমাদের জাতীয় জীবনে চরম প্রভাব ফেলে। বাঙালি সংস্কৃতি এদিনে পরিপূর্ণরূপে বিকাশ ঘটে ।সাহেবি পোশাক ঝেড়ে ফেলে শপথ নেই। ধর্মীয় সবগুলো আমাদের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে মুসলমানেরা ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ করে ঈদে।