এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবাণু। অথচ কী ভয়ংকর এর ক্ষমতা। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি আরো গুরুতর হচ্ছে। কোনো ভাবেই থামতে চাচ্ছে না এই মহামারী কোভিড-১৯। এই মহামারী থেকে বাঁচতে হলে সতর্কতা প্রয়োজন। তবে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ এখনো বুঝতে পারছেনা যে এটি কত ভয়ানক একটি ভাইরাস। বাংলাদেশের মানুষ লকডাউন মানে কি তাও জানেনা এমনকি লকডাউন মানতেও প্রস্তুত না। আমার মনে হয় বাংলাদেশের সরকার এখন কারফিউ জারি দিলেই এদেশের মানুষ সতর্ক হবে। কেননা লকডাউন এর মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি কখনোই শিথিল হবে না। বর্তমানে বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সং্খ্যা চীনের আক্রান্ত রোগীর সং্খ্যা কে ছারিয়েছে। এভাবেই চলতে থাকলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ হয়ে যাবে। আমি মনে করি বাংলাদেশের সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন –
* একটানা তিন অথবা চারদিন কারফিউ জারি করে আক্রান্তের সং্খ্যাকে কমিয়ে আনতে হবে। এবং এই কারফিউ জারি দেওয়ার আগে সবচেয়ে নিম্নবিত্ত পরিবারকে ৩-৪ দিনের ত্রান সহায়তা দিতে হবে।
* ধাপে ধাপে কারফিউ জারি দিতে হবে। যেমন প্রতি সপ্তাহে ৩ দিন কারফিউ জারি দিলে আমি মনে করি আক্রান্তের সং্খ্যা অনেকাংশে কমে আসবে।
* কিট সরবারহ করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমানে। প্রতিদিন যদি ৩০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হতো তাহলে বাংলাদেশের জন্য কোভিড-১৯ পরিস্থিতি শিথিল করার জন্য প্লাস পয়েন্ট থাকতো।
এই তো ছিলো বাংলাদেশের সরকারের কি কি করণীয়। এবার বলি বাংলাদেশের সাধারণন জনগনের কি কি করণীয়।
*সর্বপ্রথম জনগনকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করতে হবে। হাদিসে আছে, ‘যদি শোনো কোনো শহর মহামারি আক্রান্ত হয়েছে, তবে সেখানে যেও না। আর যদি দেখ, তোমার শহর মহামারি আক্রান্ত হয়েছে, তবে শহর থেকে বের হয়ো না।’ (Al-Bukhaari (5739) and Muslim [2219])
* সতর্ক থাকতে হবে এবং সচেতনন থাকতে হবে।
covid-19